
ইফতেখার হোসেন– চট্রগ্রাম–ঢাকা এবং চট্রগ্রাম–চাদপুর রুটে চালিত কর্ণফুলী ও সাগরিকা ট্রেন দুটিতে পাওয়ারকার সম্বলিত নামাজের জন্য ইবাদতখানা নিয়ে চলছে অস্থিতিশীল রমরমা বানিজ্য।বাংলাদেশ রেলওয়ের কর্ণফুলী ও সাগরিকা ট্রেন দুটি বেসরকারী ব্যবস্থাপনা রেলওয়ে বানিজ্যিক কার্যক্রম পরিচালনা অথরিটি এস আর ট্রেডিং এর তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হয়।
চট্রগ্রাম থেকে চাদপুর হয়ে পুনরায় চট্রগ্রামের উদ্দেশ্যে আসা সাগরিকা এবং কর্ণফুলী ট্রেনে প্রতিনিয়তই এমন ঘটনা ঘটেছে।এছড়াও পাওয়ারকারের আশে পাশে যে যাত্রী গুলো থাকে তাদের কেউ টিকিট না থাকলে কোম্পানির লোকজন টিকিট বানিয়ে দেয়।
ট্রেনটি চট্রগ্রাম থেকে চাদপুর যাওয়ার পথে ট্রেন পরিচালক ‘আবিদ হোসেন মুরাদ‘ ইবাদতখানা নিয়মানুযায়ী খোলা রাখেন। পরবর্তীতে ট্রেনটি লাকসাম আসার পর অপারেটর কাছে টাকা চাইলে প্রথমে ৩শ‘ টাকা দিলে তিনি নেননি। পরে আর ও ১শ‘ টাকা অর্থাৎ ৪শ‘ টাকা দিলেও তিনি তাতে মেনে নেননি। পরবর্তী ট্রেনটি চাদপুর পৌছানোর পর ট্রেন পরিচালক আবিদ হোসেন মুরাদ নিজেইইবাদতখানায় তালা মেরে দেন। ট্রেনটি লাকসাম আসার পর দেখা যায় ট্রেন পরিচালক আবিদ হোসেন মুরাদ ট্রেনের ব্রেকে অবৈধ ভাবে বিনা টিকেটে যাত্রী তুলেন।
একাধিক পাওয়ার কার অপারেটরের অভিযোগের সূত্রে জানা যায়, ট্রেনের পাওয়ারকার এবং মসজিদে যাত্রী বহন করার কারনে কোম্পানির লোকজন টিকিট বানিয়ে দিলে উক্ত ট্রেন গুলোর দায়িত্বে থাকা ট্রেন পরিচালকরা পাওয়ারকার অপারেটরে দায়িত্বে থাকা ষ্টাফের নিকট হতে জোর পুর্বক আপ–ডাউন যাওয়া আসা করার জন্যে ১৫শ‘ থেকে ২ হাজার টাকা চাদা দাবি করে। অপারেটর অপারগতা করলে ট্রেন পরিচালক নিজেই পাওয়ারকারে উঠে ইবাদতখানায় তালা মেরে দেয়।
এই বিষয়ে জানতে চেয়ে বিভাগীয় রেলওয়ে ব্যবস্থাপক চট্টগ্রামের (ডিআরএম) সাইফুল ইসলাম এবং বিভাগীয় টাসপোর্টেশন কর্মকর্তা চট্টগ্রাম (ডিটিও) আনিছুর রহমান এর সাথে মুঠোফোনে একাধিক বার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও মুঠোফোনে পাওয়া যায়নি।
অভিযুক্ত ট্রেন পরিচালক আবিদ হোসেন মুরাদের সাথে কথা হলে অভিযোগ অস্বিকার করে তিনি বলেন, “ইবাদতখানা তালা মেরে রাখা হয় যাতে বহিরাগত কেউ সেখানে অবস্থান করতে না পারে। যাত্রী তোলার এখতিয়ার নেই আমাদের। আমরা যাত্রী উঠাই না।“
পাওয়ারকার অপারেটরদের কাছ অর্থ আদায়ের বিষয়ে জানতে চাইলে ট্রেন পরিচালক আবিদ হোসেন মুরাদ বলেন, “ওরা যাত্রী তুললে খুশি হয়ে আমাদের কে কিছু দিলে আমরা নেই, কিন্তু আমরা কখনো অতিরিক্ত অর্থ দাবি করি না। যাত্রী নিতে যেনো কেউ বাধা না দেয় সেজন্য কোম্পানির লোকজন সবাইকে টাকা দেয়। অতিরিক্ত যাত্রীদের টিকিট করে দেয় যাতে কেউ জরিমানা না করে।“