
মোঃ কাজল মিয়াঃ
অবৈধ ভিওআইপি জব্দ করার খবরে টঙ্গীতে প্রতিমন্ত্রী পলক।
গাজীপুরের টঙ্গীতে বিপুল পরিমাণ অবৈধ ভিওআইপি সরঞ্জামসহ দুজনকে আটক করেছে র্যাব। টঙ্গীর মধুমিতা এলাকার একটি বহুতল ভবনে গতকাল শনিবার দুপুর থেকে রাত পর্যন্ত র্যাবের এই অভিযান চলে।
আজ রোববার বেলা ১১টার দিকে ওই ভবনের নিচতলায় আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল-মঈন।
গ্রেপ্তার দুজন হলেন তাজুল ইসলাম (৪০) ও হারুন (৪০)। সংবাদ সম্মেলনে তাঁদের বিস্তারিত পরিচয় জানায়নি র্যাব।
এ ঘটনায় আজ রোববার সকালে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক ওই স্থান পরিদর্শনে আসেন। পরিদর্শন শেষে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, সরকার একটি নিয়মতান্ত্রিক টেলিকমিউনিকেশন পদ্ধতি চালু করতে চায়। টেলিকমিউনিকেশন খাতে যত অনিয়ম ও বিশৃঙ্খলাকারী আছে, তাদের বিরুদ্ধে আমরা কঠোর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে চাই। বাংলাদেশের রাজস্ব বৃদ্ধির ক্ষেত্রে অবৈধ ভয়েস ওভার ইন্টারনেট প্রটোকল (ভিওআইপি) কল বন্ধে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কাজ করছে।’
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ‘ওই অপরাধীদের একটি কঠোর বার্তা দিতে চাই। সেই সঙ্গে মোবাইল ফোন সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর নিবন্ধিত ডিস্ট্রিবিউটর ও রিটেইলারদের অবহেলার কারণে অপরাধীরা যেন কোনো সুযোগ তৈরি করতে না পারে, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। অপরাধীরা দেশের যেকোনো প্রান্তে, যত কৌশলেই অপরাধ কর্মকাণ্ড পরিচালনা করতে চেষ্টা করুক না কেন, আমাদের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাদের গ্রেপ্তার করতে অভিযান অব্যাহত রাখবে।’
টঙ্গীতে অবৈধ ভিওআইপি সরঞ্জামসহ দুজন আটক। ছবি: আজকের পত্রিকাপরে র্যাবের পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলনে কমান্ডার খন্দকার আল-মঈন বলেন, গতকাল শনিবার গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-১-এর একটি দল জানতে পারে, টঙ্গীর মধুমিতা এলাকার অগ্রণী টাওয়ার নামের একটি বহুতল ভবনে নিজেদের কেনা ফ্ল্যাটে অবৈধ ভিওআইপি সরঞ্জাম রয়েছে। পরে সেখানে অভিযান চালিয়ে তিনটি ফ্ল্যাটে রাখা ৩২টি সিম বক্স ডিভাইস, কয়েকটি মোবাইল ফোন, বিভিন্ন অপারেটরের প্রায় ১১ হাজার সিম কার্ডসহ তাঁদের আটক করা হয়।
তবে অবৈধ ভিওআইপি ব্যবসার সঙ্গে জড়িত অন্যদের গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি।
র্যাব আরও জানায়, বিটিআরসি কর্মকর্তাদের দেওয়া তথ্যমতে, অবৈধ টেলিযোগাযোগ স্থাপনার মাধ্যমে চক্রটি প্রতিদিন প্রায় ১ লাখ আন্তর্জাতিক কল মিনিট অবৈধভাবে দেশে টার্মিনেট করছিল। তাতে সরকার কয়েক লাখ টাকা রাজস্ব হারিয়েছে। তারা এক বছর ধরে সরকারকে কর ফাঁকি দিয়ে অবৈধভাবে ভিওআইপি ব্যবসা চালিয়ে আসছিল।