মোঃ ইব্রাহিম হোসেন, স্টাফ রিপোর্টারঃ শীতকাল মানেই বাড়িতে বাড়িতে বাহারি সব পিঠার আয়োজন। পিঠার এ আয়োজন বাঙালি সংস্কৃতির একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। পিঠার নাম শুনলে জিভে জল আসেনা এমন বাঙালি একজনও পাওয়া যাবে না।শীতে বাড়িতে পিঠার আয়োজন শীতের একটি নিয়মিত ব্যাপার।কিন্তু যদি এমন হয় কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আয়োজন তাহলে কেমন হয়। "সবাই মিলে পিঠা খাই, আনন্দ উৎসবে মন রাঙাই" প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে তেমনি এক ব্যতিক্রমি পিঠা উৎসবের আয়োজন হয়েছিলো ঝিনাইদহ সদর উপজেলার নারিকেলবাড়ীয়ার আমেনা খাতুন কলেজে।
বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) সকাল থেকে শুরু হয়ে বিকাল পর্যন্ত আমেনা খাতুন কলেজ মাঠে চলে এ পিঠা উৎসব।
সকালে রবি নারিকেলবাড়ীয়া কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ মহিদুজ্জামানের সার্বিক তত্ত্বাবধানে ১৪নং ঘোড়শাল ইউনিয়ন পরিষদের সফল চেয়ারম্যান পারভেজ মাসুদ লিল্টন পিঠা উৎসবের উদ্বোধন করেন।
পিঠা উৎসবে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, আমেনা খাতুন কলেজ পরিচালনা পর্ষদের নবনির্বাচিত সভাপতি ভাষা সৈনিক মুসা মিয়ার সন্তান আবু শাহরিয়ার জাহেদী পিপুল।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ আমিনুর রহমান টুকু সহ কলেজের শিক্ষকমন্ডলী।পিঠা উৎসবে আমেনা খাতুন কলেজ সহ আশেপাশের বেশ কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন।উৎসবে বাহারি সব পিঠার আয়োজনে সেজেছিলো ২২টি স্টল।সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, প্রতিটি স্টলে ছিলো মানুষের উপচে পড়া ভিড়।উৎসব শেষে প্রধান অতিথি সেরা তিনটি স্টলকে পুরস্কার তুলে দেন এবং অংশগ্রহণকারী সকল স্টলকে শুভেচ্ছা স্বারক তুলে দেন।পিঠা উৎসবে অংশগ্রহণকারী ঝিনাইদহ সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণীর শিক্ষার্থী ফারিয়া ইসলাম মিম বলেন, আমি আমার মায়ের সাথে পিঠা উৎসবে অংশগ্রহণ করেছি।আমি খুবই আনন্দিত এবং আপ্লুত এমন আয়োজনে অংশগ্রহণ করতে পেরে। আমি অনেক পিঠার নাম জানতাম না সেগুলো আজ জনতে পেরেছি এবং সেগুলোর রেসিপি জেনেছি।
পিঠা উৎসবে ঘুরতে আসা শাওন হাসান বলেন, আমি একজন শিক্ষকের মাধ্যমে জানতে পেরে পিঠা উৎসব দেখতে এসেছি।বিভিন্ন ধরনের পিঠা খেয়েছি।খুব মজার হয়েছে পিঠাগুলো।আমি চাই প্রতি বছর এমন আয়োজন করা হোক।
পিঠা উৎসবের আয়োজক আমেনা খাতুন কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ মহিদুজ্জামান বলেন, বাঙালি সংস্কৃতির অংশ হিসেবে রকমারি পিঠার আয়োজন আমরা করেছি। আমাদের শিক্ষার্থীসহ আগত সকলে বিভিন্ন ধরনের পিঠা খেতে ও পিঠা সম্পর্কে জানতে পারছে।আমরা আগামীতেও এ ধরনের আয়োজন অব্যাহত রাখবো।