দেলোয়ার হোসেন
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের লালবাগ বিভাগের বৈধ অস্ত্র উদ্ধার ও মাদক নিয়ন্ত্রণ টিমের বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে বোরকাপরা পর্দানশীলা/কোলে শিশু নিয়ে স্নেহময়ী মায়ের ছদ্মবেশে জনারণ্যে পকেট/ব্যাগ কেটে চুরি করা নারী পকেটমার ও তাদের মহাজনদের গ্রেফতার করেছে। গত ১৩ জুন ২০২৩ তারিখে রাজধানী লালবাগ থানাধীন লালবাগ থানাধীন পিলখানা রোডস্থ (আজিমপুর রোড) ভিকারুননিসা নুন স্কুল এন্ড কলেজ (আজিমপুর শাখা) এর মেইন গেইটের বিপরীত পাশের্^ ও শাহবাগ থানাধীন গুলিস্থান এলাকা হতে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত লালবাগ থানা আসামীরা হলোঃ ১। মোঃ মাহাবুব হোসেন (৩২), ২। মোঃ মোক্তার হোসেন (৪০), ৩। রফিকুল ইসলাম (৪২), ৪। মোঃ ইমরান হোসেন (২০), ৫। বর্ষা আক্তার @ মীম (২২), ৬। সুমি আক্তার প্রিয়া (২৩), ৭। শাবনুর (২৭), ৮। আলেয়া @ আলো (২১), ৯। সাথী আক্তার (২৬) ও পলাতক আসামী ১০। মোঃ ইউসুফ (২২)।
গ্রেফতারকৃত শাহবাগ থানা আসামীরা হলোঃ ১। ছৈয়দ হালদার (৪০), ২। মোঃ আশরাফ ঢালী (৩৮), ৩। মোঃ জাকির হোসেন (৩৯), ৪। মোছাঃ ছকিনা বেগম (৪৩), ৫। সুজনা আক্তার @ সুজিনা আক্তার @ রুশকিনা (২৬), ৬। মোসাঃ তানিয়া খানম (২৭), ৭। তাসলিমা খাতুন (৩৭) ।
ডিএমপির গোয়েন্দা লালবাগ বিভাগের অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার ও মাদক নিয়ন্ত্রণ টিমের সদস্যগণ উক্ত অভিযান পরিচালনা করে তাদের গ্রেফতার করে এবং তাদের দখল থাকা বিভিন্ন মডেলের সর্বমোট ৪০(চল্লিশ) টি চোরাই মোবাইল ফোন উদ্ধার করে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে লালবাগ থানাধীন ধৃত আসামীরা স্বীকার করে যে, তারা একটি অভ্যাসগত ও সংঘবদ্ধ চোর দলের সদস্য এবং দীর্ঘদিন যাবত ঢাকা মহানগরের নিউমার্কেট, আজিমপুর সহ বিভিন্ন বাসষ্ট্যান্ড, স্কুল-কলেজ, মার্কেটে ও হাসপাতালে বিশেষ কৌশলে ভ্যানেটি ব্যাগ বহনকারী মহিলাদের ভ্যানেটি ব্যাগের চেইন খুলে এবং পুরুষদের শার্ট প্যান্টের পকেট থেকে মোবাইল ও নগদ টাকা চুরি করে থাকে। লালবাগ থানাধীন আসামী মোঃ মাহাবুব হোসেন, মোঃ মোক্তার হোসেন, রফিকুল ইসলাম এবং মোঃ ইমরান হোসেন সহ আরো কয়েকজন চুরি করার কাজে কখনো কখনো সরাসরি অংশ নেয় এবং এই চোরাই মোবাইল বিক্রি করে চোরদের মধ্যে টাকা ভাগ বাটোয়ারা করে দেয়। গ্রেফতারকৃত আসামীরা, পলাতক আসামী এবং তাদের আরো ৪/৫ জন সহযোগী আশেপাশের এলাকায় মোবাইল চুরি করে এবং চোরাই মোবাইল বিক্রয় করার জন্য ঘটনাস্থল এর আশপাশের এলাকায় অবস্থান করে।
একই ভাবে শাহবাগ থানাধীন ধৃত আসামীরা স্বীকার করে যে, তারাও একটি অভ্যাসগত ও সংঘবদ্ধ চোর দলের সদস্য ও আসামীরা দীর্ঘদিন যাবত ঢাকা মহানগরের গুলিস্থান, গোলাপশাহ মাজার, ফুলবাড়ীয়াসহ বিভিন্ন বাসষ্ট্যান্ড, স্কুল-কলেজ, মার্কেটে ও হাসপাতালে বিশেষ কৌশলে ভ্যানেটি ব্যাগ বহনকারী মহিলাদের ভ্যানেটি ব্যাগের চেইন খুলে এবং পুরুষদের শার্ট প্যান্টের পকেট থেকে মোবাইল ও নগদ টাকা চুরি করে থাকে। এই চোর চক্রে তাদের আরো ২/৩ জন সহযোগী আছে। আসামী ছৈয়দ, আশরাফ এবং জাকির সহ আরো কয়েকজন চুরি করার কাজে কখনো কখনো সরাসরি অংশ নেয় এবং এই চোরাই মোবাইল বিক্রি করে চোরদের মধ্যে টাকা ভাগ বাটোয়ারা করে দেয়। গ্রেফতারকৃত আসামী, পলাতক আসামী এবং তাদের আরো ২/৩ জন সহযোগী আশেপাশের এলাকায় মোবাইল চুরি করে এবং চোরাই মোবাইল বিক্রয় করার জন্য ঘটনাস্থল গোলাপশাহ মাজার এর আশপাশের এলাকায় অবস্থান করে।
গ্রেফতারকৃত আসামীদের বিরুদ্ধে ডিএমপির বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা আছে।
এ সংক্রান্তে শাহবাগ থানা ও লালবাগ থানা আসামীগণের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করা হয়েছে।
ধৃত আসামীকে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।