
মহিউদ্দন মাসুমঃ
কুমিল্লা জেলার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার জগন্নাথ দিঘী ইউনিয়নের ভারত বাংলাদেশ বর্ডার সীমান্তবর্তী, সাতঘরিয়া গ্রামের খন্দকার বাড়ির হাফেজ ফয়েজ আহমেদের ছেলে জুবায়ের আহমেদের বিরুদ্ধে ফৌজদারী কার্যাবিধি অনুযায়ী ১ম স্ত্রী ইসরাত জাহান রুবির করা মালমলায় গ্রেফতারী পরওয়ানা দিয়েছে আদালত.. ভারত-বাংলাদেশ বর্ডার সীমান্তবর্তী এলাকা হওয়ায় দেখা যায় গ্রামগুলোর বেশিরভাগ লোক মাদকের সাথে জড়িত,এদের কারণে মাদক প্রাচার হয়ে বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলায় পৌঁছে যাচ্ছে অনায়সে,মাদকাসক্ত হচ্ছে অত্র এলাকার অধিকাংশ যুবক, মাদকাসক্ত স্বামীদের অত্যাচারে এবং মাদক সেবন করে এসে স্ত্রীকে ও মাদক সেবন করার জন্য জোরপূর্বক বাধ্য করে যা ৯০ দশকের সিনেমায় কেউ যেন হার মানায়।
এদিকে জুবায়ের আহমেদের ১ম স্ত্রী ইসরাত জাহান রুবি ,স্বামীর বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বলেন, আমার স্বামী মাদকে আসক্ত এবং সাতঘরিয়া গ্রামের লোকেরা এক নামে চিনেন মাদকের ডিলার জুবায়ের আহমেদ। আমাকে ফেনী উপজেলার শশ্যদি ইউনিয়নের দেবীপুর গ্রাম থেকে বিয়ে করে আনার পর থেকে, স্বামী জুবায়ের আহমেদ প্রতিনিয়ত মাদক সেবন করে এসে (স্ত্রী ইসরাত জাহান রুবি) কে প্রতি রাত্রে তার সাথে মাদক সেবন এবং উলঙ্গ হয়ে তার সাথে নাচার জন্য রেডি হয়ে আসতে বলেন তার এসব খারাপ প্রস্তাবে স্ত্রী রাজি না হওয়াতে স্ত্রীর উপর চলাতে থাকে অমানসিক নির্যাতন অত্যাচার এক সময় তার উপর শারীরিক নির্যাতন করে তাকে বাধ্য করা হতো মাদক সেবন। এবং স্ত্রীর আত্মচিৎকারে আশেপাশের বাড়ির লোকজন এসে নীরবে তাকিয়ে থাকা ছাড়া কিন্তু কিছুই বলার সাহস করতো না। যার কারণ জুবায়ের ছিল মাদকের ডিলার অর্থ দিয়ে যে কোন কাজ করতে পারতো। আবার কখনো কখনো অর্থের জন্য চাপ দেওয়া হতো এসব সহ্য করতে না পেরে স্ত্রী ইসরাত জাহান রুবি তার পিতার বাড়ি চলে যান ফেনী জেলার শশ্যদি ইউনিয়নে বিস্তারিত তার পিতাকে জানানো হলে তার পিতা স্বামীর গ্রাম সাতঘড়িয়া গ্রামের গণ্যমান্য লোকদের সাথে যোগাযোগ করে দুই পক্ষের গণ্যমান্য লোকদের সম্মতিক্রমে শালিসি বৈঠক বসেন। এবং উক্ত সালিশি বৈঠকে জুবায়ের অপরাধী প্রমাণিত হয়ে প্রতিশ্রুতির দেন, দ্বিতীয়বার এসব ধরনের আর কোন ঘটনা হবে না,এবং সে ভালো হয়ে যাবে এবং গণ্যমান্য লোকদের ভালো হয়ে যাবার প্রতিশ্রুতি দেওয়াতে সালিশি বৈঠকে লোকদের কথার ভিত্তিতে স্ত্রী ইসরাত জাহান রুবি স্বামী জুবায়ের আহমেদের বাড়িতে ফিরে আসেন এবং স্ত্রী কয়েকদিন ধরে লক্ষ্য করেন স্বামীর কোন পরিবর্তন হয় নাই, সে আগের মতই প্রতিনিয়ত মাদক সেবন করে আসে, এবং মাদকের বিক্রির সাথে জড়িত এসব কাজ ছাড়তে পারে নাই। এবং কি হঠাৎ করে প্রথম স্ত্রীকে না জানিয়ে ডিভোর্স না দিয়ে তার স্বামী জুবায়ের তার আপন মামাতো বোনকে বিয়ে করে বাড়িতে নিয়ে আসে এবং দ্বিতীয় স্ত্রীকেও প্রথম স্ত্রীর মতো একইভাবে শারীরিকভাবে নির্যাতন করে মাদকের সাথে সম্পৃক্ত হতে বাধ্য করেন আর রাজি না হলে প্রথম স্ত্রীর মতো প্রতি রাতে চলে তার উপর ও শারীরিক নির্যাতন এরপর সেই হঠাৎ করে তৃতীয় বিয়ে করে নিয়ে আসেন এবং নতুন তৃতীয় বউয়ের উপর ও ছলে মাদক বিক্রি হতে শুরু করে মাদক সেবন এবং তাকে বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করার জন্য তার উপর ও চলে অত্যাচার আসলে স্থানীয় গ্রামবাসী বলেন জুবায়ের মাদকের বড় ডিলার আমাদের গ্রামগুলো ভারত বর্ডার সীমান্ত গ্রাম তাই জুবায়ের বড় বড় মাদকের চালান ঢাকা চট্টগ্রাম বিশ্বরোড আমাদের গ্রামের সাথে হওয়ার কারণে মাদকের চোরা কারবারিরা চুরি করে গোপনে এখান থেকে দেশের বিভিন্ন জেলায় দুই থেকে তিন ঘন্টার মধ্যে চলে যায় তারা মোটে মোটাঅংকের টাকা কামায় তারা এটাকা দিয়ে যেকোনো লোককে কিনে ফেলে আর এরা এত খারাপ হয় যে নিজের স্ত্রীকে পরের বিছানা পাঠাতেও তাদের দ্বিদাবোদ করে না টাকার জন্য। যার ফলে আমরা ভয়ে প্রতিবাদ করতে পারিনা ইতিপূর্বে প্রথম স্ত্রী ইসরাত জাহান রুবি ফেনী সদর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন এবং ফেনী আদালতে উক্ত মামলায় স্বামী জুবায়ের আহমেদের দেড় বছরের সাজা হয় এবং জুবায়ের আহমেদের নামে গ্রেফতার ওয়ারেন্ট বের হয় এবং প্রথম স্ত্রী অভিযোগ করে বলেন এখনো পর্যন্ত মাদক কারবারি নারী নির্যাতনকারী ওয়ারেন্ট ভুক্ত সাজাপ্রাপ্ত আসামি জুবায়েরকে এখনো পর্যন্ত পুলিশ কেন গ্রেফতার করতে পারেনি তাই কুমিল্লা পুলিশ সুপার এর প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করে বাদি অভিযোগ করে বলেন অতি দ্রুত আসামিকে যেন গ্রেফতার করে আইনের আওতা আনা হয়।