
মহিউদ্দীণ মাসুমঃ চৌদ্দগ্রাম (কুমিল্লা) প্রতিনিধিঃ
গত ২৭ ফেব্রুয়ারী ও ১লা মার্চ চৌদ্দগ্রামে কুয়েত প্রবাসীর গাড়ীতে এবং একই স্থানে মালয়েশিয়া প্রবাসীর গাড়ীতে চৌদ্দগ্রাম ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চট্টগ্রামমুখী লেনে ডাকাতির ঘটনায় চৌদ্দগ্রাম থানা পুলিশ ও পুলিশ সুপার মহোদয়ের দিকনির্দেশনায়, সহকারি পুলিশ সুপার চৌদ্দগ্রাম সার্কেল এর তত্ত্বাবধানে এবং অফিসার ইনচার্জ চৌদ্দগ্রাম ও ডিবি কুমিল্লা এর সার্বিক সহায়তায় একটি চৌকশ টিম গঠন পূর্বক ঘটনাসমূহের ঘটনাস্থল পরিদর্শন এবং সিসি ক্যামেরার ফুটেজ পর্যালোচনায় করে, তিনটি ঘটনায় একই পিকআপ ব্যবহৃত। এই ঘটনার সাথে জড়িত ডাকাতরা একই দলের সদস্য। পরবর্তীতে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় এবং গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে চৌদ্দগ্রাম থানার একটি চৌকস দল কুমিল্লা জেলার চান্দিনা থানা এলাকা এবং পার্শ্ববর্তী চাঁদপুর জেলার কচুয়া থানার বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করে ডাকাতি সংঘটনে ব্যবহৃত একটি পিকআপ গাড়ী, দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র, লুণ্ঠিত মালামাল, অর্থ ও বৈদেশিক মুদ্রাসহ ০৪ (চার) জন আন্তঃজেলা ডাকাত দলের সক্রিয় সদস্যদের গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছে। গ্রেফতার পরবর্তীতে ডাকাতদেরকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, কুমিল্লা, চাঁদপুর, নোয়াখালী ও চট্টগ্রাম জেলার ২০/২৫ জন ডাকাত মূলত ০৩ (তিন) টি গ্রুপে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন কায়দায় মহাসড়কে ডাকাতি কার্যক্রম পরিচালনা করে। তারা বিমানবন্দর থেকে বিভিন্ন সোর্সের মাধ্যমে প্রবাসীদের গাড়ী সম্পর্কে তথ্য পায়। মেঘনা টোল প্লাজা থেকে তারা প্রবাসীর গাড়ীর পিছু নেয় এবং নির্জন স্থানে পিকআপ দ্বারা গাড়ীটিকে ব্যারিকেড দেয়। তারা মূলত ৬/৭ জনের একটি ডাকাত দল দেশীয় ধারালো অস্ত্রশস্ত্রের মুখে প্রবাসীদের জিম্মি করে তাদের সর্বস্ব ছিনিয়ে নেয়। জিজ্ঞাসাবাদে তারা পরপর প্রবাসী বহনকারী ০২টি গাড়ীর গতিরোধ করে ডাকাতির কথা স্বীকার করেছে এবং তাদের সাথে সম্পৃক্ত কতিপয় ডাকাতদের নাম প্রকাশ করেছে। তদন্তের স্বার্থে এ মুহূর্তে তাদের নাম প্রকাশ করা হলো না। গ্রেফতারকৃত ডাকাতদের নাম-ঠিকানা:- ১। মোঃ আব্দুল হান্নান (৩৫), পিতা-আব্দুল মান্নান, সাং-মনপুরা, থানা-কচুয়া, জেলা-চাঁদপুর। ২। মোঃ শরীফ হোসেন (৪৫), পিতা-মৃত সিরাজ মোল্লা, সাং-চরমোহনা (বাহাদুর বাড়ি), থানা-রায়পুর, জেলা-লক্ষীপুর। ৩। মোঃ আলাউদ্দিন (৩৫), পিতা-তাজুল ইসলাম, সাং-নুরপুর (দোলাই নবাবপুর), থানা-চান্দিনা, জেলা-কুমিল্লা। ৪। নজরুল ইসলাম (৬০), পিতা-মৃত হাজী রমিজ উদ্দিন, সাং-জোরপুকুরিয়া (জামিরাপাড়া ভূঁইয়া বাড়ি), থানা-চান্দিনা, জেলা-কুমিল্লা। উদ্ধারকৃত মালামাল (ডাকাতির ঘটনায় ব্যবহৃত মালামাল):- ১। একটি পিকআপ গাড়ী (যা ডাকাতি সংঘটনের কাজে ব্যবহৃত), ২। দুইটি স্টিলের কিরিচ, ৩। দুইটি রামদা, ৪। একটি চাইনিজ কুড়াল, ৫। একটি দেশীয় কুড়াল, ৬। একটি লোহার শাবল, ৭। একটি লোহার রড, ৮। একটি লোহার রড, ৯। একটি মোটা রশি। উদ্ধারকৃত লুষ্ঠিত মালামাল:- ১। ১৬ কুয়েতি দিনার, ২। ৮০ মালয়েশিয়ান রিঙ্গিত, ৩। বাংলাদেশী ৩,৫০০ টাকা ৪। ০১ টি বিদেশী কম্বল