মোঃ মাহবুব আলম , স্টাফ রিপোর্টার,কুমিল্লা:
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক মুসলিম হলে চোর সন্দেহে তোফাজ্জল হোসেন (৩২) নামে এক যুবককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) মধ্যরাতে এ ঘটনা ঘটে।এই ঘটনার অভিযোগের সাথে আবুবাকের মজুমদারকে জড়ানোর প্রোপাগান্ডা চালাচ্ছে কিছু কুচক্রী মহল,অথচয় যে সময় মারামারির ঘটনা ঘটেছে তখন সূত্রপাত জানায়, আবু বাকের মজুমদার হলেই ছিল না।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী বাংলাদেশ তরুণ কলাম লেখক ফরমের সভাপতি মাজেদ হোসেন হৃদয় বলেন,এখন পর্যন্ত তোফাজ্জল হ*ত্যার ঘটনায় ৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকিরাও গ্রেফতার হবেন।
একটি বিষয় নিয়ে বেশ প্রোপাগান্ডা চলছে দেখলাম। সমন্বয়ক বলেই Md. Abu Baker Mojumder এমন অপপ্রচারের শিকার হচ্ছে কিনা জানি না। তবে আমি শুরু থেকেই বিষয়টা নিয়ে কাজ করছি। যে সময় মারামারির ঘটনা ঘটেছে তখন সে মূলত হলেই ছিল না। তার আগেই হল ত্যাগ করেছিল। হলের বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থীও তাই জানাল। পরে হলে ফিরে এমন পরিস্থিতি দেখে শিক্ষার্থীদের নিয়ে প্রতিবাদ জানাতেও দেখলাম। এর বাইরে কারো কাছে কোনো তথ্য থাকলে জানাতে পারেন। তবে, বিষয়টা যদি সাথে সাথে জেনে থাকে তাহলে আরো দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখতে পারতো। না জেনে, মিথ্যা না ছড়ায়-
মাহিদুল ইসলাম রিন্তু বলেন, প্রথমেই গতকালের হ*ত্যাকান্ডের তীব্র নিন্দা এবং প্রতিবাদ জানাচ্ছি, এবং এর সাথে যারা জড়িত সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে তাদের বিচারের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তিরও দাবি জানাচ্ছি।
গতকালের হত্যা*কান্ড নিয়ে বিভিন্ন পোস্টের মাধ্যমে নির্দিষ্ট একটা গোষ্ঠী Md. Abu Baker Mojumder ভাইয়ের বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার চালাচ্ছে, তাকে বিতর্কিত করার জন্য।
বাকের আমার ছোট বেলার বন্ধু।সেই ছোট থেকেই দেখে আসছি সব ধরনের অন্যায়ের বিরুদ্ধে কিভাবে তার কন্ঠ সবসময় জারি থাকতো।এবং সর্বশেষ আপনারা আওয়ামী ফ্যাসিবাদের দোসরদের বিরুদ্ধে তার অবস্থান এবং বাংলাদেশের মানুষকে স্বৈরশাসক থেকে মুক্ত করতে তার অবদান অনস্বীকার্য। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন তার কি ভূমিকা ছিল সেটা সবারই জানা। কিন্তু একটা নির্দিষ্ট গোষ্ঠী স্বাধীনতার পরবর্তী সময়ে এসে তাকে সহ আরও কয়েকজনকে নানানভাবে বিতর্কিত করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
গতকালের ঘটনার একজন প্রত্যক্ষদর্শীর পোস্টেও বলা হয় ঘটনার সময় বাকের ভাই হলেই অবস্থান করেননি।
তবুও তাকে এই হ*ত্যাকান্ডের সাথে জড়ানো হচ্ছে।
আপনারা নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন ইচ্ছাকৃতভাবে এই প্রপাগাণ্ডা কারা ছড়াচ্ছে এবং তাদের উদ্দেশ্য কি।
এদের এখুনি শক্তহাতে প্রতিহত করতে হবে।
এরকম হীন মিথ্যা অপপ্রচারের তীব্র নিন্দা এবং প্রতিবাদ জানাচ্ছি। পাশাপাশি যারা এমন অপপ্রচার চালাচ্ছেন তাদেরকেও আইনের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি।
সুযোগসন্ধানীরা ভাবসে আমাদেরকে যেটা গিলানোর চেষ্টা করবে আমরা ওটাই গিলবো…
সাধারণ শিক্ষার্থীরা এতোটাও ধইঞ্চা না, ভায়া!
সাবধান হয়ে যাও, এখনও সময় আছে।