দেলোয়ার হোসেন
গত ০৯ জানুয়ারি ২০২৪ তারিখ দিবাগত রাতে কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার রামপুরা চিংড়িঘের এলাকায় সশস্ত্র সন্ত্রাসীর গুলিতে মোহাম্মদ হোসেন নামক একজন চিংড়ি ব্যবসায়ী গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই মৃত্যুবরণ করেন। উক্ত ঘটনায় ভিকটিমের ছেলে বাদী হয়ে কক্সবাজারের চকরিয়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং-১৮/১৮, তারিখ ১২ জানুয়ারি ২০২৪। নৃশংস এই হত্যাকান্ডটি এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে এবং উক্ত ঘটনাটি বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ায় গুরুত্বের সাথে প্রচারিত হলে ব্যাপক আলোচিত হয়। র্যাব উক্ত হত্যাকান্ডের সাথে জড়িতদের আইনের আওতায় নিয়ে আসতে গোয়েন্দা নজদারী বৃদ্ধি করে।
এরই ধারাবাহিকতায় গত রাতে র্যাব-৩ এর একটি আভিযানিক দল রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে উক্ত হত্যাকান্ডের মূলপরিকল্পনাকারী ১। শহিদুল ইসলাম লিটন (৪৫), পিতা-শামছু মিয়া, চকরিয়া, কক্সবাজার, ২। আবু জাফর (৫০), পিতা- কালা মিয়া, মহেশখালী, কক্সবাজার, অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী ৩। মোঃ সোহেল (৩৭), পিতা-ইদ্রিছ আহমদ, চকরিয়া, কক্সবাজার, ৪। আজগর আলী (৪৫), পিতা- নুরুল ইসলাম, চকরিয়া, কক্সবাজার, ৫। আবুল হোসেন পাখী (৩৫), পিতা- মৃত আব্দুল হামিদ, চকরিয়া, কক্সবাজার, ৬। নাজমুল হোসাইন রকি (২৭), পিতা-নুরুল হোসেন বাঙালী, চকরিয়া, কক্সবাজার, ৭। আবদুর রহিম (৪৮), পিতা-মৃত জহির আহমেদ, চকরিয়া, কক্সবাজার ও অন্যান্য সহযোগী ৮। জয়নাল আবেদীন (৫৫), পিতা- মৃত সৈয়দ আহমদ, চকরিয়া, কক্সবাজার, ৯। মোঃ শাহিন (২৩), পিতা-বলাইয়া, মহেশখালী, কক্সবাজার, ১০। মুহাম্মদ শাহাব উদ্দিন (৪৪), পিতা-মোস্তাফিজুর রহমান, বাঁশখালী, চট্টগ্রাম, ১১। প্রদীপ কুমার শীল (৪৮), পিতাঃ অনন্ত কুমার, মহেশখালী, কক্সবাজার, ১২। মোঃ রিদুয়ান (৩১), পিতাঃ আবু জাফর, মহেশখালী, কক্সবাজার, ১৩। আবদুল হক (৫৫), পিতা-গোলাম হোসেন, মহেশখালী, কক্সবাজার, ১৪। মোঃ কাইছার (৩৫), পিতা-মোঃ হারুন, চকরিয়া, কক্সবাজারদের’কে গ্রেফতার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃতরা উক্ত হত্যাকান্ডের সাথে তাদের সংশ্লিষ্টতার বিষয়ে তথ্য প্রদান করে। আসামিদের সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে ৷