
শাহাদাত হোসেন, রিপোর্টার, চট্টগ্রাম :
চট্টগ্রামে চান্দগাঁও থানা পুলিশের একটি অভিযানে ছিনতাইকারী গ্যাংয়ের চার সক্রিয় সদস্য গ্রেফতার হয়েছে। থানার অফিসার ইনচার্জ জনাব মোঃ আফতাব উদ্দিনের নেতৃত্বে পরিচালিত এই অভিযানটি ২০২৫ সালের ৩ জানুয়ারি রাত ৮টা ৪০ মিনিটে চান্দগাঁও থানা এলাকায় পরিচালিত হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামীরা হলেন:
১. মোঃ আরিফ (২০), পিতা: মোঃ আনোয়ার, মাতা: নূর নাহার বেগম, ঠিকানা: কোলাপাড়া লম্বা কলোনী, গ্রীন সোসাইটির পাশে, জান আলী রেলস্টেশন, চান্দগাঁও, চট্টগ্রাম।
২. মোঃ সুমন (৩০), পিতা: আবুল কালাম সওদাগর, মাতা: লাকী বেগম, ঠিকানা: চরপাতা, সৈয়দ মুখির বাড়ী, দৌলত খাঁ, ভোলা। বর্তমানে জান আলী রেলস্টেশন, ৮নং পুল সেলিমের ভাড়াঘর, চান্দগাঁও, চট্টগ্রাম।
৩. মোঃ রুবেল (২৭), পিতা: মোঃ সেলিম, মাতা: রোকেয়া বেগম, ঠিকানা: সাইফুদ্দিন কলোনী, সেলিমের ঘর, ৮নং জান আলী রেলস্টেশন, রুম নং-০১, চান্দগাঁও, চট্টগ্রাম।
৪. জাকির হোসেন (২৮), পিতা: কালু মিয়া, মাতা: তাসলিমা বেগম, ঠিকানা: চরভূতা, লালমোহন, ভোলা। বর্তমানে মৌলভী পুকুরপাড়, চান্দগাঁও, চট্টগ্রাম।
এই গ্রেফতারের পেছনে চান্দগাঁও থানায় রেজিস্টার্ড মামলা নং-২৫, তারিখ-২৮/০১/২০২৫, ধারা-৩৯৯/৪০২ পেনাল কোডের প্রেক্ষিতে অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে এসআই (নিঃ) মোঃ বশির গাজী, এসআই (নিঃ) রাশেদুল ইসলাম, এসআই (নিঃ) ইমরান ফয়সাল, এএসআই (নিঃ) জালাল উদ্দিন এবং অন্যান্য ফোর্স সদস্যরা অংশগ্রহণ করেন।
এ বিষয় নিয়ে অফিসার ইনচার্জ চান্দগাঁও থানা জনাব মোঃ আফতাব উদ্দিন থেকে জানা যায়, গ্রেফতারকৃত আসামীরা এলাকায় ছিনতাই ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিল। তাদের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটি মামলা রেজিস্টার্ড রয়েছে। অভিযানের সময় তাদের কাছ থেকে ছিনতাইয়ের কাজে ব্যবহৃত বিভিন্ন সরঞ্জাম ও জিনিসপত্র উদ্ধার করা হয়েছে।
চান্দগাঁও থানার অফিসার ইনচার্জ জনাব মোঃ আফতাব উদ্দিন জানান, “আমরা এলাকায় শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে এবং অপরাধ দমনে নিয়মিত অভিযান চালিয়ে যাচ্ছি। এই গ্রেফতার আমাদের অভিযানের একটি বড় সাফল্য। আমরা আশা করি, এর মাধ্যমে এলাকায় ছিনতাইয়ের মতো অপরাধ কমে আসবে।”
গ্রেফতারকৃত আসামীদেরকে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। পুলিশ তাদের বিরুদ্ধে আরও জিজ্ঞাসাবাদ ও তদন্ত চালাচ্ছে।
এই এলাকার বাসিন্দা বিশিষ্ট সাংবাদিক এবাদুল হোসেন( পিআইবি) বলেন এই অভিযানের মাধ্যমে চান্দগাঁও এলাকার সাধারণ মানুষ স্বস্তি প্রকাশ করেছেন এবং পুলিশের এই সাফল্যের জন্য প্রশংসা জানিয়েছেন। এলাকাবাসী আশা করছেন, এরপর থেকে ছিনতাইয়ের মতো অপরাধ কমে আসবে এবং শান্তিপূর্ণ পরিবেশ ফিরে পাবেন।