ইফতেখার হোসেন, চট্টগ্রাম ব্যুরো- জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকান্ডের অন্যতম প্রধান কুশীলব জিয়াউর রহমানবলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
বৃহস্পতিবার (২৪ আগষ্ট) সন্ধ্যা ৬টার দিকে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের বঙ্গবন্ধু হলে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের উদ্যোগেআলোচনা সভায় প্রধান অতিথির ভার্চ্যুয়ালী বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর শেখ মুজিবুর রহমানসহ ১৫আগস্ট কালো রাতে নিহত সকল শহীদদের স্মরণে উক্ত সভার আয়োজন করে।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেন, যার জন্ম না হলে এ দেশ স্বাধীন হতো না এবং আজও আমরাপাকিস্থানের দাসত্বের নিগড়ে আবদ্ধ থাকতাম, ইতিহাসের মহামানব সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি দুনিয়ার নির্যাতিত-নিপীড়িত মানুষেরশ্রেষ্ঠবন্ধু জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে আমরা এই আগস্ট মাসে হারিয়েছি।
শোকাবহ আগস্টের সেই কালরাতে ঘাতকের নির্মম বুলেটে প্রাণ হারিয়েছেন বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছা মুজিবসহ জাতির পিতার পরিবারেরঅন্যান্য সদস্যগণ-তাদের সকলকে বিনম্র শ্রদ্ধায় স্মরণ করি।
মুক্তিযুদ্ধের পর একটা ধ্বংস্তুপের মধ্যে যখন ফিরে আসি তখন আমাদের ঘর-বাড়ি কিছুই ছিল না। সেখান থেকে বঙ্গবন্ধু দেশকে এগিয়েনিয়ে যাচ্ছিলেন। সারা পৃথিবী থেকে তিনি সাহায্য পেয়েছিলেন। সারা পৃথিবীর মানুষ তাকে ভালোবাসতো। যুদ্ধবিধ্বস্থ দেশকে দ্রুতপুনগঠিত করে বঙ্গবন্ধু যখন দেশের সার্বিক উন্নয়নে এগিয়ে যাচ্ছিলেন, ঠিক সে সময় পরাজিত দেশি-বিদেশি চক্র তাঁকে সপরিবারে হত্যাকরে। আমি বলবো দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক শক্তি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরুদ্ধাচারণ করেছিল সেই দুই শক্তি একীভূতহয়ে ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করেছে। আর সেই হত্যাকান্ডের অন্যতম প্রধান কুশীলব ছিল বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউররহমান।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার পর জিয়াউর রহমানকেই সেনাবাহিনীর প্রধান নিয়োগ করেছিল খোন্দকার মোস্তাকআহমেদ। এতে কি প্রমাণিত হয়? এতে প্রমাণিত হয় জিয়াউর রহমানই বঙ্গবন্ধুর হত্যাকান্ডের অন্যতম প্রধান কুশীলব। ১৫ আগস্টবঙ্গবন্ধুর হত্যাকান্ড শুধুমাত্র জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকান্ড নয়, সেদিন প্রকৃতপক্ষে বাংলাদেশের স্বাধীনতাকেহত্যা করার লক্ষ্যেই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করা হয়েছিল।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, আগস্ট মাস আসলেই নানামুখী ষড়যন্ত্রে সরব হয় বিএনপি এবং স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তি। এই আগস্ট মাসেইতারেক জিয়ার নেতৃত্বে এবং বেগম জিয়ার জ্ঞাতসারে প্রকাশ্য দিবালোকে ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা চালিয়ে বঙ্গবন্ধুকন্যাজননেত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার অপচেষ্টা চালানো হয়েছে। ১৭ আগস্ট সারাদেশে একযোগে পাঁচশ’ জায়গায় বোমা হামলা হয়েছে।আগস্ট মাস আসলে বিএনপি নানামুখী ষড়যন্ত্র শুরু করে।
আয়োজিত সভায় সভাপতিত্ব করেন উত্তর জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি এরদুল হক নিজামী ভুট্টু। সাধারণ সম্পাদক মোঃ নাছিরউদ্দিন রিয়াজের পরিচালনায় প্রধান বক্তা ছিলেন চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আ’লীগের সভাপতি এম.এ সালাম। তিনি বলেন, ১৯৭৫সালের এই দিনে সর্বকালের স্বাধীনতার মহান স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর পরিবারকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। বঙ্গবন্ধুযে স্বপ্ন দেখেছিলেন তার সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে মর্যাদাবান জাতি হিসাবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে বাংলাদেশ।সারা বিশ্বে বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের রোল মডেল। উন্নয়নের এই ধারা অব্যাহত রাখতে আবারও নৌকায় ভোট দিতে তিনি সকলেরপ্রতি আহ্ববান জানান।
বিশেষ অতিথি ছিলেন, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ মো. আতাউর রহমান।
বক্তব্য রাখেন, উত্তর জেলা আ’লীগের সহ-সভাপতি আবুল কাশেম চিশতী,জেলা মহিলা আ’লীগের এড.বাসন্তী পালিত, চট্টগ্রাম উত্তরজেলা আওয়ামী সেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি এরাদুল হক নিজামী ভুট্টু, সাধারণ সম্পাদক রিয়াজ, উত্তর জেলা লশ্রমিক লীগেরসভাপতি এডভোকেট শামীম, কামাল উদ্দিন, নুরে আলম সিদ্দিকী, এ এস এম সেলিম, মহসিন খান, সাইফুল ইসলাম, মোহাম্মদ আলীসিদ্দিকী, মো. জাহাঙ্গীর আলম, গিয়াস উদ্দিন, বাবর উদ্দীন সাগর, দেলোয়ার হোসেন, এড সাইফুন নাহার খুশী, এড.মামুন উদ্দিন, জিকু, দিদারুল আলম, এয়াকুব মুন্না, শওকত হোসেন, সাব উদ্দিন, সৌহরাভ হোসেন, মোস্তাফিজুর রহমান, মিন্টু বড়ুয়া, সাইফুলইসলাম, জাভেদ টুটুল, দীপন দাশ, তারেকুল কালাম তুহিন, আশরাফ উদ্দিন, মাষ্টার মিজানুর রহমান, শওকত চৌধুরী, আবু তাহের, মো. সোহাগ, ইয়াছিন, তাজুল ইসলাম, মিরাজ, আব্দুল্লাহ আল মামুন প্রমূখ।