মোঃ শাহ ইমরান শাহীন : সীতাকুণ্ড প্রতিনিধি
গতকাল ২৩ জুন ২০২৪ ইংরেজি রোজ রবিবার। চট্টগ্রাম ২৮১ সীতাকুণ্ড ৪ আসনের সাংসদ ও সীতাকুন্ড উপজেলা আওয়ামীলীগের সংগ্রামী সাধারণ সম্পাদক, সাবেক চট্টগ্রাম উত্তর জেলা যুবলীগের সভাপতি, সাবেক সফল দুই দুইবারের নির্বাচিত সীতাকুণ্ড উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, এস এম আল মামুন এমপির নেতৃত্বে বনাঢ্য আয়োজনে এবং ৭৫ পাউন্ডের কেক কেটে। বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের ৭৫ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করেছেন সীতাকুণ্ড উপজেলা আওয়ামীলীগ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন।
উক্ত প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। সীতাকুণ্ড মাটি ও মানুষের নেতা এস এম আল মামুন এমপি। অনুষ্ঠানটির সভাপতি করেন ৪ নং মুরাদপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান এবং সীতাকুণ্ড উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি এস এম রেজাউল করিম বাহার।
উক্ত অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। সীতাকুণ্ড উপজেলা পরিশোধের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান।ও বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মো:আরিফুল আলম রাজু চৌধুরী।
অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন। চট্টগ্রাম জেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ৫ নং বাড়বকুণ্ড ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মহসিন জাঙ্গীর। চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের সদস্য ও সীতাকুণ্ড উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আ স ম দিলশাদ।
সীতাকুণ্ড উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবেদী আল মামুন। সীতাকুণ্ড পৌর মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব মোঃ বদিউল আলম। উপজেলা আওয়ামীলীগ নেতৃবৃন্দ।ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ নেতৃবৃন্দ ও ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান বৃন্দ। উত্তর জেলা যুবলীগের সংগ্রামী সাধারণ সম্পাদক মো:শাহাজান। সীতাকুণ্ড উপজেলা যুবলীগ নেতৃবৃন্দ, ছাত্রলীগ নেতৃবৃন্দ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতৃবৃন্দ, কৃষক লীগ নেতৃবৃন্দ, তাঁতী লীগের নেতৃবৃন্দ, শ্রমিক লীগ নেতৃবৃন্দ সহ বিভিন্ন ওয়ার্ড ও ইউনিয়ন থেকে আগত নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর বক্তব্যে বক্তারা আওয়ামী লীগের উন্নয়ন অগ্রযাত্রা কে তুলে ধরে। এবং আগামী বাংলাদেশকে স্মার্ট বাংলাদেশ রূপান্তরিত করার কথা ব্যক্ত করে।
এবং সকলে ঐক্যবদ্ধ থেকে বাংলাদেশকে আরও সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য সকলে এক হয়ে কাজ করার প্রতিশ্রুতিও দিয়ে থাকে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে সীতাকুণ্ড গনমানুষের নেতা। সীতাকুণ্ডের নেতাকর্মীদের আবেগের স্থান। সীতাকুণ্ড থেকে বিপুল ভোটে নির্বাচিত সাংসদ আলহাজ্ব এস এম আল মামুন এমপি বলেন। তিনি গ্রুপিং রাজনীতিতে বিশ্বাসী না। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা ওনাকে যে দায়িত্ব সম্মান দিয়েছেন। সে দায়িত্ব ও সম্মানের জায়গা থেকে তিনি সীতাকুণ্ডকে স্মার্ট সীতাকুণ্ডে রূপান্তরিত করতে চান। আর সেখানে শিক্ষার কোন বিকল্প নাই। তাই যাদের দিয়ে সমাজের শিক্ষার কার্যক্রম প্রসারিত হবে তাদেরকে তিনি নেতৃত্বে আনতে চান।
এখানে কোন কুচক্রী মহল কোন কিছুই করতে পারবে না। তিনি হুংকার দিয়ে বলেন প্রয়াত এমপি আলহাজ্ব এবিএম আবুল কাশেম মাস্টারের রক্ত আমার শরীরে বইছে। কিন্তু আমি আবুল কাশেম মাস্টার নই।আমি আলহাজ্ব এস এম আল মামুন।
তাই সকলকে সজাগ থেকে যার যার অবস্থান থেকে অন্যায় অপরাধকে পিছু হটিয়ে।সীতাকুণ্ডকে স্মার্ট সীতাকুণ্ড রূপ দেওয়ার জন্য কাজ করে যেতে হবে। আমি চেয়েছি সকলকে সকল নেতাকর্মীকে সাথে নিয়ে কাজ করার জন্য। কিন্তু কিছু লোক তাতে বাধার সম্মুখীন করতে চাচ্ছে। তাই সকলকে ঐক্যবদ্ধ থেকে জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করার লক্ষ্যে কাজ করে যাওয়া আহবান করেন। তখন শ্লোগানে শ্লোগানে মুখরিত ছিল পুরো অডিটোরিয়াম। বক্তব্য শেষে তিনি নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে ৭৫ পাউন্ডের কেক কেটে সকলের মুখে কেক তুলে দেন। এবং অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষনা করেন।