গিয়াস উদ্দিন লিটন,চট্টগ্রাম ব্যুরো- ঈদুল আজহা উপলক্ষে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) নগরীতে ২৩টি অস্থায়ী পশুর হাট বসানোর অনুমতি চাইলেও চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন ১৪টি শর্তে ৩টি স্থায়ী কোরবানির পশুর হাট সহ আরো ৯টি অস্থায়ী কোরবানির পশুর হাট বসানোর অনুমোদন দিয়েছে
চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনকে।
৩টি স্থায়ী পশুর হাট হচ্ছে—সাগরিকা বাজার, বিবিরহাট বাজার ও পোস্তারপাড় ছাগলের হাট।
৯টি অস্থায়ী পশুর হাট হলো—বাকলিয়ার নূরনগর হাউজিং এস্টেট মাঠ, পতেঙ্গার খেজুরতলা বাঁধ সংলগ্ন মাঠ, পতেঙ্গার হোসেন আহমেদ পাড়া সংলগ্ন টিএসপি মাঠ, পতেঙ্গায় মুসলিমাবাদ রোড, পাঁচলাইশের ওয়াজেদিয়া মোড়, আউটার রিং রোডে সিডিএ মাটির মাঠ, হালিশহর বড় পোলের গোডাউন এলাকা, সল্টগোলা রেলওয়ে ক্রসিং সংলগ্ন মাঠ এবং দক্ষিণ পতেঙ্গার বাটারফ্লাই পার্কের দক্ষিণে টিকে গ্রুপের খালি মাঠ।
রোববার (২৫জুন) বিকালে নগরীর হালিশহর বড়পোল এলাকায় অবস্থিত সিটি কর্পোরেশনের অস্হায়ী পশুর হাটে গিয়ে দেখা গেছে,
এবার কোরবানি ঈদে দেশি গরুর চাহিদা একটু বেশি। যার ফলে পশুরহাটে দেশি গরুর দামও একটু বেশি চাচ্ছেন বিক্রেতারা। ইতোমধ্যে
ক্রেতা বিক্রেতার আগমনে সরগরম হয়ে উঠেছে হালিশহর বড়পোল পশুর হাট।
কিন্তু চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন থেকে ১৪টি শর্তে এবার নগরীর পশুর হাটগুলো ইজারা দিলেও, মানা হচ্ছে না বেশিরভাগ শর্ত।
এদিকে কোরবানির ঈদ যতই ঘনিয়ে আসছে পশুর হাটগুলোতে ক্রেতা-বিক্রেতা ভিড় বাড়ছে, তবে ক্রেতাদের দাবি গত বছরের তুলনায় পশুর দাম অনেক বেশি। শাহ এগ্রো এন্ড ডেইরী ফার্মের মালিক ইমরান শাহ বলেন বতর্মানে গো- খাদ্যের দাম তুলনামূলক বেশী হওয়ায়, গত বছরের তুলনায় দাম একটু বেশি।
ইজারাদার মো. আলি আজগর সোহেল দৈনিক সরেজমিন বার্তাকে বলেন, আমরা বাজারে সব ধরনের গরু, মহিষ ও ছাগলের সরবরাহ রেখেছি ক্রেতারা যাতে পছন্দের পশুটি কিনতে পারেন।
কোরবানির পশুর হাটের নিরাপত্তার বিষয়ে হালিশহর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. জহির উদ্দিন দৈনিক সরেজমিন বার্তাকে বলেন- আমরা সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছি, মানুষ যাতে নিরাপদে কোরবানির পশু বেচাকেনা করতে পারে এবং ক্রেতা বিক্রেতার নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে আমাদের একটি টিম সব সময় বাজার মনিটরিং করছে। পাশাপাশি পশুর হাট যেন নিদিষ্ট স্থানের বাহিরে বসাতে না পারে সে জন্য আরেকটি টিম কাজ করছে।