চট্টগ্রাম ব্যুরো- চট্টগ্রামে ডেঙ্গুর প্রকোপ বেড়েই চলছে প্রতিদিন। হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন গড়ে ২০ জনেরও বেশী রোগী। চলতি বছরের প্রথম ৬ মাসে আক্রান্তের সংখ্যা ৬শ’ এর কাছাকাছি, প্রাণ হারিয়েছে ১০ জনের মতো। ঈদের পর থেকে সরকারি বেসরকারি সব হাসপাতালে বেড়েছে ডেঙ্গু রোগীর চাপ। আক্রান্তদের মধ্যে রয়েছে বেশিরভাগই শিশু। চট্টগ্রাম মেডিকেলসহ অন্যান্য হাসপাতালের চিত্রও একই। আক্রান্তদের ২৫ ভাগই শিশু। ঈদের পর থেকে রোগী বাড়ছে বলে জানান চিকিৎসকরা।
বন্দরনগরীর আকবরশাহ এলাকার এনজিও কর্মকর্তা ডেঙ্গু আক্রান্ত মাসুদুল হক বলেন, ‘আমার মেয়ের ডেঙ্গু টেস্ট করানো হলে তখন তার পজিটিভ আসে। পরবর্তীতে সন্দেহ হলে আমরাও টেস্ট করাই। তখন আমার স্ত্রী ও আমার পজিটিভ আসে।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসকদের সাথে কথা বলে জানা যায়, রোগীদের ফ্লুয়িড ও প্লাজমা লিকেজ হয় । যার কারণে তাদের প্রেশার লো হয়ে যায়। তাদের রক্তচাপ মেনটেইন করা আমাদের জন্য চ্যালেঞ্জিং হয়ে যায়। তাদের রক্তে প্লাটিলেট কাউন্ট কমে যাওয়ার কারণে রেগুলার তাদের ব্লাড মনিটরিং করে স্বাভাবিক করতে হয়।
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের তথ্য অনুসারে, চট্টগ্রামে এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ৫৭৯ জন। আর মৃত্যু ঘটেছে ১০ জনের। আক্রান্তদের মধ্যে ৫০ শতাংশ পুরুষ, ২৪ শতাংশ নারী এবং ২৫ শতাংশের বেশি হচ্ছে শিশু। এছাড়াও মৃত্যু হওয়া ১০ জনের মধ্যে পাঁচ জনই হচ্ছে শিশু। দুই জন নারী ও তিনজন পুরুষ রয়েছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে ভর্তি ২৪ জন: চট্টগ্রামে গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন হাসপাতালে আরও ২৪ জন ভর্তি হয়েছে। তাদের মধ্যে শিশু থেকে বৃদ্ধাও রয়েছেন। আক্রান্তদের মধ্যে বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালে ১৮ জন এবং চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে ৬ জন ভর্তি হয়েছেন। গতকাল (সোমবার) চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে এ তথ্য জানানো হয়। এ নিয়ে চট্টগ্রামে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৫৭৯ জনে এসে দাঁড়িয়েছে। তাদের মধ্যে ৮৫ জন বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। বাকি ৪৯৪ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরলেও এ পর্যন্ত ডেঙ্গুতে চট্টগ্রামে প্রাণ গেছে ১০ জনের।
উল্লেখ্য যে, জুলাই মাসের প্রথম ৩ দিনেই চট্টগ্রামে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ১১৫ জন। জ্বর নিয়ে হাসপাতালে আসা বেশিরভাগ রোগীর ধরা পড়ছে ডেঙ্গু।