

চট্টগ্রাম ব্যুরো- জাতীয় পাবলিক সার্ভিস দিবস উপলক্ষে সরকার এটিকে ‘খ’ শ্রেণির দিবস হিসেবে ঘোষণা করেছে। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য-‘সবার আগে সুশাসন, জনসেবায় উদ্ভাবন’।
রোববার (২৩ জুলাই) দিবসটি উদযাপন উপলক্ষে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন জাতীয় কর্মসূচির আলোকে ব্যাপক কর্মসূচি পালন করেছে। কর্মসূচির অংশ হিসেবে সকাল ১০ টায় জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের শেখ রাসেল চত্বরে শোভাযাত্রার উদ্দেশ্যে জমায়েত এবং পরে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয় থেকে ব্যানারসহ শোভাযাত্রায় শুরু হয়।
জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান’র সভাপতিত্বে জাতীয় পাবলিক সার্ভিস দিবস এর প্রতিপাদ্য বিষয় এর উপর আলোচনা করা হয়। এসময় মহানগর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মোজাফফর আহমদ, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক রাকিবুল হাসানসহ সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের প্রতিনিধিগণ উপস্থিত ছিলেন।
জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান বলেন, ২০৪১ সালে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে বর্তমান সরকার ইতোমধ্যে অনেকগুলো প্রকল্প হাতে নিয়েছে। স্মার্ট বাংলাদেশের অংশ হিসেবে বেশ কিছু পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে যেমন-পেপার লেস, ক্যাশ লেস, প্রেজেন্ট লেস। এ কাজগুলো করতে পারলে সুশাসন নিশ্চিত হবে। ইতোমধ্যে বিভিন্ন দপ্তরে স্মার্ট টেকনোলজি ব্যবহার করে তাদের অফিসের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। যার ফলে অফিসের কার্যক্রম দ্রুত হচ্ছে এবং হয়রানি থেকেও মানুষ মুক্তি পাচ্ছে। সরকারের এ উদ্যোগে আমাদের সমন্বিত হয়ে কাজ করতে হবে।
জেলা প্রশাসক আরো বলেন, চট্টগ্রামকে স্মার্ট সিটি বানাতে জেলা প্রশাসন একটি উদ্যোগ নিয়েছে। জেলা প্রশাসনের অধীনে যে লাইসেন্স সেবা দেয়া হয়ে থাকে তার জন্য মানুষকে আর অফিসে এসে কাগজপত্র জমা দিতে হবে না। সফটওয়্যারের মাধ্যমে কাগজ পত্র ও টাকা জমা দিবে এবং ঘরে বসে সেবা নিবে। আগামী একবছরের মধ্যে এ সেবা চালু করা হবে।
এছাড়া দিনব্যাপী জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষ ও স্ব-স্ব দপ্তরে সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের সেবা প্রাপ্তির পদ্ধতি, সেবার ধরণ সংবলিত পোস্টার বা ফেস্টুন- অনুষ্ঠান স্থলসহ স্ব-স্ব দপ্তরে বা জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অথবা উপজেলা প্রশাসনের হলরুমে দপ্তরভিত্তিক আলাদাভাবে প্রদর্শনের ব্যবস্থা করা হয়।
দুপুর ১২টার দিকে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জেলা ও উপজেলায় বিভিন্ন দপ্তরের উদ্ভাবনী প্রয়াসের মাধ্যমে সরকারি সেবা কিভাবে জনগণের দোড়গোড়ায় পৌঁছানো সম্ভব হয়েছে তার বিভিন্ন ডকুমেন্টরি প্রজেক্টরে প্রদর্শনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়াও স্ব-স্ব দপ্তরে সোশ্যাল মিডিয়ায় বিভিন্ন দপ্তরের পেইজ থেকে প্রদত্ত সেবার বিবরণ ও দৃষ্টান্তসহ বিভিন্ন তথ্য আপলোড করে প্রদর্শনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা, বিভিন্ন দপ্তরের যে সকল সেবা জাতীয় পাবলিক সার্ভিস দিবসে প্রদান করা যায়। যেমন- বিআরটিএর মাধ্যমে ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রদান, ভূমিহীনদের কবুলিয়াত প্রদান ইত্যাদি জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের গঠিত কমিটি কর্তৃক নির্ধারণ পূর্বক স্ব-স্ব দপ্তরের মাধ্যমে প্রদানের ব্যবস্থা করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
এছাড়া সরকারি সেবাসমূহের মানোন্নয়নের জন্য সেবা প্রার্থীগণের মতামত যাচাইয়ের লক্ষ্যে সুবিধাজনক স্থানে ফিডব্যাক প্রদানের ব্যবস্থা রাখা, জেলা ও উপজেলায় বিভিন্ন দপ্তর থেকে প্রদত্ত সেবাসমূহ স্থানীয় ক্যাবল নেটওয়ার্ক, পত্রিকা, সোশাল মিডিয়া এবং তথ্য বিভাগের মাধ্যমে ব্যাপকভাবে প্রচার করার ব্যবস্থা করা হয়েছে।