নিজস্ব প্রতিবেদক- নগরীর ৩৪ নং পাথরঘাটা ওয়ার্ডের সোমা মজুমদার নামে এক নারী ও ডাঃ আশীষ কুমার নাথের দ্বন্দ্ব গড়িয়েছে আদালতে। একদিকে কোলের শিশু নিয়ে স্ত্রীর স্বীকৃতি ও পিতৃ-পরিচয়ের দাবী, সেইসাথে ভরণপোষণের মামলা, অন্যদিকে প্রতারণার অভিযোগ এনে পালটা মামলা। উভয়ের মামলা বিচারাধীন,কিন্তু আদালতের রায়ের অপেক্ষা না করেই সাম্প্রতিক সময়ে দফা রফার চেষ্টায় দৌড়ঝাঁপ চলছে কাউন্সিলর কার্যালয়ে। ঐ নারী আদালতের দ্বারস্থ হওয়ার আগে ২০২৩ সালে কাউন্সিলর কার্যালয়ে আবেদন করলেও সেইসময় ব্যবস্থা নিতে দেখা যায় নি সেই কাউন্সিলরকে। কিন্তু মামলা বিচারাধীন থাকার পরও আদালতের রায়ের অপেক্ষা না করে ১১ মাস পর কি সমাধান দিবেন সেই কাউন্সিলর? আর সেই সমাধানে কোলের শিশুটির জন্য কতটাই বা সহায়ক হবে কিংবা সোমা মজুমদারের ভাগ্যে স্ত্রীর স্বীকৃতিই বা মিলছে কি না তা নিয়ে তৈরী হয়েছে ধোঁয়াশা?
চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলার মধ্যবিত্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেছিলেন সোমা মজুমদার। বাবার কর্মের সূত্রে তাই ছোটোবেলা থেকেই তারা সপরিবারে বসবাস করতো নগরীর পাথরঘাটা এলাকায়। ছোটো বেলা থেকেই জীবনের প্রায় একটি উল্লেখযোগ্য সময় কেটেছে এখানে। স্কুল জীবনের শেষদিকেই যেখানে উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করে জীবনকে আরো এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার পথে অগ্রসর হবে সেই মূহুর্তে ইভটিজিংসহ নানাবিধ প্রলোভনে অপ্রাপ্ত বয়সে মানসিক চাপে পড়ে যান তিনি। সামাজিক মান-মর্যাদা আর আত্মসম্মানের কথা বিবেচনা করে মেয়ের সুষ্ঠু ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করতেই মাতা-পিতার চোখে যখন দুঃসহ চিন্তায় ভরপুর তখনই এক প্রবাসীর সাথে বিবাহ প্রদানের মাধ্যমে নিজের কন্যার ভবিষ্যত নিশ্চিত করার শেষ চেষ্টা করেন পিতা, এমনটাই জানান তিনি। যথারীতি সামাজিকভাবে বিয়ের পর বেশ ভালোই যাচ্ছিলো সোমার সাংসারিক জীবন। তার ঘর আলো করে জন্ম নিলো এক পুত্র সন্তান। কিন্তু এবার আর তর সইলো না ভাগ্যের। যেই অসামাজিক চাপে অপ্রাপ্ত বয়সে বিয়ের পিড়িতে বসেছিলেন সেই চাপে এবার অতিষ্ট হয়ে উঠলো দাম্পত্য জীবন। কী সেই অসামাজিক চাপ জিজ্ঞেস করতেই তুলে ধরলেন সকল বাস্তবতা।
সোমা মজুমদারের অভিযোগঃ
সোমা মজুমদার জানান তার প্রথম বিয়ে হয় ২০০৫ সালে, তখন তার বয়স ছিলো ১৫ বছর, অনিচ্ছাসত্ত্বেও অল্পবয়সে মেয়েকে বিয়ের পিড়িতে বসাতে বাধ্য হন সোমা মজুমদারের মা বাবা। কারণ ১৫ বছর বয়সেই স্কুল পড়ুয়া ছাত্রী থাকা অবস্থায় ডাঃ আশীষ কুমার নাথ নামে এক ব্যক্তির কাছে উত্যক্তের শিকার হয়েছিলেন সোমা। নানাবিধ প্রেমের প্রস্তাবে সাড়া না দেয়াতে কাল হয়ে দাঁড়ান সেই আশীষ কুমার নাথ। মা বাবার পছন্দমত বিয়ের পিড়িতে বসলেও পিছু ছাড়েনি আশীষ। বিয়ের মাস পেরোতে না পেরোতেই তার প্রথম স্বামীর নিকট বিয়ের আগে সোমা নামের ঐ নারীর সাথে প্রেমের সম্পর্ক সহ মিথ্যে ও বানোয়াট তথ্য উপস্থাপন করে বিষিয়ে তোলে সোমা মজুমদারের প্রথম স্বামীর মন। জন্ম দেয় সন্দেহের,সেই সন্দেহের কারণে একপর্যায়ে নড়বড়ে হয়ে উঠে দাম্পত্য জীবন, বাড়তে থাকে দাম্পত্য কলহ। স্বামীর নির্যাতনের পরিধিও বাড়তে থাকে সমান তালে। নিরুপায় হয়ে অসহায়ের মত মুখ বুঝে সহ্য করতে থাকে স্বামীর নির্যাতন,এরই মাঝে সে সংসারে সোমা মজুমদারের গর্ভে আসে প্রথম সন্তান।
কিন্তু সংসার কিংবা দাম্পত্য জীবনে দেখা মেলেনি কোন পরিবর্তনের। পূর্ব প্রেমের মিথ্যে বানোয়াট গল্পের রচয়িতা আশীষ কুমার নাথের কারণে দাম্পত্য কলহের জেরে অতীতে নানান সময়ে দফায় দফায় সোমার পরিবার সহ বিচার শালিস করেও মেলেনি সমাধান।একপর্যায়ে সোমা মজুমদারকে বাসা নিয়ে দিয়ে সংসারের সকল দায় চাপিয়ে প্রবাসে চলে যায় প্রথম স্বামী। বাড়তে থাকে দূরত্ব, যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয় সোমা ও তার সন্তানের সাথে।
বাসা ভাড়া,সন্তানের লেখা পড়ার খরচ সংসারের খরচ একা যোগাতে গিয়ে হিমশিম খেতে হয় একা সোমা মজুমদারকে। খুঁজতে থাকেন চাকরি,চাকরি খুঁজতে গিয়ে আসতে থাকে নানা রকম কুপ্রস্তাব। অবশেষে কদমতলী পারফেক্ট ডায়াগনস্টিক সেন্টারে চাকরির আবেদন করলে রিসিপশনে চাকরী হয় সোমা মজুমদারের। সেখানে দেখা মেলে ডাক্তার হিসেবে দায়িত্বরত ডাঃ আশীষ কুমার নাথের। সেখানেও চাকুরী করার সময়ে নানাভাবে পুনরায় সেই ডাক্তার আশীষ কুমার নাথের হাতে উত্যক্তের শিকার হতে থাকেন সোমা। এমন পরিস্থিতি সইতে না পেরে সে চাকরী ছেড়ে দিতে বাধ্য হন তিনি। এরপর নগরীর দেওয়ানহাট পপুলার মেডিকেল সেন্টারে চাকরী নেন তিনি।
কিন্তু সেখানেও সেই আশীষ কুমার নাথের হাতে নানাবিধ অত্যাচার,নির্যাতন- নিপীড়ন ও উত্যক্তের শিকার হতে থাকেন তিনি। আর কত চাকরী খুঁজবেন তিনি এমন প্রশ্ন রেখে জানান চাকরী টিকিয়ে রাখতে অনেকটা নিরুপায় হয়ে সবকিছু মুখ বুঝে সহ্য করতে থাকেন তিনি,এরই মধ্যে সোমা মজুমদারের অসহায়ত্বের সুযোগ নিয়ে বাসায় বেড়াতে যাওয়ার নাম করে একা ঘরে সোমা মজুমদারকে একা পেয়ে অনেকটা ইচ্ছের বিরুদ্ধেই শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হন আশীষ কুমার নাথ,সোমার স্বামীর সাথে বনিবনা না হওয়ার বিষয়টি জানতো আশীষ,তারই সুযোগ নেয় বলে দাবী সোমার।
এরপর সন্তান সম্ভবা হয়ে পড়েন সোমা মজুমদার,লোকলজ্জার ভয়ে সইতে থাকেন আশীষ কুমার নাথের দিনের পর দিন অত্যাচার।সেসময় সন্তান সম্ভবা হলে গর্ভের সেই সন্তান নষ্ট করতে বাধ্য করেন আশীষ কুমার নাথ।এরপর প্রথম স্বামীর সংসারে বঞ্চিত হয়ে অনেকটা বাধ্য হয়েই ডাক্তার আশীষ কুমার নাথের আশ্বাসে নতুন করে সুখের খোঁজ করতে থাকেন সোমা মজুমদার,ডাক্তার আশীষ কুমার নাথ সোমা মজুমদারকে আশ্বস্ত করতে থাকেন তাকে ভবিষ্যতে বিয়ে করে স্ত্রীর স্বীকৃতি দিয়ে ঘরে তুলবেন,সংসার করবেন,আগের কিছুই চিন্তা করতে হবে না সোমাকে।
এভাবে নানা আশ্বাসের ফুলঝুরি দিয়ে কালক্ষেপণ করতে থাকে আশীষ,এরপর একপর্যায়ে আবারো ২য় বারের মত সন্তান সম্ভবা হন সোমা, সেসময় পুনরায় বাচ্চা নষ্ট করার চাপ দেয় আশীষ কিন্তু সে প্রস্তাবে রাজি হননি সোমা ছিলেন দৃঢ় অবস্থানে, রাজি না হওয়ায় ডাক্তার আশীষ কুমার নাথের দুই বন্ধু ডাঃ অরুণ কুমার রায় ও ডাঃ রাজীব শীল প্রতিনিয়ত হয়রানি ও নির্যাতন করতে থাকে,বাচ্চা নষ্ট না করলে সোমা মজুমদারকে হুমকি ও দিতে থাকে তারা,সোমা মজুমদার রাজি না হওয়ায় চাকুরী ক্ষেত্রেও তাকে নানারকম চাপ সৃষ্টি করতে থাকে আশীষ কুমার নাথ ও তার দুই বন্ধু। এনিয়ে ২০২৩ সালে আদালতে আশীষ কুমার নাথের বিরুদ্ধে সাধারণ ডায়েরীও করে সোমা মজুমদার।এরপর ডাক্তার আশীষ কুমার নাথ ও তার বন্ধুরা সোমা মজুমদারের সেই পপুলার মেডিকেল সেন্টারে গিয়ে সেই মেডিকেল সেন্টারের মালিক সহ নানারকম চাপ সৃষ্টি করে হুমকি ধমকি ও ভয়ভীতি দেখাতে থাকে।
এরপর গর্ভের সন্তান নিয়ে স্ত্রীর স্বীকৃতির লক্ষ্যে আশীষ কুমার নাথের কাছে বিয়ের প্রস্তাব দিলে তিনি বাচ্চার বাবা নয় বলে অস্বীকার করতে থাকেন এবং গর্ভের বাচ্চা নষ্ট করার জন্য লাগাতার চাপ প্রয়োগ করতে থাকেন।সোমা মজুমদার প্রতিবেদকের কাছে প্রশ্ন রাখেন যদি বাচ্চাটি ডাঃ আশীষ কুমার নাথের না হয়ে থাকে তাহলে তিনি কেনো বাচ্চা না রাখার জন্য বলেছিলেন। এ সংক্রান্তে আশীষ কুমার নাথের একাধিক কল রেকর্ড প্রতিবেদকের হাতে এসেছে।বিয়েতে অস্বীকৃতি জানানোয় ও বাচ্চার বাবার পিতৃত্বের দাবী নিয়ে নয়ছয় বুঝে উঠতে পেরে সোমা আইনের আশ্রয় নেয়ার কথা ডাঃ আশীষ কে জানালে আবারো পুনরায় একবার বিয়ে করবে আরেকবার করবে না বলে কালক্ষেপণ করতে থাকে।
একপর্যায়ে আশীষ তার ছোট ভাই ও বোনের স্বামী বিমল চন্দ্র নাথকে সোমার বাসায় পাঠায় এবং সোমার মা বাবার সাথে কথা বলে আইনের আশ্রয় না নেয়ার অনুরোধ জানিয়ে উভয়ের বিয়ে করানোর সিদ্ধান্ত জানায় এবং পরবর্তীতে গত ১৬ মার্চ ২০২৩ ইং তারিখে নির্বাহী ম্যজিস্ট্রেট/নোটারী পাবলিকের কার্যালয় আদালতে যৌথ হলফনামার মাধ্যমে বিয়ে সম্পন্ন হয় দাবী সোমার। এরপর সোমা মজুমদারকে গর্ভাবস্থায় নগরীর ডবলমুরিং থানা এলাকায় বাসা ভাড়া নিয়ে দেয় ডাঃ আশীষ,কিন্তু দাম্পত্য সম্পর্ক সঠিকভাবে পালন করছিলেন না তিনি, এর পর ১৮ মার্চ ২০২৩ তারিখে পুত্রসন্তানের জন্ম দেয় সোমা।
সোমার অভিযোগ বিয়ে ও সন্তান প্রসবের এক মাস পার হতে না হতেই এপ্রিল মাসে সেপারেশন মামলা দায়ের করেন আশীষ,সোমার দাবী আইনগত ব্যবস্থা ধর্ষণ মামলা এড়াতেই কৌশল হিসেবেই বিয়ের নাটক করেছে আশীষ।
এরমধ্যে ভরণপোষণ ও সংসার খরচ বন্ধ করে দেয় আশীষ,সুদের উপর ঋণ নিয়ে ডাঃ আশীষের হুমকির মুখে ভয়ে অনেকটা গোপনেই বাচ্চা ডেলিভারি করান সোমা,ঋণের বোঝায় তাই নিরুপায় হয়ে স্ত্রীর স্বীকৃতি আদায়ে ও সন্তানের ভবিষ্যৎ চিন্তা করে নগরীর পাথরঘাটা এলাকার কাউন্সিলর বিল্ডিং এর পার্শ্ববর্তী অনন্যা টাওয়ার এর চতুর্থ তলায় ডা; আশীষ কুমার নাথের বাসভবনে যান তিনি,কিন্তু সেখানে গেলে ডা; আশীষ কুমার নাথ ও তার প্রথম স্ত্রী প্রিয়া নাথের হাতে লাঞ্চিত হতে হয় সোমাকে,সেবার কোতোয়ালী থানা পুলিশ সেখান থেকে সরিয়ে নেয় সোমা ও তার কোলের শিশুকে।এভাবে নিরুপায় হয়ে আশীষ কুমার নাথের অফিসে গিয়েও মিলেনি সমাধান,এর আগে সন্তান অন্যকে দিয়ে দেয়ার বিনিময়ে মোটা অংকের টাকা দিয়ে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টাও করেছিলো আশীষ ও তার সহযোগীরা,এছাড়া ৭ মাসের গর্ভাবস্থায় থাকাকালীন ডাঃ আশীষ কুমার নাথের এক বন্ধুর সাথে সোমাকে বিয়ে দেওয়ার প্রস্তাব ও রাখেন আশীষ। দীর্ঘ ১১ মাস ধরে সমাধানের লক্ষ্যে স্ত্রীর স্বীকৃতি ও সন্তানের পিতৃ পরিচয় পেতে দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন ঐ নারী মেলেনি কাঙ্ক্ষিত সমাধান।১১ মাসের সন্তানকে কোলে নিয়ে নেমে আসতে হয়েছে রাস্তায়।
সেসময় এসব অভিযোগের বিষয়ে উল্লেখ করে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের ৩৪ নং পাথরঘাটা ওয়ার্ড কাউন্সিলর পুলক খাস্তগীরের কাছে আবেদন করেন সোমা মজুমদার কিন্তু অভিযোগের ১০ মাস পেরোলেও সে সময়কালে দৃশ্যত কোন ব্যবস্থা নিতে দেখা যায়নি কাউন্সিলরকে।
এছাড়া খোরপোষ ও অন্যান্য দাবী আদায়ের জন্য সোমা মজুমদার ৩১/০৮/২০২৩ ইং তারিখে সিনিয়র সহকারী জজ ও পারিবারিক ১ম আদালতে ডা; আশীষ কুমার নাথকে বিবাদী করে ৫,০০,৫০০ টাকার একটি মামলা দায়ের করেন যাহা বর্তমানে আদালতে বিচারাধীন।
এরমধ্যে অসহায় ও নিরুপায় হয়ে স্ত্রী দাবী করে পুনরায় গত ০৫/০৪/২০২৩ ইং তারিখে শুক্রবার নগরীর পাথরঘাটা এলাকার কাউন্সিলর বিল্ডিং এর পার্শ্ববর্তী অনন্যা টাওয়ার এর চতুর্থ তলায় ডা; আশীষ কুমার নাথের বাসভবনে পুনরায় গেলে সেখানে আশীষ কুমার নাথ ও তার পরিবার গা ঢাকা দেয়।সেসময় সেখানে উপস্থিত হয় এলাকাবাসী সহ গণমাধ্যমকর্মীরা,সেসময় গা ঢাকা দিলেও ৯৯৯ এ আশীষ কুমার নাথের কল পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় কোতোয়ালী থানা পুলিশের একটি টিম, একই দিনে সোমার বিরুদ্ধে প্রতারণার কথা উল্লেখ করে কোতোয়ালী থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করে আশীষ কুমার নাথ যাহা এখনো তদন্তাধীন। ।সেখানে অনড় অবস্থানে ছিলেন সোমা,আশীষের বাসার নিচে অবস্থানকালে একপর্যায়ে সেখানে উপস্থিত হন কাউন্সিলর পুলক খাস্তগীর।
সেখানে উপস্থিত হয়ে কাউন্সিলর বিষয়টি নিয়ে কাউন্সিলর কার্যালয়ে উভয়পক্ষকে হাজির হওয়ার নির্দেশনা দেন,এরপর থেকে বদলে যেতে থাকে ঘটনার দৃশ্যপট,চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের ৩৪ নম্বর পাথরঘাটা ওয়ার্ড কার্যালয়ের বিশ্বস্ত সূত্র নিশ্চিত করেছেন,বিষয়টি সমাধানের জন্য সমঝোতা চুক্তির মাধ্যমে সোমা মজুমদারকে স্ত্রীর স্বীকৃতি দিয়ে বরণ করে না নিয়ে, শুধুমাত্র সন্তানের পিতৃপরিচয় দিয়ে কোন ধরনের সম্পত্তির দাবী করিতে পারিবে না মর্মে শর্ত রেখে ও মোটা অংকের টাকা লেনদেনের মাধ্যমে দফা রফা করার জোর চেষ্টা চলছে,সেসাথে ১২ লক্ষ টাকায় অবুঝ শিশুর পৈতৃক সম্পত্তির অধিকারের দরকষাকষিও চলছে।
ডাঃ আশীষ কুমার নাথের বক্তব্যঃ
সোমা মজুমদারের অভিযোগের বিপরীতে ডাঃ আশীষ কুমার নাথের পূর্বে প্রতিবেদককে দেয়া বক্তব্যে জানিয়েছিলেন যে তার বিরুদ্ধে আনা সকল অভিযোগ ভিত্তিহীন,সোমা মজুমদারের আগের একজন স্বামী আছে,দশম শ্রেণী পড়ুয়া একজন বাচ্চা আছে,একসময় আমার কাছে এসেছিলো একটি চাকুরীর জন্য,অভাবগ্রস্ত থাকায় তাকে আমি একটি চাকরী দিয়েছিলাম, চাকরী দেয়ার পরে সবসময় আমাকে অভাব দেখাতো, বেশ কয়েকবছর পরে আমাকে কিছু নেশা দ্রব্য খাইয়ে ছবি তুলে আমাকে চর থাপ্পর মেরে ৩০০ টাকার স্ট্যাম্পে একটি হলফনামায় স্বাক্ষর নেয়,সেটাকে উনি(সোমা মজুমদার) বিয়ে হিসেবে দাবী করছে,এর পর আমি দুটি মামলা করি,আইনের আশ্রয় নিয়েছি একটি প্রতারণা মামলা একটি সেপারেশন মামলা,যেহেতু দাবী করছে আমি আইনের আশ্রয় নিয়েছি।আমার দুটি মামলা চলমান আদালত যা সিদ্ধান্ত দেয় আমি তা মানতে রাজি হবো,পূর্বে গর্ভপাত সহ বর্তমানে সোমা মজুমদারের কোলজুড়ে আসা বাচ্চার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি ডি এন এ পরীক্ষার বিষয়টি তুলে ধরেন এবং বাচ্চা না রাখার ব্যাপারে বেশ কয়েকটি কল রেকর্ড হাতে আসার কথা বললে তিনি পালটা প্রশ্ন করেন যে এমন প্রমাণ থাকলে আদালতে যেতে বলুন,উভয়পক্ষ আদালতে গেছি যা সিদ্ধান্ত আদালতে হবে।
কিন্তু আদালতের বিচারাধীন মামলাকে পাশ কাটিয়ে কাউন্সিলর কার্যালয়ে দফা রফার যে গুঞ্জন উঠেছে সে বিষয়টি নিশ্চিত করতে পুনরায় সেই ডাঃ আশীষ কুমার নাথকে বক্তব্যের জন্য ফোন করা হলে প্রথমে তিনি বক্তব্য দেবেন বলে কোতোয়ালী থানার সামনে যেতে বলেন এবং এরপর আবার ফোন করলে তিনি বক্তব্য প্রদানে অস্বীকৃতি জানান এ বিষয়ে।
অন্যদিকে কাউন্সিলর পুলক খাস্তগীর এর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বিষয়টি বেশ জটিল বলে আখ্যায়িত করে মুঠোফোনে বক্তব্য দিতে অস্বীকৃতি জানিয়ে তার কার্যালয়ে গিয়ে এ বিষয়ে সরাসরি কথা বলার আহবান জানান।
পরিশেষে সোমা মজুমদার ও ডাঃ আশীষ কুমার নাথ দুজনেই আদালতের শরণাপন্ন হয়েছেন,মামলাও বিচারাধীন,এমন সময়ে কাউন্সিলর কার্যালয়ে এমন বৈঠক কিংবা দফা রফার চেষ্টায় দৌড়ঝাঁপ কি বয়ে আনতে যাচ্ছে কোলের শিশুটির কপালে সেটিই এখন প্রশ্ন।সে সাথে এর আগে বহুবার আপোষ মীমাংসার নামে কালক্ষেপণ সহ পাতা হয়েছিলো নানা ফাঁদ এবার কোনো নতুন ফাঁদে বলি হতে যাচ্ছে কি না দুধের শিশুটি সে প্রশ্নের উত্তরে মিলছে না সমীকরণ।