মোঃ মাহবুব আলম, নিজস্ব সংবাদদাতাঃ
চট্টগ্রামে কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে সহিংসতার ঘটনায় এক শিবিরের নেতা সাজ্জাদ হোসেন ওরফে সানিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তিনি চট্টগ্রামের এক আওয়ামীলীগ সমর্থিত ওয়ার্ড কাউন্সিলরের ব্যক্তিগত সহকারী। এ নিয়ে চট্টল্লার আওয়ামীলীগ পরিবারের মাঝে তীব্র ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।
শুক্রবার (১৯ জুলাই) তাকে কুমিল্লার কোতোয়ালি থানা পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কোতায়ালি থানার অফিসার ইনচার্জ।
আটককৃত সাজ্জাদ হোসেন নগরের ২ নং জালালাবাদ ওয়ার্ডের বাসিন্দা মো জুলফিকার আলী ও ফরিদা ইয়াসমিনের ছেলে। কোতায়ালি থানার ওসি বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সাজ্জাদ জামাত ইসলামী বাংলাদেশের অংগসংগঠন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্র শিবিরের সাথে সক্রিয় বলে স্বীকার করেন। গত ১৯ জুলাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে মৃত্যুবরনকারীদের গায়েবানা জানাজা উপলক্ষে কোতোয়ালী থানাধীন আন্দরকিল্লা শাহী জামে মসজিদের সামনে সহ আন্দরকিল্লা মোড় এলাকায় অজ্ঞাতনামা ৪০০০/৫০০০ জন ইসলামী ছাত্রশিবির, জামায়াত ইসলামী বাংলাদেশ, বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদল ও এর অঙ্গ সংগঠনের উচ্ছৃঙ্খল নেতাকর্মীদের সাথে সাজ্জাদ হোসেন “নারায়ে তাকবির, আল্লাহু আকবর, জ্বালাও জ্বালাও, আগুন জ্বালাও, পদ্মা মেঘনা যমুনা, জামায়াত ইসলামীর আস্তানা, আমার সোনার বাংলায় মুক্তিযোদ্ধাদের ঠাই নাই, শেখ হাসিনার গালে গালে জুতা মারো তালে তালে” স্লোগান দিয়া হাতে লাঠিসোটা, অস্ত্রশস্ত্র ও বিস্ফোরক দ্রব্য নিয়া বেআইনী জনতাবদ্ধে বিনা উস্কানীতে বিক্ষোভ প্রদর্শন ও জনশৃঙ্খলা বিঘ্ন সৃষ্টি করে।
তিনি আরো বলেন,পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট পাটকেল নিক্ষেপসহ ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। লালদীঘির পার হইতে কোতোয়ালি থানার সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় কোতোয়ালি থানায় ভবনকে লক্ষ্য করে ইট পাটকেল নিক্ষেপ করেন। এছাড়াও বিভিন্ন স্থানের ট্রাফিক পুলিশ বক্সসহ সরকারি বিভিন্ন স্থাপনা ভাঙচুর করেন।
সাজ্জাদ হোসেন ২ নং জালালবাদ ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শাহেদ ইকবাল বাবুর পিএস। এবং দুই নং জালালাবাদ ওয়ার্ডের জামাতের প্রতিষ্ঠাতা জুবায়েদ আরেফিন জুবুর(শাহেদ ইকবাল বাবুর ছোট ভাই) কর্মী।
এ বিষয়ে কাউন্সিলর শাহেদ ইকবাল বাবু বলেন, আমি সাজ্জাদ নামের কাউকে চিনি না। আমার কোন পি এস আটক হয়নি।