মোঃ সাকিবুল হাসান, কুমিল্লা থেকে সংবাদদাতাঃ
গোমতী নদীর বাঁধ ভেঙে কুমিল্লায় বন্যা পরিস্থিতি ক্রমশই ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে। বুড়িচংয়ে বন্যার পানি বেড়েই চলছে। বুড়িচং উপজেলার নতুন নতুন এলাকাও এখন প্লাবনের কবলে পড়ছে। প্রবল স্রোতে ভেসে যাচ্ছে বহু মানুষের স্বপ্ন, আর ঘরবাড়ি ছেড়ে সবাই ছুটছেন আশ্রয়কেন্দ্রের দিকে।
সময়ের সাথে সাথে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হয়ে উঠছে। পানিবন্দিদের উদ্ধার ও সহায়তায় ফায়ার সার্ভিস, বিভিন্ন রাজনৈতিক কর্মী এবং সামাজিক সংগঠনগুলো নিরলসভাবে কাজ করছে।
২৫ আগস্ট রবিবার বিকেল ৬ টায় সর্বশেষ প্রতিবেদন অনুযায়ী, নতুন করে রাজাপুর ইউনিয়নের রাজাপুর গ্রাম, লড়িবাগ, বারেশ্বর এবং শংকুচাইলসহ আরও কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, বুড়বুড়িয়া এলাকার গোমতী বাঁধ ধসে পড়ার পর থেকে বুড়িচং ও ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার প্রায় সোয়া লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। প্রতিনিয়ত প্লাবিত হচ্ছে নতুন নতুন এলাকা। দিশেহারা হয়ে পড়েছে দুই উপজেলার মানুষ। বসতি ছেড়ে মানুষ ছুটছেন আশ্রয় কেন্দ্রের দিকে। সময় যত গড়াচ্ছে পরিস্থিতি ততোই ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে। চারদিকে মানুষের বাঁচার আকুতি শোনা যাচ্ছে। অনেকেই শুধু পরনের কাপড় নিয়ে ঘর ছেড়েছে। শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে রাজাপুর ইউনিয়নের রাজাপুর গ্রাম, লড়িবাগ, বারেশ্বর এবং শংকুচাইলসহ বেশ কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।
এর আগে বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) রাত সাড়ে ১২টার দিকে বুড়িচং উপজেলার ষোলনল ইউনিয়নের বুড়বুড়িয়া এলাকার গোমতী বাঁধের একটি অংশে ধসে পানি ঢুকতে থাকে। মুহূর্তের মধ্যেই প্লাবিত হয়ে যায় বুড়বুড়িয়া এলাকা।
বুড়িচং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাহিদা আক্তার জানিয়েছেন, উপজেলায় ক্রমেই পানি বাড়ছে। নতুন করে বেশ কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। বিদ্যুৎ গোলযোগ এবং নেটওয়ার্ক সমস্যায় তিনি সঠিক পরিসংখ্যান জানাতে পারেননি।
তিনি বলেন, আমরা খোঁজ-খবর নিচ্ছি। নতুন করে মোট কয়টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে জানাতে সময় লাগবে।