
মোঃ রিপন হাওলাদার
রাজধানীর গুলশান বনানীতে স্পার অন্তরালে মাদক-পতিতা ব্যবসার রমরমা দৌরাত্ম্য শুরু হয়েছে।অভিজাত এলাকার বিভিন্ন আবাসিক ভবনে নিয়ম নীতি উপেক্ষা করে মানবপাচার চক্রের চিহ্নিত সক্রিয় সদস্যরা গড়ে তুলেছে স্পা নামীয় নিষিদ্ধ দেহব্যবসার উন্মুক্ত পসরাখানা।
পাপাচার অনাচারের বিষপাপে লিপ্ত ব্যক্তিরা তাদের অর্থ আকাঙ্ক্ষা নিবারণে শুরু করেছে সমাজ বিরোধী নানা রকম কার্যকলাপের বেপরোয়া দৌরাত্ম্য।
বডি ম্যাসাজ শারীরিক প্রশান্তি ভোগের তকমা লাগিয়ে পসরা গুলোতে মাদক সেবন অবৈধ নারী সান্নিধ্যের লাগামহীন বেহায়াপনার সুযোগ করে দিচ্ছে।
পুলিশের নজর এড়িয়ে একসময়ের নিষ্ক্রিয় দেহব্যবসা নিয়ন্ত্রকরা মাথা চাড়া দিয়ে নানা কৌশলে তাদের আদি ব্যবসায় উজ্জীবিত হয়ে উঠেছে।
সক্রিয় তৎপরতায় গড়ে তুলেছে স্পা নামীয় অবৈধ দৈহিক কামবাসনা পূরণের খুপরি খানা।বাধা বিপত্তি ছাড়াই অবলীলায় চলছে তাদের অনৈতিক কর্মকান্ডের দেদাড় অসামাজিক নৈরাজ্য।
পতিতা বৃত্তি ও মাদক ব্যবসাকে পুঁজি করে গড়ে ওঠা খুপরিগুলো লোক চোখের আড়ালে বসে নিয়ন্ত্রণ করছে আভিজাত্য বেশভূষা ধারণ করা মানবপাচার চক্রের কতিপয় সদস্যরা।
তাদের এহেন কর্মকান্ডের চটকদার ফাঁদে পড়ে অজান্তেই নানা রকম আনন্দ ফুর্তিরে ছলে যুবক-যুবতীরা জড়িয়ে পড়ছে অপ্রত্যাশিত যৌনচার আর মাদক সেবনের কর্মযজ্ঞে।
অনেক সময় এসব প্রতিষ্ঠানে কর্মরত নারী কর্মী ও সেবা গ্রহিতারা লোকলজ্জা সামাজিক আত্মসন্মান বাঁচাতে গিয়ে প্রাণহানির মতো ঝুঁকি নিতে বাধ্য হচ্ছেন।এমন ভাবে অকাল প্রাণ বিসর্জনের আলোচিত ঘটনা অনেকেরই জানা রয়েছে।তারপরও মুখোশধারী নারী ব্যবসা নিয়ন্ত্রকদাতারা তাদের উদ্দেশ্য অনুযায়ী পূর্বের মতো স্বাভাবিক ভাবেই কার্যক্রম শুরু করেছে।
ছাত্র-জনতার বিপ্লব অর্জনের পর আবারো সমাজ বিধ্বংসী কর্মকাণ্ডে মেতে উঠেছে তারা। অনেকটা স্বীকৃত পতিতা পল্লীর মতো চলছে তাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গুলো।
যে সমস্ত ঠিকানায় অদ্যবধি অশ্লীল কর্মযঞ্জ চলমান রয়েছে তা হলো:
গুলশান -২ নং এলাকার ২৫/১/এ প্ল্যাটিনিয়াম মার্কেটের ৩য় তলায় ডায়মন্ড বিউটি এন্ড স্পা মালিক প্রিন্স আকাশ ওরফে নয়ন আকাশ, গুলশান -২ সড়ক নং ৪৭ বাড়ি নং -২৫ চতুর্থ তলায় হাসান ও পায়েল।গুলশান-২ রতনপুর ক্যাসল এর তৃতীয় তলায় পান্নুর স্ব-নিয়ন্ত্রীত পতিতালয়।
গুলশান:-১ রোড:-নং ১৩১,বাড়ি নং ৬০/বি, খুশবু রেষ্টুরেন্ট এর উপরে স্মার্ট বিউটি কেয়ার বহুরুপী নারী পাচার চক্রের সক্রিয় সদস্য মালিক সুমনা ওরফে সুলতানা।
গুলশান:-১ রোড:-১৩০,বাড়ি নং ২৮ লিপ্ট এর -৪ ,মালিক লাবনী আক্তার ইভা,একই ভবনের লিপ্ট এর ৩ তাহের হোসেন পাপ্পু,রবি,হিমেল, শিবলু’র পতিতা আখড়া।বনানী থেকে ব্যবসা গুটিয়ে গুলশান-১ নম্বরের সড়ক নং ৮ এর পাশে ২৫ এভিনিউ’র স্থানান্তর করে আবারো নারী ব্যবসা গড়ে তুলেছে (সাবেক) শ্রমিক লীগ নেতা মিজানুর রহমান মিলন মোল্লা ও আজাদ ওরফে মনির নামে এক ব্যক্তি।গুলশান ১নং রবি টাওয়ারের পিছনের ভবনে দীর্ঘদিন ধরে পতিতা ব্যবসা করছে শাহআলম ও জাবেদ নামে দুই ব্যক্তি।
বাড়ি নং-১৩/১ রোড নং ১২ বারিধারা গুলশান-২ এভেরা স্পা মালিক ডলি ও সিদ্দিকুর।বনানীর ,রোড নং -২ বাড়ি নং -২৬ দ্বিতীয় তলায় রোজ স্পা যার মালিক পতিতা সর্দার জনি।
এদের এমন অসামাজিক কার্যকলাপ সংশ্লিষ্টরা দ্রুত নির্মূল বা নিয়ন্ত্রণ না করলে সামাজিক নিরাপত্তার চরম অবক্ষয় ঘটতে পারে বলে সমাজ বিশ্লেষকরা আশংকা করছেন। তারা আরো আশংকা করে বলেন এদের এমন উন্মুক্ত অশ্লীল উম্মাদনায় ঝুঁকিতে রয়েছে শারীরিক বিকাশ ঘটা উঠতি বয়সী তরুণ-তরুণীরা।
অসামাজিক কার্যক্রম মাদক ও অবাধ দেহব্যবসার প্রবণতা মুক্ত সমাজ আমাদের প্রত্যেকের কাম্য ।পুলিশ তাদের নৈতিক দায়িত্ব থেকে এড়িয়ে চললে এদের দমন কোন ভাবেই সম্ভব নয়। তবে সচেতন বাসিন্দারা এমন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধে ম্যাজিস্ট্রেটি ক্ষমতা প্রাপ্ত সেনাবাহিনীর কার্যকরী সহায়তা প্রত্যাশা করছেন।