নিজস্ব প্রতিবেদক:
গুলশান বনানীতে স্পার আড়ালে দেহব্যবসার প্রবণতা ক্রমাগত ভাবে বেড়ে চলেছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। তাঁরা বলছেন প্রতিনিয়ত এসব প্রতিষ্ঠানে অসামাজিক কার্যকলাপ ঘটলেও নির্মূলে পুলিশের নজরদারি একেবারে নেই বললেই চলে।গত কয়েক মাস ধরে এতোটাই উন্মুক্ত ভাবে এসব ব্যবসা নামক প্রতিষ্ঠানগুলোতে অশ্লীল কার্যক্রম চলছে তা বলার মতো নয় ।
ছেলে মেয়েদের হাতে স্মাট ফোন তুলে দিয়ে আরো বিপাকে পড়েছি আমরা পিতামাতারা এসব ব্যবসায়ীরা বিভিন্ন ইঙ্গিত দিয়ে যে ভাবে তাদের প্রচারণা করছে তাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলো ব্যবহার করা অনিরাপদ হয়ে পড়েছে।এই সমস্ত কার্যকলাপ পরিচালিত প্রতিষ্ঠান ও জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে নির্মূলকারী সংস্থার কাছে লিখিত অভিযোগ করেও কোন লাভ হচ্ছে না।যেহেতু আমরা এখানকার বাসিন্দা নিরাপত্তা জনিত কারণে নিজেরা সরাসরি অভিযোগ না করলেও বিভিন্ন ভাবে সংশ্লিষ্টদের কাছে প্রতিকারের লক্ষে অভিযোগ করানো হয় কিন্তু কোন সুফল পাওয়া যাচ্ছে না।
যেমন এই রকম ব্যবসা পরিচালিত হয় এমন কিছু প্রতিষ্ঠানের ঠিকানা ও জড়িত ব্যক্তিদের নাম উল্লেখ করে গত কয়েক মাস পূর্বে একটি সাংবাদিক সংগঠন ও কয়েক জন গণমাধ্যম কর্মী এসব প্রতিষ্ঠান বন্ধের দাবি জানিয়ে গুলশান বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার বরাবর গত ১০-৭-২৩ ইং ,২৭-৭-২৩ ইং,ও ২৪-৮-২৩ ইং তারিখ আলাদা ব্যক্তিরা দরখাস্ত করেন। অনেকে সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে অভিযোগ করলেও প্রতিষ্ঠানগুলো আরো বেপরোয়া ভাবে তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।
যে সকল অবৈধ স্পা প্রতিষ্ঠানগুলো অপ্রতিরোধ্য ভাবে তাদের অশ্লীল উম্মাদনা চালিয়ে যাচ্ছে তারা হলো :-গুলশান-২ নম্বর এলাকার বাড়ি নং -৩৩ রোড নং ৪৫ হোটেল এইচ এর (চতুর্থ তলা) (১) অধরা থাই স্পা/বিউটি থাই স্পা মালিক রত্না আক্তার, গুলশান -২,২৫/১/এ প্ল্যাটিনিয়াম মার্কেটের ৩য় তলায় (২)ডায়মন্ড বিউটি এন্ড স্পা মালিক প্রিন্স আকাশ ওরফে নয়ন আকাশ, গুলশান -১ বাড়ি নং ৯১/বি,রোড নং -২৪, রতনপুর ক্যাশেল এর (৩য় তলা), (৩)মালিক আবুল হোসেন শাওন ও লাকী, বাড়ি নং:-২৩/বি,রোড নং ১০৪ , (৪)মালিক লাকী নামে এক নারী, গুলশান:-১ রোড:-নং ১৩১,বাড়ি নং ৬০/বি, খুশবু রেষ্টুরেন্ট এর উপরে (৫)স্মার্ট বিউটি কেয়ার মালিক সুমনা ওরফে সুলতানা,(৬) গুলশান:-১ রোড:-১৩০, বাড়ি নং ২৮ লিপ্ট এর -৪ , মালিক লাবনী আক্তার ইভা, বনানী কবরস্থান ২৭ নং রোডের ৩৭ নং বাড়ির ৫ম তলায় দীর্ঘদিন যাবৎ অসামাজিক কার্যকলাপ চলছে। বিভিন্ন ঝুটঝামেলায়া পড়ে মালিকানা পরিবর্তন হয় ব্যবসা কার্যক্রম থামেনা প্রতিষ্ঠানটি বর্তমানে শহীদ নামে এক বহুরূপী ব্যক্তি পরিচালনা করছে।
স্পার আড়ালে অনৈতিক কর্মকাণ্ড ও নিরাপদ মাদক সেবনের অন্যতম অভয়ারণ্য হিসেবে পরিণত হচ্ছে এসব সেন্টারগুলো। মানবপাচার আইনের একাধিক মামলায় জর্জরিত হয়ে ব্যবসা গুটিয়ে নেওয়া ব্যক্তিরা আবারো তাদের আগড়া গড়ে তুলতে শুরু করেছে।
গুলশান এলাকায় যে ভাবে স্পা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা হচ্ছে তাতে মনে হয় অসামাজিক কার্যকলাপ বৈধতার স্বীকৃতি পেতে যাচ্ছে ।মূল কথা হচ্ছে আইন বহির্ভূত এমন কর্মকাণ্ড নির্মূল করা যাদের উপর ন্যাস্ত করা হয়েছে তারাই হয়তো চায় না এগুলো নির্মূল হোক।
বিভিন্ন সময়ে গণমাধ্যমে এসব নিষিদ্ধ কার্যক্রম নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ হলে আগে যাও তারা একটু লোকদেখানো ধড়পাকড় করতো কিন্তু গত কয়েক মাস ধরে তার কোন চিহ্ন আর চোখে পড়ে না। দায়িত্ব এখন বখড়াবাজির গ্রাসে নিমজ্জিত হয়ে পড়েছে।
আবার সমাজে গণমাধ্যমের প্রয়োজনীয়তা নিষ্কিয় করতে অবৈধ ব্যবসায়ীদের কাতারে যোগ দিয়েছে এক শ্রেনীর গণমাধ্যম নামধারী দালাল চক্রের কতিপয় সদস্যরা। অসামাজিক কার্যকলাপের বিরুদ্ধে বস্তনিষ্ঠ সংবাদ প্রকাশে অবিচল সংবাদ কর্মীদের থামানোর জন্য নানা ভাবে অর্থ প্রলোভনে ফেলছে তারা। তাদের প্রস্তাবে রাজি না হলে চলে বিপাকে ফেলার অভিনব কৌশল।এই দালাল চক্রের সদস্যরা এসব ব্যবসায়ীদের নানা রকম চটকদার আশ্বাস দিয়ে তাদের রক্ষাকবজ হয়ে পাশে থাকার আস্থা অর্জনে তৎপরতা শুরু করেছে।
নিজেদের ছত্রছায়ায় স্পা ব্যবসা রয়েছে চক্রের এমন সদস্যরা অত্যন্ত সূ-কৌশলী পন্থা অবলম্বন করে কিছু পুলিশ সদস্যদের সাথে ভিন্ন বিষয়ে সৌজন্য সাক্ষাৎতের নামে পরিকল্পিত উদ্দেশ্য নিয়ে ছবি তুলে তা স্পা ব্যবসায় জড়িতদের কাছে উপস্থাপন করে তাদের কর্তৃত্ব বাড়ানোর অপচেষ্টায় সক্রিয় হয়ে উঠেছে বলে একটি বিশ্বাসযোগ্য সুত্র জানিয়েছে। চক্রের অপর একটি পক্ষ ইতিমধ্যে গুলশান -২ হোটেল এইচ এর চতুর্থ তলায় স্পা ব্যবসায়ী রত্নার কাছ থেকে আর কখনো কোন গণমাধ্যম তাদের কর্মকাণ্ড নিয়ে সংবাদ প্রকাশ করবে না বলে সাপোর্ট দেওয়ার নামে মোটা অংকের অর্থ হাতিয়ে নিয়েছে ও অন্যান্য ব্যবসায়ীদের একই আশ্বাস দিয়ে তাদের নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বলে জানা যায়।
চক্রের সদস্যরা নামসর্বস্ব গণমাধ্যমের কার্ড ব্যবহার করা দালাল চক্রের সদস্যদের নিয়ে সংগঠন করার পাঁয়তারা করছে। তাদের মূল উদ্দেশ্য অবৈধ কার্যকলাপ সংগঠিত হয় এমন প্রতিষ্ঠানগুলোকে নিয়ন্ত্রণের নামে কৌশলে অর্থ হাতিয়ে নেওয়াই একমাত্র লক্ষ্য।