
মোঃ রিপন হাওলাদার:
রাজধানীর অভিজাত পাড়া গুলশান-বনানীতে দালাল চক্রের নিয়ন্ত্রণে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে স্পা ব্যবসায়ীরা।স্পা প্রতিষ্ঠানগুলোর নানা রকম অসামাজিক কার্যকলাপের কারণে সামাজিক নিরাপত্তার যেমন অবক্ষয় ঘটছে তেমনি উঠতি বয়সী তরুণ-তরুণীদের চলাচল ঝুঁকি ক্রমশই বাড়ছে। অভিযোগ রয়েছে স্পার আড়ালে নারী ব্যবসায় লিপ্ত অসংখ্য প্রতিষ্ঠান রয়েছে যেখানে স্পা সেবা নিতে গিয়ে বিভিন্ন রকম প্রতারণার শিকার হচ্ছেন অনেকেই।স্পা সেবার ফাঁদ পেতে যুবতী নারী দিয়ে কৌশলে হাতিয়ে নেওয়া হচ্ছে অর্থ।বিশেষ করে কয়েকজন পতিতা সম্রাজ্ঞীর নেতৃত্বে গড়ে ওঠা প্রতিষ্ঠানগুলো অপ্রতিরোধ্য দৌরাত্ম চালাচ্ছে। তারা কোন রকম নিয়ম নীতি তোয়াক্কাই করছে না।প্রতিষ্ঠানগুলোর কর্মকাণ্ড দমনে থানা পুলিশ আইনের কঠোর প্রয়োগ করেও এদের নিয়ন্ত্রণে আনতে পারছে না।বেপরোয়া পতিতা সর্দারনীদের নেতৃত্বে প্রতিষ্ঠানগুলো হলো:-(১)গুলশান -১ বাড়ি নং ৯১/বি,রোড নং-২৪ রতনপুর ক্যাসল এর দ্বিতীয় তলায় গুলশান থানার মানবপাচার প্রতিরোধ আইনে সদ্য হাজতভোগ করা চিহ্নিত নারী ব্যবসায়ী আয়েশা সিদ্দিকা লাবনী ওরফে ইভা ও নারী যোগান চক্রের সদস্য আলোর পরিচালিত স্পা সেন্টার (২)গুলশান -২ রোড নং ৪৭ বাড়ি নং ২৫ এর চতুর্থ তলায় হাসান ও পায়েল এর নিয়ন্ত্রীত পূর্ণতা ওয়েলনেস স্পা সেন্টার,(৩) বাড়ি নং ৩৩ রোড নং ৪৫,লিফট এর ৪,হোটেল এইচ,গুলশান-২ পরিচালনা করছে রত্না ও একটি দালাল সিন্ডিকেট।এছাড়াও গুলশান-২ সড়ক নং ৪৪ বাড়ি নং ২৭ এর চতুর্থ তলায় নোয়াখাইল্ল্যা মোঃ আবুল হোসেন শাওন এর স্পা সেন্টার,বনানীর কবরস্থান ২৭ নং রোডের ৩৭ নং বাড়ির ৫ম তলায় বহুরূপী শহীদ ও সজল এর নিয়ন্ত্রণে চলছে ছোট আকারের পতিতালয় ।মূলত একটি দালাল চক্রের নিয়ন্ত্রণ তৎপরতায় এসব ব্যবসায়ীরা নির্ভাবনায় তাদের কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে।দালাল চক্রটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গুলোর অশ্লীল কার্যক্রম সচল রাখতে ঢাল হিসেবে কাজ করছে।সম্প্রতি সময়ে লাইসেন্স ছাড়া এমন নারী ব্যবসার সঙ্গে জড়িত কয়েকটি প্রতিষ্ঠান ডিএনসিসির একটি মোবাইল কোর্ট সীলগালা করলে তৎপর হয়ে ওঠে নিয়ন্ত্রণ সিন্ডিকেট।মোবাইল কোর্ট কার্যক্রম বন্ধ করতে ডিএনসিসির একজন খাদ্য ও স্যানিটেশন পরিদর্শকের সাথে সখ্যতা গড়ে তোলে স্পা নিয়ন্ত্রক চক্রের একজন সক্রিয় সদস্য।
সূত্র বলছে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের একজন পরিদর্শকের সাথে নিয়ন্ত্রণ চক্রের সঙ্গে মাসিক অর্থ চুক্তির কারণে ধারাবাহিক মোবাইল কোর্ট পরিচালনায় অনেকটা শিথিলতা দেখা যাচ্ছে।আর এমন অভিযান বন্ধের আশ্বাস তকমা দেখিয়ে চক্রটি সিটি কর্পোরেশনের নামে মোটা অংকের অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে।অপর এক সূত্র বলছে দালাল চক্রের ইচ্ছার উপর ভিত্তি করেই প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের কর্মকাণ্ড চলমান রেখেছে।এই চক্রটি দীর্ঘদিন ধরে একধরনের নিয়ন্ত্রণ আধিপত্য গড়ে তুলেছে।এইসব প্রতিষ্ঠানগুলো নির্মূলের জন্য কেউ যদি কোন উদ্যোগ গ্রহণ করে তাদের নানা রকম সুবিধার প্রলোভন দেখিয়ে কার্যক্রম থেকে নিষ্ক্রিয় রাখার চেষ্টা করে চক্রটি।তাদের নেতৃত্বেই এইসব প্রতিষ্ঠানগুলোর কর্মকাণ্ড প্রতিনিয়ত বেড়ে চলেছে।