ফারহানা আক্তার
খাগড়াছড়ি জেলা প্রতিনিধি
খাগড়াছড়ি পুলিশ লাইন্স হাই স্কুলে অভিভাবক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের শিক্ষার মান উন্নয়নে রবিবার (০৫ মে) সকাল-১১.০০ ঘটিকায় এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
প্রধান শিক্ষক উত্তম কুমার নাথ এর সভাপতিত্বে সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন খাগড়াছড়ি জেলার পুলিশ সুপার ও বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি জানাব মুক্তা ধর পিপিএম (বার)।
পুলিশ সুপার বলেন, বাংলাদেশকে স্মার্ট বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তুলতে নতুন শিক্ষাক্রমের মাধ্যমে স্মার্ট শিক্ষা শুরু হচ্ছে। এই স্মার্ট শিক্ষা দেশের সরকার, অর্থনীতি ও সমাজকে স্মার্ট করে তুলবে। শিক্ষার্থীদের শুধু পুথিগত শিক্ষা অর্জন করলে চলবে না, বাস্তবসম্মত শিক্ষা গ্রহন করতে হবে। যা নতুন শিক্ষা ব্যবস্থায় বিদ্যমান। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা মতে ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার জন্য সবাইকে কাজ করতে হবে। এ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের শিক্ষার মান উন্নয়নে অভিভাবকদের আরো সচেতন হতে হবে।
শিক্ষার্থীদের শিক্ষার ক্ষেত্রে গুরুত্ব প্রদানে অভিভাবকদের অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে। শিক্ষার্থীরা লেখাপড়ায় ফাঁকি দিচ্ছে কিনা সেদিকে অভিভাবকদের সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে। বিদ্যালয়ের পাশাপাশি বাড়িতে লেখাপড়া করছে কিনা সেদিকেও অভিভাবকদের সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে।
জেলা শিক্ষা অফিসার জনাব এসএম মোসলেম উদ্দিন বলেন,পুলিশ সুপার মহোদয় স্কুলের সুনাম ও সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন এই জন্য পুলিশ সুপার মহোদয়কে ধন্যবাদ।
পুলিশ সুপার জাতীয় ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন দিবসের বাহিরেও ছাত্রছাত্রীদের, শিক্ষক ও অভিভাবকদের নিয়ে বিভিন্ন প্রোগ্রাম করেছেন যা সর্ব মহলে প্রশংসিত হয়েছে। শিক্ষদের পাশাপাশি অভিভাবকগণও সন্তানের দিকে বিশেষ লক্ষ্য রাখবেন। নতুন কারিকুলাম সম্পর্কে ধারণা দেন।
নতুন কারিকুলাম অনুযায়ী শিক্ষাকে এগিয়ে নিতে হবে।
অভিভাবকদের মধ্যে থেকে মাওলানা মোহাম্মদ বলেন, ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে শিক্ষার কোন বিকল্প নাই। তাই সন্তানদের প্রতি সজাগ দৃষ্টি রেখে যুগ উপযোগী শিক্ষায় শিক্ষিত হিসেবে গড়ে তুলতে আমাদের চেষ্টা অব্যাহত থাকবে। শিক্ষার প্রতি অনুরাগী হওয়ায় এবং শিক্ষা ক্ষেত্রে অবদান রাখায় পুলিশ সুপার মহোদয়কে আন্তরিক ধন্যবাদ।
শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে অংশীদার হতে পেরে নিজেদের সৌভাগ্যবান মনে করছি।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস) জনাব মোঃ জসিম উদ্দিন পিপিএম, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার জনাব মোঃ মনিরউজজামান চৌধুরী, শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকবৃন্দ, প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ।