ফারহানা আক্তার, খাগড়াছড়ি জেলা প্রতিনিধিঃ
খাগড়াছড়ি জেলাতে টানা বর্ষণের কারণে খাগড়াছড়ির নদ-নদীতেগুলোতে পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। জেলার চেঙ্গী ও মাইনি নদীর তীরবর্তী নিন্মাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।
বিশেষ করে জেলা শহরের বাস টামির্নাল,শান্তি নগর মুসলিমপাড়া, গঞ্জপাড়া, খবংপুড়িয়া, বাঙ্গালকাটি, শালবন, বটতলী, প্রভৃতি এলাকার প্রায় ঘর বন্ধী রয়েছে জেলায় প্রায় ১৫শ পরিবার। দুর্ভোগে পড়েছে মানুষ।
সদরের চেঙ্গী নদীর পানি বেড়ে নিম্নাঞ্চলের এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। এ ছাড়া জেলা সদরসহ বিভিন্ন উপজেলায় নদীর পানি বেড়ে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হচ্ছে।
অন্যদিকে, টানা বৃষ্টির কারণে অনেক স্থানে পাহাড়ধসের ঘটনা ঘটেছে। তবে এতে কেউ হতাহত হয়নি।
খাগড়াছড়ি স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে গতকাল থেকেই ভারী বর্ষণের কারণে খাগড়াছড়িতে ঝুঁকিপূর্ণ ভাবে পাহাড়ের পাদদেশে বসবাসকারীদের নিরাপদে সরিয়ে নিতে তৎপরতা শুরু করেছিল। এখনো পর্যন্ত সর্তকতা জারি করে প্রচারণা চালানো হচ্ছে। ঝুকিপূর্ণ এলাকার ত্যাগ করে আশ্রয় কেন্দ্র গুলোতে নিরাপদ আশ্রয় নিতে।
খাগড়াছড়ি ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের উপ সহকারী পরিচালক মোঃ জাকের হোসেন জানান, আমরা সব সময় প্রস্তুত আছি। জেলার বিভিন্ন উপজেলায় আমাদের ফায়ার সার্ভিসের টিম কাজ করে যাচ্ছেন।
খাগড়াছড়ি সদর উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, পাহাড় ধসের ঝুঁকিতে থাকায় এলাকার আশ্রয়কেন্দ্র গুলো প্রস্তুত রয়েছে। খাগড়াছড়ি ৯৯টি আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। শুঁকনো খাবার মজুদ রাখা আছে। ভারী বর্ষণ অব্যাহত থাকায় পাহাড় ধসের ঝুঁকির পাশাপাশি নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ার জনসাধারণদের নিরাপদে আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রয় নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়।