খাগড়াছড়ি জেলা প্রতিনিধি
ফারহানা আক্তার
খাগড়াছড়িতে গত ১৭/১২/২০২৩ খ্রি. পুলিশ নারী কল্যাণ সমিতি (পুনাক), এর উদ্দগ্যে খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার মাননীয় পুলিশ সুপার জনাব মুক্তাধর পিপিএম (বার) মহোদয়ের সভাপতিত্বে খাগড়াছড়ি জেলার শাপলা চত্বরে অবস্থিত মুক্ত মঞ্চে দিনব্যপি ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পের আয়োজন করা হয়। পুনাকের এই সেবামূলক কার্যক্রমের মাধ্যমে প্রায় চার শতাধিক অসহায় মানুষ বিভিন্ন রোগের অভিজ্ঞ ডাক্তারদের নিকট থেকে ফ্রি চিকিৎসা সেবা গ্রহণ করেছিলেন। সেখান চিকিৎসা সেবা নিতে এসেছিলেন রহিমা বেগম (৫১), স্বামী-মৃত আব্দুল মফিজ, সাং- গঞ্জপাড়া, উত্তরচর, খাগড়াছড়ি সদর, খাগড়াছড়ি।
তিনি মূলত একজন শ্রবণ শক্তিহীন বধির হতদরিদ্র মহিলা। পেশায় তিনি একজন ভিক্ষুক। তিনি কারও কথা কানে শুনতে পান না। বিষয়টি নজরে আসে খাগড়াছড়ি জেলার সুযোগ্য পুলিশ সুপার জনাব মুক্তাধর পিপিএম (বার) মহোদয়ের। পুলিশ সুপার মহোদয় সেদিন রহিমা বেগম (৫১) কে কথা দিয়েছিলেন তাকে একটি “হিয়ারিং এইড” শ্রবণশক্তি বৃদ্ধি সহায়ক যন্ত্র কিনে দিবেন। অদ্য ২৯/০১/২০২৪ খ্রি. সেই কথার বাস্তবায়ন করলেন পুলিশ সুপার জনাব মুক্তাধর পিপিএম (বার) মহোদয়। খাগড়াছড়ি জেলার শাপলা চত্তরে অবস্থিত মানবতার দেয়াল খ্যাত মুক্ত মঞ্চে রহিমা বেগম (৫১) কে নিজ হাতে তার কানে পরিয়ে দিলেন শ্রবণশক্তি বৃদ্ধি সহায়ক যন্ত্র “হিয়ারিং এইড”।
পুলিশ সুপার মহোদয়ের নিকট থেকে রহিমা বেগম (৫১) “হিয়ারিং এইড” যন্ত্রটি পেয়ে আবেগে আপ্লুত হয়ে পড়েন। এসময় তিনি পুলিশ সুপার মহোদয়কে জড়িয়ে ধরে কান্না করেন। তিনি বলেন যে, “সমাজে অনেক বিত্তশালী মানুষ আছেন কিন্তু কেউ তাকে এভাবে সাহায্য করেন নাই। কিন্তু আমার এই দুর্দশা দেখে পুলিশ আমার পাশে দাড়িয়েছেন”। তিনি পুলিশ সুপার জনাব মুক্তাধর পিপিএম (বার) মহোদয় সহ বাংলাদেশ পুলিশের প্রতি ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন এবং পুলিশ সুপার মহোদয়ের দীর্ঘায়ু কামন করেন। এসময় তিনি দুহাত তুলে দোয়া করেন যে, “স্যারের মত প্রতিটি জেলায় এরকমের অফিসার জন্ম নেন”।
ADVERTISEMENT