কেরানীগঞ্জ ছাতিরচর সাধারণ ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী সমিতি লিঃ এর উদ্যোগে ১৩শত লোকের লঙ্গরখানা -১৯ তম আয়োজন
কেরানীঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহীন আহমেদের সহযোগিতায় ও ছাতির চর সাধারণ ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী সমবায় সমিতি লিঃ এর পরিচালনায় এবং অত্র এলাকার সমাজ সেবক ও কেরানীগঞ্জ মডেল থানা আওয়ামী-লীগের সহ-সভাপতি আব্দুল বারেকের তত্ত্বাবধানে ১৯ তম আয়োজনে, প্রায় ১৩ শত লোকের খাবারের আয়োজন করা হয়েছে।
খাবারের তালিকায় রয়েছে মুরগির মাংস, মসুর ডাল ও সাদা ভাত। গরীব এবং অসহায়দের মাঝে প্রতি মাসের প্রথম শুক্রবার লঙ্গরখানার আয়োজন করা হয়।
তবে এবার নতুন উদ্যোগ গ্রহন করেছেন ১৩০ জন সদস্যের সভাপতি মোঃ বিল্লাল হোসেন।
বিল্লাল প্রতি মাসে সমবায় সমিতি লিঃ এর পক্ষ থেকে নিন্মবিত্ত সদস্যের মাঝে ১টি করে গরু অনুদান দেবেন বলে জানান সাংবাদিকদের।
তিনি প্রথম অনুদান দিয়েছেন আজ ৫ই মে সমবায় সমিতির সদস্য মোঃ জুলহাস মিয়া’কে। জুলহাস ছাতিরচর গ্রামের বাসিন্দা,তিনি পেশায় একজন সবজি বিক্রেতা। এই কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
তিনি সাহায্যের হাত বারানোর আহবান জানান, স্থানীয়, দেশ,বিদেশে থাকা বিত্তবানদের।
সর্বোপরি সকলের মঙ্গল কামনা করে দোয়া করেন তিনি।
বক্তৃতায় আব্দুল বারেক বলেন- উক্ত আয়োজনে মা ও মাটির ঘ্রাণ পাওয়া যায়, গ্রামের মানুষের সরলতা আমাকে ও এলাকাবাসীকে মুগ্ধ করেছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশ রত্ন শেখ হাসিনার সোনার বাংলা গড়ার লক্ষ্যে ছাতিরচর সাধারণ ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী সোমবায় সমিতি লিঃ এক বিশেষ ভুমিকা রেখেছেন। তারা ক্ষুধামুক্ত সমাজ গড়ার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছেন। আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ডিজিটাল বাংলাদেশ এর পর যে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার অঙ্গীকার করেছেন তারই অংশ হিসেবে উক্ত সংগঠনের এই আয়োজন বলে আমার ধারণা। তিনি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সুস্বাস্থ্য কামনা করেন।
লঙ্গরখানা আসা একজন ভোক্তা বলেন- প্রতিটা মহল্লায় যেন এমন লঙ্গরখানার আয়োজন করা হয়। তাতে করে এলাকার মানুষের অনেকটা খাবারের চাহিদা এবং আসা পূরণ হবে। তিনি আরো বলেন, এভাবে করে যদি চলতে থাকে তাহলে আগামী দিনে আমাদের দেশে কাউকে না খেয়ে থাকার গল্প শুনতে হবে না। তাই উক্ত সংগঠনের উজ্জ্বল ভবিষ্যদের কামনা করেন তিনি।
জুম্মার নামাজ শেষে মধ্যাহ্নভোজের শুরুতেই মিলাদ মাহফিল ও মোনাজাত করা হয়। এতে অংশগ্রহণ করেন স্থানীয় সকল শ্রেণী পেশার নারী পুরুষ সহ স্থানীয় লোকজন।