চট্টগ্রাম ব্যুরো- চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে প্রধানমন্ত্রীর উন্নয়ন কর্মকাণ্ড প্রচারণার সময় কেন্দ্রীয় যুবলীগ নেতা নিয়াজ মোর্শেদ এলিটের গাড়ি বহরে হামলার ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে।
রবিবার (১৮ জুন) বঙ্গবন্ধু শিশু কিশোর মেলা কেন্দ্রীয় কমিটির দপ্তর সম্পাদক যুবলীগ নেতা আছিফুর রহমান শাহীন বাদী হয়ে মিরসরাই থানায় মামলাটি করেন। মামলায় ১০ জনকে এজাহারনামীয় ও ২০-৩০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।
মামলার আসামিরা হলেন— জাহাঙ্গীর হোসেন প্রকাশ জাহাজ মাস্টার (৫২), তৌহিদ আনোয়ার বাপ্পি (২৬), ফিরোজ খান (২৬), আবুল হাসনাত (৩৪), আবদুল্লাহ আল নাঈম রবিন (২৪), আবু নসর রিপন (২৮), আমিনুল ইসলাম আমিন (২৪), মোমিনুল ইসলাম (৩২), তোফায়েল উল্লাহ চৌধুরী নাজমুল (৫৮) এবং ওমর ফারুক (৩৮)।
মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রীর উন্নয়ন কর্মকাণ্ড প্রচারণার জন্য শনিবার (১৭ জুন) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে মিরসরাই ইকোনমিক জোনের দিকে যাচ্ছিলেন যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য নিয়াজ মোর্শেদ এলিট। এসময় সড়কে বালুর ট্রাক দিয়ে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেন মঘাদিয়া ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর হোসেন। পরে জাহাঙ্গীর হোসেনের নেতৃত্বে তৌহিদ আনোয়ার বাপ্পি, আবদুল্লাহ আল নাঈম রবিন, ফিরোজ খান, আবু নাসির রিপন, মোমিনুল ইসলামসহ প্রায় অর্ধশত অস্ত্রধারী হামলা চালায়। এ ঘটনায় নিয়াজ মোর্শেদ এলিটের প্রধান রাজনৈতিক সমন্বয়ক ও বঙ্গবন্ধু শিশু কিশোর মেলা কেন্দ্রীয় কমিটির দপ্তর সম্পাদক যুবলীগ নেতা আছিফুর রহমান শাহীন, যুবলীগ নেতা মো. আলী, রমজান আলী বাবলু, শওকত আজিম রিংকু, মো. শাহাবুদ্দিনসহ আরও বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী গুরুতর আহত হন। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে নিয়ে যান।
আহত আছিফুর রহমান শাহীন বলেন, ‘গাড়ি বহরে হামলা ও গুলিবর্ষণের ঘটনায় মিরসরাই থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মিরসরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কবির হোসেন বলেন, ‘গতকাল মিরসরাইয়ে দু’পক্ষের মধ্যে হামলার ঘটনা ঘটেছে। সেই ঘটনায় এক পক্ষের মধ্যে আছিফুর রহমান শাহীন বাদী হয়ে থানায় একটি মামলা করেছেন। তদন্ত চলমান আছে।’
উল্লেখ্য, যুবলীগ নেতা নিয়াজ মোর্শেদ এলিটের ওপর হামলা এ প্রথম নয়। গেল বছরের ১৯ ডিসেম্বর খৈয়াছড়ার নয়দুয়ার নিজ বাড়িতে অসহায় দুস্থ শারীরিক প্রতিবন্ধীদের মাঝে হুইল চেয়ার বিতরণের সময় হামলা ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটানো হয়।
এরপর, গত ১৮ ও ২০ এপ্রিল যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ ও সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিলের পক্ষে বঙ্গবন্ধু, প্রধানমন্ত্রী ও শেখ মনির ছবি সম্বলিত কেন্দ্রীয় নেতা নিয়াজ মোর্শেদ এলিটের ঈদ পোস্টার লাগানোর সময় নেতাকর্মীদের মারধর করে পোস্টারগুলো ছিঁড়ে রাস্তায় ফেলে দেন। ওই ঘটনায় জোরারগঞ্জ ও মিরসরাই থানায় পৃথক দুটি মামলা হয়েছে।