
সাদ্দাম হোসেন, স্টাফ রিপোর্টার:
নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় কৃষক দলের আয়োজিত কৃষক সমাবেশে হামলার ঘটনা ঘটেছে। হামলায় কৃষক দলের ৫ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। স্থানীয় বিএনপির নেতারা এ হামলা করেছে বলে অভিযোগ কৃষক দলের নেতাদের।
শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) বিকাল ৪টায় উপজেলার ৮ নম্বর চরএলাহী ইউনিয়নের জাইকা আশ্রয়কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে। হামলার প্রতিবাদে রাত ৯টায় কৃষক দলের পক্ষ থেকে নোয়াখালীর মাইজদী একটি রেস্টুরেন্টে সংবাদ সম্মেলন করেছেন কৃষক দলের নেতারা।
সংবাদ সম্মেলনে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা কৃষক দলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক জসিম মেম্বার বলেন, ‘বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে কৃষকদের ঐক্যবদ্ধ করার জন্য আমরা কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার চরএলাহী ইউনিয়নে কৃষক সমাবেশের আয়োজন করি। আমাদের প্রথমে উপজেলার গাংচিল স্কুলের মাঠে বৃহস্পতিবার কৃষক সমাবেশ করার কথা ছিল। কিন্তু উপজেলা বিএনপির নেতাদের বাধার মুখে আমরা ওই দিন কৃষক সমাবেশ করতে পারিনি। পরে আমরা ভেন্যু পরিবর্তন করে আগের ভেন্যু থেকে এক কিলোমিটার দক্ষিণে জাইকা আশ্রয়কেন্দ্র মাঠে শুক্রবার বিকালে সমাবেশ করার প্রস্তুতি নিই। উপজেলা বিএনপির নেতাদেরও অংশগ্রহণ করার আমন্ত্রণ জানাই। কিন্তু তারা আমাদের সমাবেশে না এসে তাদের সমর্থকদের দিয়ে আমাদের সমাবেশে হামলা ও ভাঙচুর চালায়। এ সময় কৃষক দলের আমিসহ ৫ জন আহত হই। তারা আমাকে মারধর করে আমার পকেট থেকে মোবাইল ও ৩৫ হাজার টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যায়। আমাদের মাইক্রোফোন ও মাইক ভাঙচুর করে।’
তিনি আরও বলেন, ‘কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক নুর আলম শিকদার এবং সদস্যসচিব মাহমুদুর রহমান রিপনের প্রত্যক্ষ ইন্ধনে চরএলাহী ইউনিয়ন যুবদলের সাবেক সভাপতি ইসমাইল, ছাত্রদলের সাবেক সদস্যসচিব বাহাদুর, ইমাম উদ্দিন সবুজ, ইব্রাহীম, বিএনপি নেতা হোসেন মেম্বার, আবুল খায়ের মাস্টার, রাসেল, কামাল, নুরুল হুদা মাস্টার, সোহাগ, বাহাদুর, সাব্বির, আবদুল হাইসহ প্রায় এক থেকে দেড়শ লোক সশস্ত্র হামলা করে।’
সংবাদ সম্মেলনে জেলা কৃষক দলের আহ্বায়ক ভিপি পলাশ বলেন, ‘কৃষক দলের কেন্দ্রঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার চরএলাহী ইউনিয়নে আমাদের কৃষক সমাবেশ আয়োজন করা হয়। কিন্তু উপজেলা বিএনপির নেতারা আমাদের সমাবেশস্থলে হামলা-ভাঙচুর চালায় এবং আমাদের নেতাকর্মীদের আহত করে। উপস্থিত কিষানিদের মধ্যে জান্নাতুল ফেরদাউস নামে একজন গুরুতর আহত হয়ে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি আছেন।’
এ সময় কৃষক দলের চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট রবিউল হাসান পলাশ অভিযোগ করে বলেন, ‘কৃষক দলের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার যে কমিটি দেওয়া হয়েছে তা কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির পছন্দ হয়নি বলে মনে হচ্ছে। সেজন্যই এ হামলা হতে পারে বলে আমরা ধারণা করছি। হামলার বিষয়টি দলের হাইকমান্ডকে জানানো হয়েছে। আমি কৃষক দলের নেতৃবৃন্দকে ধৈর্য ধারণ করার আহ্বান জানাচ্ছি।’
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক নুর আলম শিকদার বলেন, ‘কৃষক দলের এ ধরনের কোনও কর্মসূচির কথাই আমার জানা নেই। হামলার বিষয়ে আমি জানি না। তারা কেন আমাকে জড়িয়ে এ ধরনের অভিযোগ করছে সেটিও আমার জানা নেই।’