এস, এম, মাহমুদুল হক বাদল কুষ্টিয়া ।
কুষ্টিয়ায় একটি ভাড়া বাসা থেকে রেজাউল করিম মধু (৪০) ও তার ছেলে মুগ্ধ হোসাইনের (৭) মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মরদেহ দুটি ঘরের ভেতরে একই রশিতে ঝুলন্ত অবস্থায় ছিল।
শনিবার (২৭ জানুয়ারি) বিকেল সাড়ে ৪টার সময় কুষ্টিয়া পৌরসভার মঙ্গলবাড়িয়ার ওই বাসা থেকে তাদের মরদেহ উদ্ধার করে কুষ্টিয়া সদর থানা পুলিশ।
নিহত রেজাউল করিম মধু পৌরসভার আলফা মোড় এলাকার বিষ্ণুপদ রায়ের ছেলে। তিনি ৮ বছর আগে ধর্মান্তরিত হয়েছিলেন। তার আগের নাম ছিল মধুসূদন রায়।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, মধু ৮ বছর আগে ধর্মান্তরিত হন এবং মিরপুর উপজেলার পোড়াদহ ইউনিয়নের গোবিন্দপুর গ্রামের আসাদুল মণ্ডলের মেয়ে শেফালি খাতুনকে ভালোবেসে বিয়ে করেন।
শেফালি খাতুন জানান, মধু শনিবার (২৭ জানুয়ারি) দুপুর ১২টার দিকে ছেলে মুগ্ধকে হরেকৃষ্ণপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভর্তি করার কথা বলে তাঁর শ্বশুরবাড়ি থেকে নিয়ে আসেন। দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গেলেও সন্তানকে নিয়ে ফিরে না যাওয়ায় বিকেল ৩টার দিকে আমি ভাড়া বাসায় আসি। এসে ঘরের দরজা বন্ধ দেখতে পেয়ে ডাকাডাকি করি। এরপর কোনো সাড়া না পেয়ে জানালার ছিদ্র দিয়ে দেখতে পায় আমার স্বামী ও সন্তান ঘরের মধ্যে একই রশিতে ঝুলে আছে। এসময় চিৎকার দিলে স্থানীয়রা ছুটে আসে। শেফালি খাতুনের দাবি তার স্বামী ও সন্তানকে হত্যা করা হয়েছে।
নিহত রেজাউল করিম মধুর স্বজনদের সূত্রে জানা যায়, প্রায় আট বছর আগে রেজাউল করিম মধু ধর্মান্তরিত হয়ে মিরপুর উপজেলার পোড়াদহ ইউনিয়নের গোবিন্দপুর গ্রামের আসাদুল মণ্ডলের মেয়ে শেফালি খাতুনকে ভালোবেসে বিয়ে করেন। ধর্মান্তরিত হওয়ার আগে তাঁর নাম ছিল মধুসূদন রায়। স্ত্রী অসুস্থ থাকায় বেশ কিছু দিন ধরে রেজাউল আলফা মোড়ের শ্বশুড় বাড়িতে অবস্থান করছিলেন।
কুষ্টিয়া সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ সোহেল রানা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, পুলিশ খবর পেয়ে মরদেহ দুটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে। এটি হত্যা নাকি আত্মহত্যা সেটি ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে জানা যাবে।