
নিজস্ব প্রতিবেদক:
কুষ্টিয়া কালেক্টর চত্তরের শহীদ মিনারে মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস-২০২৫ উপলক্ষে পুস্পস্তবক অর্পণ করেন জনাব আবু জাফর মোল্লা – সভাপতি – কুষ্টিয়া চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি , হাজী শাকিল আহমেদ জালাল সহ-সভাপতি, পরিচালক – ডা. আসমা জাহান লিজাসহ আরো অনেকে। কুষ্টিয়া চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি বাংলাদেশের শিল্প ও বণিক সম্প্রদায়ের পেশাগত ও সবচেয়ে বড় সংগঠন। ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রয়োজনে বাংলাদেশে যোগাযোগ করার স্থান হচ্ছে কুষ্টিয়া চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি। বাংলাদেশের ব্যবসা-বাণিজ্য ও শিল্পের প্রসার এবং উন্নয়ন করা এই সংগঠনটির প্রধান কাজ। সংগঠনটির পরিচালনা পরিষদ দীর্ঘদিন যাবৎ ন্যায়, নিষ্ঠ ও সততার সাথে কার্যক্রম পরিচালনা করে যাচ্ছে।
শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস সম্পর্কে কিছু কথা
২১ শে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে কিছু কথা
কুষ্টিয়ায় ভাষা আন্দোলন পূর্ণাঙ্গভাবে দানা বাঁধতে থাকে ১৯৫২ সালের জানুয়ারি মাস থেকে। ১৯৫২ সালের ২৭ জানুয়ারি পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী খাজা নাজিমুদ্দীন উর্দুকে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা ঘোষণা দিলে বিক্ষোভে ফেটে পড়ে পূর্ব পাকিস্তানের ছাত্র সমাজ। বিক্ষোভে শামিল হয় কুষ্টিয়ার বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা।
২১ ফেব্রুয়ারি আন্দোলনের মূল দিনে সমগ্র কুষ্টিয়া জুড়ে স্বতঃস্ফূর্ত ধর্মঘট পালিত হয়। এদিন কুষ্টিয়ার সমস্ত ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ছিল। একই সঙ্গে সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ছিল আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের দখলে। দুপুর ১২টায় বাংলাকে পাকিস্তানের অন্যতম রাষ্ট্রভাষা করার দাবীতে শিক্ষার্থীদের একটি মিছিলে কুষ্টিয়া শহর প্রদক্ষিণ করে। মিছিলে তারা আরবি হরফে বাংলা লেখার পরিকল্পনা প্রত্যাহারেরও দাবী জানায়। এদিন দুপুর ২টায় মাওলানা আবদুল হকের সভাপতিত্বে মিউনিসিপ্যাল স্কুল হলে একটি জনসভা অনুষ্ঠিত হয়। এই জনসভায় দূর দূরান্ত থেকে অসংখ্য মানুষ যোগদান করেছিলেন। দুর্বার আন্দোলনের মধ্য দিয়ে পশ্চিম পাকিস্তানিদের কাছ থেকে অধিকার আদায় করে নেন পূর্ব পাকিস্তান তথা বাংলাদেশের আপামোর জনসাধারণ।