সাজেদুল হক প্রান্ত, রিপোর্টারঃ
বিএনপি যুগ্ম মহাসচিব ও নরসিংদী জেলা বিএনপি আহবায়ক খায়রুল কবির খোকন বলেছেন, কুলাঙ্গার জাতীয় পাটিকে সঙ্গে নিয়ে স্বৈরাচার শেখ হাসিনা অবৈধ নির্বাচন দিয়ে ৮ বছর ক্ষমতায় টিকে গেয়েছিল। নির্বাচনে যদি কুলাঙ্গার জাতীয় পাটি না যেত স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ সরকার কবেই পালিয়ে যেত। আজ নির্বিচারে বৈষম্য আন্দোলনে ১৮’শ বেশি নিহত এবং প্রায় ৩৩ হাজার ছাত্র—জনতা ও আমাদের নেতা কমীর্দের জীবন দিতে হতো না। শুধু তাই নয় ৭জনেরও বেশি পঙ্গত্ব বরন করতে হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, আওয়ামী লীগকে দেশের মানুষ আর রাজনীতিতে দেখতে চায় না। গনহত্যাকারীদের দেশের মানুষ রাজনীতি করার নৈতিক অধিকার দেবে না। এজন্য আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতে আদালতের রিট করেছে অনেক সংগঠন। ইতোমধ্যে ছাত্রলীগের বিদায় হয়েছে। আওয়ামী লীগও বিদায় হয়ে যাবে।
আজ শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) বিকেলে নরসিংদীর গাবতলী ঈদগঁ মাঠে চিনিশপুর ইউনিয়ণ বিএনপি আয়োজিত কমীর্ সভাবেশে প্রধান অতিথি বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
খায়রুল কবির খোকন বলেন, ফকরুউদ্দিন ও মঙ্গন উদ্দিন দেশ নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে বিভিন্ন ভয়ভীতী এমন কি মেরা ফেলার ভয়ও দিয়ে বিদেশে পাঠানো ে”ষ্টা করেছিল কিন্তু আমাদের নেত্রী বলেছিল আমার কোন পভু নাই, মরলে বাংলার মাটিতেই মরবো। তখন তিনি কোথাও যায়নি। আর শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানও ৭১ যুদ্ধের সময় পালিয়ে যায়নি তিনি জীবন বাজী রেখে ৭ মার্চ দেশ স্বাধীনের ঘোষনা দিয়েছিলেন। সেই সময় শেখ মুজিব পাকিস্তানে সাথে গোপনে হাত হাত করে পাকিস্তান পালিয়ে গিয়েছিল এখন তার বেটি স্বৈরাচার শেখ হাসিনাও পালিয়েছে তার পভু ভারতে কাছে। তাদের কিসের দেশ প্রেম। তারা দেশে থেকে লুটপাট, গুম, হত্যা চালিয়ে ক্ষমতা টিকে থাকতে চেয়েছিল। জনগনের কোন ভাল চাই নাই। তাই এখন বাংলার জনগন বুঝে গেছে স্বৈরাচার শেখ হাসিনার সরকারের কাহিনী।
এই নেতা আরো বলেন, দেশ নেত্রী খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে ৩৬ একটি সাজানো মামলা দিয়েছে এবং একটি মামলায় বিনা অপরাধে স্বৈরাচার আওয়ামী লীগের শেখ হাসিনা সরকার ১০ বছরে সাজা দিয়ে ৬টি বছর জেল খাটিয়েছে এবং অমানুষিক নির্যাতন করেছে। আমাদের নেতা তারেক রহমানের বিরুদ্ধেও ৯৫টি মিথ্যা মামলা দিয়েছে। আমাদের ৬০ লাখ বিএনপি নেতা—কমীর্দের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে নির্যাতন ও হয়রানি এবং ৩ হাজারো বেশি নেতা—কমীর্দের হত্যা করে স্বৈরাচার শেখ হাসিনা। শুধু তাই নয় সাড়ে ৭ শ’ বিএনপি নেতা কর্মীকে গুম করা হয়েছে। এখনো অনেক নেতাকমীর্দের কোন সন্ধান পাইনি। এদিকে ৪ লক্ষ মামলা দিয়ে ৬০ লক্ষ বিএনপির নেতা—কমীর্দের আসামী করেছে স্বৈরাচার শেখ হাসিনা সরকার।
তিনি আরো বলেন, ছাত্ররা কোটা নিয়ে একটি যুক্তিক আন্দোলন করেছিল। কিন্তু স্বৈরাচার শেখ হাসিনা তা না মেনে তাদের উপর কি নিষ্ঠুর অত্যাচার ও নির্বিচারে গুলে করেছে। পরে তারা স্বৈরাচার শেখ হাসিনার পতনের এক দফা দাবীতে আন্দোলনে যায়। যা দীর্ঘদিনের দাবী ছিল বিএনপি’সেই এক দফা দাবীতে সারাদেশ যখন আন্দোলন তখন স্বৈরাচার শেখ হাসিনার সরকার প্রায় ১হাজার ৮শত ছাত্র—জনতাসহ বিএনপি নেতাকমীর্দের নির্বিচারে গুলি করে হত্যা করেছে। আন্দোলনে আহত হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সর্বশেষ সেও গতকাল মারা যায়।
বিএনপি যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন আন্দোলনে নিহতদের পরিবারের এবং আহতদের সরকারী কর্মসংস্থান ও সাবা জীবন বিনামূল্যে চিকিৎসা প্রদান কররা দায়িত্ব নিয়েছে এই জন্য তিনি অন্তর্বতীর্ সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়েছে।