
কুমিল্লায় সহকারী কমিশনার (ভূমি) নাছরিন আক্তারের বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার
কুমিল্লা রিপোর্টার
প্রতিষ্ঠার দিক থেকে কুমিল্লার ১৭তম উপজেলা লালমাই। জনসংখ্যা প্রায় আড়াই লাখ। প্রকৃতিপ্রেমীদের নিকট একটি সুপরিচিত স্থান লালমাই পাহাড়ের নামেই এই উপজেলার নামকরণ। উপজেলা গঠনের সাত বছরে নাগরিক সুবিধা ও উন্নয়নের নানা সূচকে পশ্চাৎপদ থাকলেও সম্প্রতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা, রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ, জনপ্রতিনিধি ও সুশীল সমাজ সহ সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় এই উপজেলার উন্নয়নের ধারা সূচিত হচ্ছে। উপজেলার দপ্তরগুলোর মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ দপ্তর হচ্ছে উপজেলা ভূমি অফিস। নাগরিকদের সকল ভূমি বিষয়ক সেবা প্রদান, জমি-জমা সংক্রান্ত বিরোধ নিরসন, সরকারি খাসজমি রক্ষণাবেক্ষণ, ভূমিহীনদের মাঝে কৃষি খাস জমি বন্দোবস্ত প্রদানের মাধ্যমে পুনর্বাসন, ভূমির মালিকানা ও ভূমি উন্নয়ন কর আদায়, হাট-বাজার ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত কার্যাবলী অত্র অফিসের মাধ্যমে সম্পাদিত হয়। সম্প্রতি দেখা যাচ্ছে যে, বর্তমানে দায়িত্বপ্রাপ্ত সহকারী কমিশনার (ভূমি) নাছরিন আক্তার সফলতার সাথে তাঁর দায়িত্বের দুই বছর অতিবাহিত করেছেন। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, তাঁর কার্যকালীন সময়ে তিনি জনগণকে সঠিক সময়ে ও সরকারি ফি এর বিপরীতে যথাযথভাবে ভূমি সেবা প্রদান করে যাচ্ছেন। তাঁর কার্যালয়ে সকল মানুষ যে কোন সময় প্রবেশ করে ব্যক্তিগত সমস্যা উপস্থাপন করে ভূমি সংক্রান্ত সেবা দ্রুত পেতে পারেন। কোন জটিলতা বা হয়রানির সুযোগ নেই। আরো জানা যায় যে, দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে তিনি প্রায় ৬ একরের উপরে সরকারি সম্পত্তি অবৈধ দখলদারদের হাত থেকে উদ্ধার করেছেন। বর্তমানে উপজেলার সকল ইউনিয়ন ভূমি অফিসে শতভাগ অনলাইনে ভূমি উন্নয়ন কর আদায় করা হচ্ছে এবং নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বিভিন্ন মোকদ্দমা তদন্ত প্রতিবেদন দেয়া হচ্ছে। তিনি গত দুই বছর শতভাগ ভূমি উন্নয়ন কর আদায়ের মাধ্যমে সরকারি রাজস্ব আদায়ের সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছেন। নতুন উপজেলা হওয়ায় এখানে গড়ে উঠেনি সরকারি অবকাঠামো, নেই ভূমি অফিসের জন্য বরাদ্ধকৃত গাড়িও, তবুও ভাড়া ভবন ও সংযুক্ত কর্মচারী দিয়েই চালিয়ে নিচ্ছেন ভূমি অফিসের সেবা। অনেক সীমাবদ্ধতার পরও উপজেলাবাসীর দোরগোড়ায় ভূমি অফিসের যাবতীয় সরকারী সেবা পৌঁছে দিয়ে জনগণের নিকট তাদেরই একজন হয়ে উঠেছেন লালমাই উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) নাছরিন আক্তার।
দক্ষতার সঙ্গে উপজেলা প্রশাসনের দৈনন্দিন কাজের পাশাপাশি করোনা কালীন বিভিন্ন স্থানে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা, মুজিব বর্ষে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উপহার গৃহ ও ভূমি দানে সরকারি খাস সম্পত্তি উদ্ধার করে প্রকল্প বাস্তবায়ন, ভূমি সুরক্ষা, বাল্যবিয়ে এবং যৌতুক ও নারী নির্যাতন প্রতিরোধ, বাজার নিয়ন্ত্রণ, মাটি খেকোদের থেকে ফসলি জমির মাটি কাটা বন্ধসহ পাবলিক পরীক্ষায় নকল প্রতিরোধের পাশাপাশি উপজেলাকে মাদক-দুর্নীতি-জঙ্গিমুক্ত রাখতে ভূমিকা রাখছেন। সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে জনগণের অভাব-অভিযোগই যেখানে শেষকথা; সেখানে ব্যতিক্রমও পাওয়া যায়, যারা নিজের উপর অর্পিত দায়িত্ব নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করে জনগণের প্রিয় মানুষ হয়ে উঠেন। মাত্র দুই বছরে লালমাইয়ের সাধারণ মানুষের কাছে প্রিয় কর্মকর্তা হয়ে উঠেছেন তিনি।
যেখানে ভূমি অফিস মানেই ভোগান্তি, অর্থের লেনদেন, সাধারণ মানুষের হয়রানি আর অসহায়তার জায়গা, সেখানে একটি স্বচ্ছ, ঘুষবিহীন ও জবাবদিহিতামূলক ত্বরিত সেবা কার্যক্রম পাওয়ার ব্যবস্থা করেছেন নাছরীন আক্তার। তাঁর নেতৃত্বে লালমাই উপজেলা ভূমি অফিসের সব নৈরাজ্য ও অচলতা দূর হয়ে সেখানে তৈরি হয়েছে আস্থার পরিবেশ। এ ছাড়া এসিল্যান্ড নাছরীন আক্তারের নেতৃত্বে উপজেলার বেদখলকৃত সরকারি জমি উদ্ধার সহ এমন অসংখ্য ভালো কাজ করে সাধারণ মানুষের আস্থা অর্জন করেছেন এই ভূমি কর্মকর্তা। যার ফলশ্রুতিতে সম্প্রতি তিনি সিনিয়র সহকারী সচিব পদে পদোন্নতি পেয়েছেন। তাই একটা মহল তাঁর ক্ষতি সাধনের চেষ্টা করছেন। তবুও তিনি অন্যায়ের কাছে মাথানত না করে, আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থেকে নিজস্ব গতিতে কাজ করে যাচ্ছেন।