মোঃ মাহবুব আলম, স্টাফ রিপোর্টারঃ
কুমিল্লা বরুড়া উপজেলার ৫নং ঝলম ইউনিয়নের নোয়াদ্দা গ্রামের বড় বাড়ির করম আলীর (৫০) বিরুদ্ধে পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ুয়া নিজের মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে, এ ঘটনায় বাবা করম আলীকে আটক করেছে পুলিশ।
গত মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) দিবাগত রাতে বরুড়া উপজেলার ৫নং ঝলম ইউনিয়নের নোয়াদ্দা গ্রামে নিজ বাড়ি থেকে তাকে আটক করা হয়। তিনি ওই গ্রামের সুজত আলীর ছেলে।
এ ঘটনায় বরুড়া থানায় ভূক্তভোগীর মা নাসরিন বেগম বাদী হয়ে ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পর নির্যাতিত শিশুটির ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পাঠানো হয় বলে জানিয়েছেন বরুড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রিয়াজ উদ্দিন চৌধুরী।
জানা যায়, গত বুধবার বরুড়ায় নিজ বাড়িতে মেয়েকে একা পেয়ে রাত ০২:০৫ মিনিটে ধর্ষণ করে এ পাষণ্ড বাবা। পরে মেয়ে চিৎকার দিলে তার মা দেখে মেয়ের ধর্ষণের চিত্র। পরে স্বামী তার স্ত্রী ও মেয়েকে দা দিয়ে বিভিন্ন ভয়ভীতি দেখালে আর কাউকে ঘটনাটি জায়নায়নি। ছেলে মায়ের কাছ থেকে ঘটনার বিবরণ পেয়ে বরুড়া থানায় গেলে পুলিশ সাথেসাথে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করে।
মেয়েটির মা জানান, আমার স্বামী শ্রমিকের কাজ করে। সে এখন শুধু জুয়া খেলে আর টাকা খরচ করে। সংসারে তেমন খরচ দেয়না। গত বুধবার রাতে আমার অজান্তেই রাতে মেয়েকে জোর করে ধর্ষণ করে। আমি দেখে ফেললে আমাকে ও আমার মেয়েকে দা দিয়ে ভয়ভীতি দেখায়। পরে আমার ছেলে ফয়েজকে ঘটনা জানালে সে পুলিশের কাছে গেলে পুলিশ মামলা নিয়ে তাকে আটক করে। আমি আমার মেয়ের ধর্ষণকারী এমন কুলাঙ্গার স্বামীর ফাঁসি চাই।
এ বিষয়ে বরুড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রিয়াজ উদ্দিন চৌধুরী জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে করম আলী মেয়েকে ধর্ষণের দায় স্বীকার করেছেন। এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করা হয় এবং ভিকটিমকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অভিযুক্ত করম আলীকে কুমিল্লা আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।