মোশারফ হোসেন:
সরকার পতনের পর ক্ষমতা দখল করতে ব্যাস্ত একটি মহল,তারা নানান ভাবে হয়রানি করেছে নানান ব্যাবসায়ী ও বিভিন্ন ব্যাবসায়ী সংগঠন ও সামাজিক সংগঠনের সাথে জড়িত ব্যাক্তিবর্গদের।
তেমনি এক ঘটনা ঘটেছে রাজধানীর কাষ্টমস এজেন্ট এসোসিয়েশনের এক নেতার বিরুদ্ধে। যে কিনা কাষ্টমস এজেন্টের ব্যবসায়ী সংগঠন ঢাকা কাস্টমস এজেন্ট এসোসিয়েশনের যুগ্ম সম্পাদক মো. শাহজাহান।
কিছুদিন আগে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে জনপ্রিয়তা, আস্তা ও ভালোবাসায় বিপুল ভোটে নির্বাচিত হয়েছেন।কিন্তু তারই জনপ্রিয়তা নষ্ট করতে তাকে আওয়ামী লীগের নেতা বলে মিথ্যা মামলার অভিযোগ দিয়েছেন স্বার্থন্বেষী মহল।
জানা গেছে, মো. শাহজাহান দীর্ঘ ৩০ বছর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সি এন্ড এফ এর ব্যবসায় জড়িত। তিনি বর্তমানে সিন্থিয়া ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল এর স্বত্বাধিকারী।
এছাড়া তিনি ঢাকা কাস্টমস এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের যুগ্ম সম্পাদক। ঢাকা কাস্টম এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশন একটি অরাজনৈতিক ব্যবসায়ী সংগঠন।
অথচ, কিছু কতিপয় অসাধু লোক তাকে আওয়ামী লীগের নেতা ও যুগ্ম সম্পাদক বলে অপপ্রচার চালায়। সর্বশেষ আশুলিয়া থানায় তাকে আওয়ামী লীগ নেতা বলে একটি মামলা আসামী করা হয়। সেখানে তাকে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক বলে উল্লেখ করা হয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক জন কাষ্টমস এজেন্ট এসোসিয়েশনের সাথে জড়িত ব্যাবসায়ী বলেন-আমাদের এই সংগঠন কোনো ভাবেই শাজাহান ভাই জড়িত নয়।তিনি একজন ভালো মানুষ,তিনি নিজের ব্যাবসার টাকা দিয়েও ব্যাবসায়ীদের বিপদে সাহায্য করে গেছেন।
বিগত সরকারের সময় অনেকেই আওয়ামী রাজনীতির সাথে জড়িত লোকজন আমাদের সংগঠনে হস্তক্ষেপ করতে চেয়েছিলো,কিন্তু সংগঠন শক্ত ভাবে পরিচালনা করায় তেমন ভাবে কেউ আমাদের বিপদে ফেলতে পারেনি।এই সংগঠনের মূল ভাষ্য ছিলো বা গঠনতন্ত্র আছে এই সংগঠন সম্পুর্ন রাজনীতি মুক্ত।
কাষ্টমস হাউজের গেইটের সামনে দেখা আরেক ব্যাবসায়ী বলেন-আমরা সম্পুর্ন রাজনীতি মুক্ত সংগঠন করি,তাছাড়া শাজাহান নামে দুই জন আছে-একজন সিনথিয়া শাজাহান আরেকজন আওয়ামী লীগের শাজাহান আপনি কার কথা বলছেন-সাংবাদিকের প্রশ্ন বুঝে তিনি বলেন-সিনিথিয়া শাজাহান একজন ভালো মনের মানুষ, তিনি কখনো রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলো না,যদি এমন কেউ বলে থাকে সেটা তাকে ফাসানোর জন্য।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী মো:শাজাহান এর সাথে যোগাযোগ হলে তিনি বলেন,আমি কখনো কোনো রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলাম না,তবে ব্যাবসায়ীদের সহায়তা করতে কোনো কোনো সময় কোনো রাজনৈতিক ব্যক্তির সাথে আলোচনা ও উঠবস ছিলো। আমি সম্পূর্ণ নিরপরাধ। আমাদের ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট আমাকে সমাজে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য এ ধরনের মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করছে।
তিনি আরও দাবি করেন, আমি যদি আওয়ামী লীগ করি তাহলে আওয়ামী লীগ কেন আমার নামে ২০২২ সালে বিএনপি বলে থানা মামলা করেছিল?
উল্লেখ্য, ২০২২ সালের ১৮ নভেম্বর সিরাজগঞ্জ কামারখন্দ উপজেলার তৎকালীন আওয়ামী লীগের সভাপতি সেলিম বাদী হয়ে কামারখন্দ থানায় ১৫৪ নং ধারায় বিএনপি নেতাকর্মীদের নামে মামলা করেন। সেই