দেলোয়ার হোসেন
কালুখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সেবার মান পাল্টে দিয়েছেন এক স্বাস্থ্য কর্মকর্তা
রাজবাড়ীর কালুখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেও স্বাস্থ্য সেবার মান পালটে দিয়েছেন স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ ইসরাত জাহান উম্মন। নিজের উদ্দ্যোগে সাধারণ রোগীদের উন্নত মানের স্বাস্থ্যসেবা দেওয়ার লক্ষ্যে এই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ গত ২৪ এপ্রিল চালু হয়েছে প্রথম বারের মত অপারেশন থিয়েটার।
গত সপ্তাহে মাঠ পর্যায়ে জরায়ুর মুখ ও স্তন ক্যান্সার সনাক্ত করনে “ভায়া ক্যাম্প” সম্পন্ন হয়। যেখানে ২৯৪৪ জন মহিলার পরীক্ষা সম্পন্ন হয়। গত ডেঙ্গু মহামারীতেও ধারণ ক্ষমতার চেয়ে অতিরিক্ত রোগেীকেও চিকিৎিসা সেবা দেয়া হয় এই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে।
কালুখালী এই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এ বছরে সবচেয়ে বেশী রোগীর চিকিৎসা সেবা দেয়া হয়। রেলমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা জিল্লুল হাকিমের সরাসরি নির্দেশনায়, ডাঃ ইসরাত জাহান উম্মন যোগদানের পরপরই তার অক্লান্ত কর্মপরিকল্পনায় সম্ভব হয়েছে বলে এলাকাবাসী জানান।
এলাকাবাসী ও সেবাগৃহীতারা আরো বলেন, এই কর্মকর্তা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স যোগদানের পরপরই প্যাথলজি ল্যাবে অটোএনালাইজার মেশিন চালু করা হয়, পাশপাশি এক্সরে,ইসিজি, আল্ট্রাসনোগ্রাম, ভায়া পরীক্ষা চালু হয়। অকেজো পরে থাকা এম্বুলেন্স চালু করা হয়। এরআগে এই সেবা গুলো থেকে বঞ্চিত ছিল সাধারণ রোগীরা। এ ছাড়া নরমাল ডেলিভারীর সংখ্যা ও বৃদ্ধি পায়। এখন আর জেলা শহর রাজবাড়িতে যেতে হয় না। ভালো কাজের প্রতিদান হিসাবে কিছু স্বার্থন্যাশী, কুচক্রী মহলের ইশারায় তার ভালো কাজকে সহ্য করতে না পেরে সম্প্রতি দেশের কয়েকটি পত্রিকায় তাকে জড়িয়ে একটি স্বার্থন্যাশী মহল উঠে পরে লেগেছে। তার বিরুদ্ধে মিথ্যে বানোয়াট রিপোর্ট করিয়েছেন। যা চিকিৎসা সেবায় ব্যঘাত ঘটেছে। যে কোন চিকিৎসকের মনোবল ভেঙ্গে যাবে, এমনিতেই দেশের ডাক্তারদের সংখ্যা সীমিত নিয়মের ভিতরে থেকে যদি অনিয়মের বঞ্চনা সইতে হয় যে কোন চিকিৎসকের মানসিক বিপর্যয় ঘটে ৷ একটি রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে ৫৭০ কেজি পুরাতন রড বিক্রি করা হয়েছে অন্য আরেকটি রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে দুই টনেরও বেশি রড বিক্রি করা হয়েছে ,যারা সরজমিনে গিয়ে রিপোর্ট করেছে তাদের মধ্যই মতপার্থক্য দেখা দিয়েছে আসলে কি রড বিক্রি মূল উদ্দেশ্য, না ডাঃ ইসরাত জাহান উন্মনকে মানুষের কাছে হেয়প্রতিপন্ন করা, যাতে তিনি কর্মস্থল ছেড়ে অন্যত্র চলে গেলে স্বার্থন্বেষী মহল ও ক্লিনিকের দালাল চক্র লাভবান হতে পারে ৷ ডাঃ ইসরাত জাহান ওই চক্রের মূল চক্ষুসুর যার কারণে তার বিরুদ্ধে উঠে পড়ে লেগেছে ! অপারেশন সেন্টার চালুর আগেও বিভিন্ন ভাবে বাধা প্রদান করা হয়।
এলাবাসীর দাবি, এই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে একজন রোগীর সুচিকিৎসা হতো না। সরকারী ওষুধ বছরের শুরুতেই শেষ হয়ে যেত। কোন কিছুর পরীক্ষা-নিরীক্ষাও করা যেতো না। বর্তমানে এই কর্মকর্তার কারণে এলাকাবাসী সুচিকিৎসা পাচ্ছে। তার বিরুদ্ধে মিথ্যা বাননোয়াট তথ্য দিয়ে এলাকাবাসীর চিকিৎসা সেবা বঞ্চিত করার পয়াতারা করছে একটি মহল । এই দালাল চক্রে কার্যকালাপ এর তীব্র প্রতিবাদ জানান তারা।