
কালিয়াকৈরে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া ছাত্রের লাশের ঘটনায় এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
মো:মোশারফ হোসেন-
গাজীপুরের কালিয়াকৈরের বন থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া ছাত্রের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধারের ঘটনায় নাঈম হোসেন (২৪) নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
আজ সকালে সংবাদ সন্মেলন করে বিষয়টি নিশ্চিত করে র্যাব-১ এর সিও লে:ক:মোহাম্মদ মোস্তাক আহমেদ।
এ সময় র্যাবের সিও বলেন-বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া ছাত্র রিয়াদ হোসেন গত ১২ জুন ২০২৩ তারিখে নিখোঁজ হয়। নিখোঁজ হওয়ার পর ভিকটিমের পরিবার জিএমপি, সদর থানায় একটি জিডি করে।
এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল রাতে র্যাব-১, উত্তরা, ঢাকার একটি আভিযানিক দল তথ্য প্রযুক্তি ও গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গাজীপুর জেলার কালিয়াকের থানাধীন মাননপুর এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে এই চাঞ্চল্যকর হত্যাকান্ডের মূল পরিকল্পনাকারী ও প্রধান আসামী নাঈম হোসেনকে গ্রেফতার করে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ধৃত আসামী নাঈম হোসেন ভিকটিম রিয়াদকে হত্যার কথা স্বীকার করে এবং এই চাঞ্চল্যকর হত্যার লোমহর্ষক ঘটনার বর্ণনা দেয়।
আসামি ও ভিকটিমের সম্পর্ক ছিলো চাচা-ভাতিজার,আসামী গত ২০১৯-২০২১ সাল পর্যন্ত সৌদি আরব প্রবাসী ছিল। ভিকটিমের কাছে প্রবাশে থাকা সকল টাকা পয়সা পাঠাতেন,সেই সময় প্রবাসীর স্ত্রী অর্থাৎ তার চাচীর সাথে অবৈধ সম্পর্ক হয় বলে ধৃত আসামী নাঈম হোসেন সন্দেহ করে এবং এই সন্দেহের প্রেক্ষিতে গত ২০২১ সালের জুন মাসের দিকে সে সৌদি আরব থেকে বাংলাদেশে চলে আসে।
আসামী পূর্ব পরিকল্পিতভাবে ভিকটিমকে হত্যা করার জন্য উক্ত এলাকার জনৈক পলাশ নামে এক ব্যক্তির সাথে ৫০,০০০/- টাকার চুক্তি করে এবং সেই মোতাবেক টাকা প্রদান করে।
ভিকটিমের সাথে সু-সম্পর্ক করে মেস থেকে গত ১৩ জুন ২০২৩ গাজীপুর, মৌচাক এলাকায় নিয়ে আসে।এক পর্যায়ে ধৃত আসামী জনৈক পলাশকে হত্যার করার জন্য বলে। এতে পলাশ অনিহা প্রকাশ করলে আসামী নিজেই ভিকটিমকে হত্যা করা সিদ্ধান্ত নেয়। নাঈম হোসেন নিজেই ভিকটিম রিয়াদকে আনুমানিক ০২.০০ ঘটিকায় তার পরিহিত টি- শার্ট খুলে ভিকটিমের গলায় ফাঁস লাগিয়ে ভিকটিমের মৃত্যু নিশ্চিত করে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।
গ্রেফতারকৃত আসামীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানায় র্যাব।