তানজির আহমেদ সাকিব, কালাই উপজেলা প্রতিনিধিঃ
জয়পুরহাটের কালাইয়ে গৃহবধূর পরকীয়ার জেরে ছেলের সামনে প্রাণ গেল বাবার। শনিবার বিকেলে পরকীয়ার জেরে জাহাঙ্গীর হোসেন (৪৫) কে মারপিট করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে একই গ্রামের আইসার নবীর বিরুদ্ধে।
নিহত জাহাঙ্গীর হোসেন উপজেলার জিন্দারপুর ইউনিয়নের চরবাখরা বেলগড়িয়া গ্রামের মৃত মোজাম্মেল হোসেন এর ছেলে।
স্থানীয় সূত্রে ও ভাতিজা রুহুল আমিন বলেন ছেলের বউয়ের পরকীয়ার বলি হলেন আমার চাচা। ৬ বছর আগে সবুজের সাথে সুফিয়ার বিয়ে হয়, তাদের চার বছরের মেয়ে সন্তান আছে। একই গ্রামের সামিদুলের সাথে পরকীয়ায় জড়িয়ে পরেন সুফিয়া। এই কথাগুলো গ্রামে বলে বেড়ান সামিদুলের বন্ধু আইসার নবী। চাচা আইসারকে নিষেধ করতে গেলে কথা কাটাকাটির মধ্যে এক পর্যায়ে জাহাঙ্গীর চাচাকে মারপিট ও কোদালের আঘাত করে আইসার। আর এতেই চাচার মৃত্যু হয়। আমরা এই হত্যাকান্ডের বিচার চাই। তিনি আরও জানান, আইসার নবীও আহত অবস্থায় কালাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি আছেন।
নিহত জাহাঙ্গীর হোসেনের ছেলে সবুজ মন্ডল বলেন, প্রতিবেশি সাইদুল আকন্দের ছেলে সামিদুল ও তার বন্ধু আইসার নবী আমার বউকে বিভিন্নভাবে কু প্রস্তাব দেয়। সেগুলো আমার বাবা জানতে পারে। আমরা বাবা-ছেলে আলুর ক্ষেতে কাজ করতে যাওয়ার পথে আইসার নবীর সাথে দেখা হলে তাকে কু প্রস্তাবের বিষয়ে নিষেধ করতে গেলে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে আইসার ও মোস্তফা মিলে আমার বাবাকে মারপিট ও কোদাল দিয়ে আঘাত করলে আমার বাবার মৃত্যু হয়।
নিহতের ছেলের বউ (সুফিয়া বেগম) বলেন আমার চার বছরের মেয়ে আছে তারপরও প্রতিবেশি সামিদুল ও তার বন্ধু আইসার নবী আমাকে বিভিন্নভাবে কু প্রস্তাব দেয় এবং সংসার ভাঙার হুমকি দেয়। সামিদুলের সাথে মোবাইলে একসময় কথা বলতাম। সেগুলো কথাবার্তা সে রেকর্ড করে। সামিদুল ও আইসার রেকর্ডগুলো ফাঁস করার হুমকি দিয়ে আমাকে কু প্রস্তাব দেয়। আমি রাজি না হলে গ্রামের সবাইকে তারা পরকীয়ার সম্পর্কের কথা বলে বেড়ান। আমার শুশুর নিষেধ করতে গেলে তারা মারপিট করে হত্যা করে।
কালাই থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদ হোসেন জানান, নিহতের খবর পেলে ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসি। পরে লাশ ময়না তদন্তের জন্য জয়পুহাট জেলা আধুনিক জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে তদন্ত চলমান রয়েছে।