সজল আহাম্মদ খান কসবা ( ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি।
ঈদুল আজহার বাকি আর মাত্র কয়েক দিন। এ ঈদে ধর্মপ্রাণ মুসলিমরা অনেকে পশু কোরবানি করেন। এসব পশুর মাংস কাটার জন্য ছুরি, দা, বঁটিসহ নানা ধারালো যন্ত্র ব্যবহার করা হয়।
কেউ নতুন করে তা তৈরি করবেন, কেউবা দেবেন শাণ। তাই ঈদ যত এগিয়ে আসছে, ততই ভিড় বাড়ছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার কামার সম্প্রদায়ের লোকজনের ব্যস্ততা।
লোকজনের চাহিদার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে তাঁরা দিনরাত কাজ করে যাচ্ছেন। প্রতিদিন সকালবেলা হাপর জ্বলে ওঠে কামারবাড়িতে, নেভে গভীর রাতে। হাতুড়ি-লোহার টুংটাং শব্দে মুখর এখন কামারবাড়ি।
কসবা থানা প্রেসক্লাবের সভাপতি ও মানবাধিকার কর্মী মোবারক হোসেন চৌধুরী নাছির বলেন, ঈদে কোরবানির জন্য নতুন দা ও ছুরি দরকার। এ জন্য এসব হাতিয়ার বানাতে দিয়েছেন তিনি।
অপু কর্মকার বলেন, ঈদ সামনে রেখে কাজ কয়েক গুণ বেড়ে গেছে। তাই তাঁদের দিনরাত কাজ করতে হচ্ছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার উপজেলার বিভিন্ন কামারপাড়া ঘুরে দেখা যায়, কামারেরা প্রচণ্ড ব্যস্ত। কেউ শিকল টেনে হাপর জ্বালিয়ে রাখছেন। কেউ হাপরে গলাচ্ছেন লোহা। সেই লোহা পিটিয়ে চাহিদামতো হাতিয়ার তৈরি করা হচ্ছে। কেউবা পুরোনো হাতিয়ার দিচ্ছেন শাণ।
কসবা পৌর এলাকার পুরাতন বাজারে কামারশালায় কাজ করছিলেন দিলীপ কর্মকার। তিনি বলেন, সারা বছর কাজকর্ম কম থাকলেও ঈদ সামনে রেখে কাজ বেড়ে গেছে। তবে এ বছর তাঁর কাছে পুরোনো কাজ বেশি। নতুন হাতিয়ারও হচ্ছে, তবে পরিমাণে কম।
নন্দন কর্মকার বলেন, তাঁদের দুটি দোকান রয়েছে। একটিতে পুরোনো কাজ, অন্যটিতে নতুন কাজ করা হয়। ঈদ উপলক্ষে দা, ছুরি, বঁটি বেশি তৈরি ও বিক্রি হচ্ছে। যদিও পুরোনো হাতিয়ার রয়েছে, সেগুলো ধার দিয়ে নিচ্ছেন। ঈদ উপলক্ষে কাজ অনেক বেড়ে গেছে।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে কসবা পৌরসভার শান্তি পাড়ার গৃহিণী হালিমা খাতুন
বলেন, ঈদে কোরবানির গরু জবাই করতে দা, ছুরি এবং মাংস কাটতে বঁটি দরকার। তাঁদের পুরোনো হাতিয়ার রয়েছে। তাই সেগুলোই ধার দেওয়ার জন্য কামারের দোকানে দিয়েছি।