দেলোয়ার হোসেন
সন্ত্রাস ও মাদক বিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবে( গত রাতে র্যাব-১৫ )এর একটি আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে টেকনাফের কাটাখালী এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে পার্শ্ববর্তী দেশ হতে চোরাকারবারির অন্যতম মূলহোতা কক্সবাজারের শীর্ষ মাদক ও অস্ত্র ব্যবসায়ী শীর্ষ সন্ত্রাসী জাফরুল ইসলাম প্রকাশ @বাবুল মেম্বার (৪২), পিতাঃ আব্দুর রশিদ, টেকনাফ, কক্সবাজার হইতে গ্রেফতার করে। উদ্ধার করা হয় ৫৫০০০ পিস ইয়াবা, ১টি বিদেশী পিস্তল, ১টি দেশীয় আগ্নেয়াস্ত্র ও গোলাবারুদ। প্রাথমিকভাবে জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত সংশ্লিষ্ট বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রদান করে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, গ্রেফতারকৃত বাবুল কক্সবাজারের টেকনাফ এলাকার একজন অন্যতম শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী ও শীর্ষ সন্ত্রাসী। স্থানীয় এলাকায় টেকনাফে সে পাশ^বর্তীদেশ হতে মাদক চোরাচালানের গডফাদার হিসেবে চিনতো। গ্রেফতারকৃত বাবুল মাদক ব্যবসাসহ বিভিন্ন ধরণের সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনা করার জন্য এলাকায় ২০-২৫ জনের একটি চক্র গড়ে তোলে। গ্রেফতারকৃত বাবুল মাদক ব্যবসার পাশাপাশি এলাকায় চাঁদাবাজি, স্বর্ণ চোরাচালান, অবৈধ অস্ত্র, জোরপূর্বকভাবে অবৈধ বালু উত্তোলন, অবৈধভাবে চোরাই পথে গবাদি পশু চোরাচালান, অবৈধভাবে পাহাড় কেটে মাটির ব্যবসাসহ অন্যান্য সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনা করতো বলে জানা যায়।
আরো জানা যায় যে, গ্রেফতারকৃত বাবুল ২০০৫ সালের পরবর্তীতে টেকনাফ এলাকায় মাদক ও অন্যান্য চোরাচালানের সাথে জড়িয়ে পরে এবং পাশর্^বর্তী দেশ থেকে অবৈধ পথে মাদক এনে দেশের বিভিন্ন স্থানে পৌঁছে দিত। ২০১৭ সালে এলাকার অপর এক মাদক ব্যবসায়ী লুৎফুর রহমানের মাধ্যমে রোহিঙ্গা ক্যাম্প পলাতক তালিকাভুক্ত রোহিঙ্গা শীর্ষ সন্ত্রাসী নবী হোসেনের সাথে তার পরিচয় হয়। নবীর সাথে পরিচয়ের পর থেকে গ্রেফতারকৃত জাফর বিশদ আকারে মাদক সিন্ডিকেটের সাথে জড়িয়ে পড়ে। গ্রেফতারকৃত জাফর পলাতক নবী হোসেনের সাথে চুক্তি করে চিংড়ি ব্যবসার আড়ালে রাতে আধারে পাশর্^বর্তী দেশে হতে নাফ নদী দিয়ে মাদক, অস্ত্র ও স্বর্ণ চোরাচালান করে আসছে বলে জানা যায়। সীমান্ত অঞ্চল দিয়ে মাদক সহ অন্যান্য চোরাকারবারির সময় তার দলের ২০-২৫ জন সশস্ত্র সদস্য পাহাড়া দিয়ে চালান বাংলাদেশে পৌঁছাতো। গ্রেফতারকৃত বাবুল পাশর্^বর্তী দেশ হতে সপ্তাহে ৪/৫টি ইয়াবার চালান এনে অস্ত্রধারী কেরিম্যানদের সহযোগিতায় বালুখালী ক্যাম্প সংলগ্ন তার নিয়ন্ত্রিত বেশকিছু চিংড়ির খামারের ভিতরে রাখতো বলে জানা যায়। পাশর্^বর্তী দেশ থেকে আনা প্রতি চালানে প্রায় ২ লক্ষ পিস ইয়াবা থাকতো এবং তা দেড় লক্ষ টাকায় কিনে এনে প্রায় ৩/৪ লক্ষ টাকায় বিক্রয় করতো। এছাড়াও গ্রেফতারকৃত বাবুল পাশ^বর্তী দেশ থেকে সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে স্বর্ণ এনে তা চট্ট্রগ্রাম সহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে প্রেরণ করতো। গ্রেফতার কিছু আসামির বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট থানা আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন ৷