মো: মাহবুবুল করিম ফটিকছড়ি.-মোহাম্মদ শফিউল আলম (৪৮)। পেশায় নির্মাণ একজন শ্রমিক। দীর্ঘ নয় বছর ওমানে মাস্কাট সিটির কুরুমে ভিসাহীন বসবাস করে আসছেন। প্রতিদিনকার ন্যায় মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) ভোর সকালে ভবন নির্মাণ কাজে চলে যান মাস্কাট মদিনা কাবুজ এলাকায়। রোজা রেখে সারাদিন কাজ সেরে বিকাল সাড়ে তিনটার দিকে আমান উল্লাহ নামক অপর এক সহকর্মীসহ ফিরছিলেন বাসার দিকে। তারা বাসার অদূরে সড়কের পাশে গাড়ি থেমে নেমে যান। আমান উল্লাহ সড়ক পার হতে পারলেও শফিউল আলম সড়কের মাঝ বরাবর যেতেই দ্রুত গতির একটি প্রাইভেট কার তাকে চাপা দেয়। মুহুর্তে পুলিশ এসে পাশ্ববর্তী কৌলা হাসপাতালে মুমূর্ষ অবস্থায় তাকে ভর্তি করান। সেখানে প্রায় ১০ ঘন্টা মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে অবশেষে মৃত্যবরণ করেন।নিহত শফিউল আলমের বাড়ি চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলার কাঞ্চনগর ইউনিয়নের মানিকপুরে। তার বাবা মৃত আবদুর রশিদ।শফিউল আলম প্রবাসে একজন সংগঠকও ছিলেন। ছিলেন কাঞ্চনগর প্রবাসী মানব কল্যাণ সংস্থার কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য।সংগঠনটির সাবেক সভাপতি আবদুস সাত্তার বলেন- শফি ভাই সারাদিন রোজা রেখে নির্মাণ শ্রমিকের কাজ করেছিলেন। হয়তো অনেক বেশি ক্লান্ত থাকায় সড়ক পারাপারের সময় দ্রুত গতির গাড়ি দেখতে পারেননি। ঘাতক গাড়ির চালক ছিলেন ভারতীয় একজন মহিলা। পুলিশ গাড়িটি জব্দ করেছে।এদিকে প্রবাসে এমন করুন মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে পরিবার স্বজনদের মাঝে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
নিহতের ভাতিজা সম্পর্কের ইকবাল হাসান জানান, শফিউল আলমে ১০ ও ১২ বছরের দু’টি পুত্র সন্তান রয়েছে।ভিসা জটিলতায় দীর্ঘ ৯ বছর ধরে দেশের মাটিতে পা রাখতে পারেননি তিনি। পরিবার চায়, অন্তত লাশটি দেশের মাটিতে দাফন করা হোক।