সিরাজুল ইসলামঃ
আজ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পৌর মুক্ত মঞ্চে যুব ফোরামের উদ্যোগে ঐতিহাসিক বাবরি মসজিদ শহীদ দিবস উপলক্ষে একটি প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত সভায় দেশের বিশিষ্ট আলেম, বুদ্ধিজীবী ও লেখকরা উপস্থিত ছিলেন।
সভাপতিত্ব করেন মাওলানা মুফতি মোবারক উল্লাহ, যিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জামিয়া ইউনুছিয়া মাদরাসার মুহতামিম। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব মাওলানা সাজিদুর রহমান। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা জুনায়েদ আল হাবীব।
প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্য প্রদান করেন আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক ড. মাহমুদুর রহমান। বিশেষ আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কবি ও রাষ্ট্রচিন্তক মুসা আল হাফিজ।
প্রধান অতিথি মাওলানা সাজিদুর রহমান তার বক্তব্যে বলেন, “বাংলাদেশে হিন্দু সম্প্রদায় সংখ্যালঘু নয়। তারা আমাদের মতোই বাংলাদেশের নাগরিক। যুগ যুগ ধরে আমরা মিলেমিশে বসবাস করছি এবং তাদের ধর্মীয় উৎসবগুলিতে প্রয়োজন হলে আমরা মন্দির পাহারাও দিই।”
বিশেষ অতিথি মাওলানা জুনায়েদ আল হাবীব বলেন, “ইসকনকে ব্যবহার করে দেশের মধ্যে অশান্তি সৃষ্টির যে ষড়যন্ত্র চলছে, তা ব্যর্থ হবে। ইসকনকে ছাত্রলীগের মতো নিষিদ্ধ ঘোষণা করতে হবে।”
প্রধান আলোচক ড. মাহমুদুর রহমান বলেন, “বর্তমান প্রজন্ম তাদের ত্যাগ ও সাহসের মাধ্যমে দেশের প্রকৃত স্বাধীনতা নিশ্চিত করেছে। আমি গভীর শ্রদ্ধা জানাই তাদের প্রতি। তবে লক্ষ্য করা যাচ্ছে, সাম্প্রতিক বিসিএস পরীক্ষায় হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রার্থীরা একটি অসামঞ্জস্যপূর্ণ সংখ্যায় নিয়োগ পেয়েছেন, যা সমাজে প্রশ্নের উদ্রেক করছে।”
বক্তারা তাদের বক্তব্যে ইসকন নিষিদ্ধের প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দেন এবং এ বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানান।
সভাটি পরিচালনা করেন মাওলানা জুনায়েদ কাসেমী ও মাওলানা রহমাতুল্লাহ কাসেমী।
প্রতিবাদ সভায় সাধারণ মানুষের অংশগ্রহণ ছিল উল্লেখযোগ্য। সভার মূল প্রতিপাদ্য ছিল সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষা ও জাতীয় স্বার্থ সংরক্ষণে ঐক্যবদ্ধ অবস্থান।