
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
জাতীয় দৈনিক সরেজমিন বার্তার অনুসন্ধান টিমের অনুসন্ধানে বিভিন্ন সোর্স বা উৎস – এর তথ্যের ভিত্তিতে বেরিয়ে আসে একজন অসাধু কারিগরি ইন্সটেক্টর এর নাম। নাম তার মোঃ আনোয়ার হোসেন, যিনি বাংলাদেশ – জার্মান কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, মিরপুর ২, ঢাকা ১২১৬ – এ অটোমোবাইল শাখায় কর্মরত ছিলেন।
বর্তমানে তিনি কুমিল্লা পলিটেকনিকে কর্মরত আছেন। কিন্তু কেন হঠাৎ করে কুমিল্লা পলিটেকনিক্যালে বদলি সেই বিষয়ে প্রশ্ন থেকেই যায়।
গত ২৭-৮-২০২৪ তারিখে শ্রীমতি বিপুলা দাস নামক এক মহিলা সরকারি সম্পদ আত্মসাৎ করে নামে- বেনামে অঢেল সম্পদের মালিক বনে যাওয়া এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে দিন দিন কোটি কোটি টাকার ক্ষতিতে পতিত হওয়ার প্রেক্ষিতে মোঃ আনোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে দুর্নীতি দমন কমিশন এর চেয়ারম্যান বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। যেখানে তিনি তার অভিযোগ পত্রে উল্লেখ করেছেন, মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন উক্ত প্রতিষ্ঠানের অটোমোবাইল শাখার চিফ ইন্সপেক্টর অর্থাৎ সি আই পদধারী হওয়াতে প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের প্রশিক্ষণে ব্যবহৃত গাড়ির যন্ত্রাংশ প্রশিক্ষণ বা শিক্ষা কার্যক্রমে অকেজো হিসেবে প্রদর্শিত করে নতুন যন্ত্রাংশ ক্রয়ের চাহিদা সৃষ্টি করতেন। শুধুমাত্র নিজের স্বার্থের প্রয়োজনে।
অনুসন্ধান এবং উক্ত প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন পর্যায়ের শিক্ষক-শিক্ষিকা, কর্মকর্তা কর্মচারীদের এবং ছাত্র-ছাত্রী ও তাদের কতিপয় অভিভাবকদের প্রাপ্ত তথ্য মতে, তিনি জড়িত ছিলেন, ছাত্র ছাত্রীদের পাশ-ফেলের বাণিজ্যের সহিত, ছিলেন সার্টিফিকেট বাণিজ্যের সাথে, সম্পৃক্ত ছিলেন তারই নির্ধারিত কমিশন ভিত্তিক পেট্রোল পাম্পের দায়িত্বশীল কর্মকর্তাদের সাথে এমনকি কোচিং বাণিজ্য ছিল চোখে পড়ার মতো, কেননা মোঃ আনোয়ার হোসেনের নিকট ব্যাচে না পড়লে নির্ঘাত ফেল।
এভাবে জালে ফেলে, সরকারি প্রতিষ্ঠানের আর্থিক ক্ষতি এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করে শিক্ষার মানকে কলুষিত করে নিজে স্বার্থ করেছেন হাসিল। উপার্জন করেছেন কোটি কোটি টাকা, গড়েছেন, একাধিক প্লট, ফ্ল্যাট, বিলাসী জীবনযাপন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তির ভাস্যমতে তার এই অপকর্ম সংঘটিত করার সাহসের নেপথ্যে রয়েছে, তার কিছু বিগত সরকারের অর্থ বিত্ত ও বিগত স্বৈরাচারী দলের ক্যাডার বাহিনীর সমর্থন।
খতিয়ে দেখার সময় এসেছে এই নতুন বাংলাদেশে, দেশের অর্থ বিদেশে পাচার হয়েছে, কি-না? তদন্ত সার্থক হবে, তখনই, যখন, অপরাধীর অপরাধের অপকর্ম গুলির সঠিকভাবে আইনি পদক্ষেপের দিকে পর্যায়ক্রমে ও নিয়মতান্ত্রিকভাবে ধাবিত করা সম্ভবপর হবে।
চলমান (অনুসন্ধান) পর্ব-১।