চট্টগ্রাম ব্যুরো– শুধু অবকাঠামোগত উন্নয়ন নয়, ২০৪১ সাল নাগাদ দেশকে উন্নত, সমৃদ্ধ ও বৃদ্ধিবৃত্তিক রাষ্ট্র গঠনে বিতর্ক চর্চার বিকল্পনেই। বাংলাদেশ টেলিভিশন, চট্টগ্রাম কেন্দ্রের প্রথম আন্ত:স্কুল ইংরেজি বিতর্ক প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথিরবক্তব্যে উপরোক্ত কথাগুলো বলেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডক্টর হাছান মাহমুদ।
শুক্রবার (৮ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ টেলিভিশন চট্টগ্রাম কেন্দ্রে ১ম আন্তঃ স্কুল ইংরেজি বিতর্ক প্রতিযোগিতার ফাইনাল অনুষ্ঠানে এ কথাবলেন।
চূড়ান্ত পর্বের বিতর্ক আয়োজনের মধ্য দিয়ে শেষ হলো বাংলাদেশ টেলিভিশন, চট্টগ্রাম কেন্দ্রের প্রথম আন্ত:স্কুল ইংরেজি বিতর্কপ্রতিযোগিতা। বিতর্ক প্রতিযোগিতার ফাইনালে ফৌজদারহাট ক্যাডেট স্কুল ময়মনসিংহ গার্লস ক্যাডেট স্কুলকে পরাজিত করে। পরে তথ্যও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন। প্রসঙ্গত, এবারে প্রতিযোগিতায় সারা দেশের ৬৪টি স্কুলবিতর্কে অংশগ্রহণ করে।
চূড়ান্ত পর্বে বিতর্কের বিষয় ছিলো Developing an export oriented business environment is better driver of our economy than relying on remittance income’.
বাংলাদেশ টেলিভিশন চট্টগ্রাম কেন্দ্রের জেনারেল ম্যানেজার নূর আনোয়ার হোসেন রনজু এবং বর্তমানে প্রচারিত সংবাদ ও অনুষ্ঠানেরপ্রশংসা করে এসময় তথ্যমন্ত্রী আরও বলেন, আগে টেলিভিশনে বিতর্ক অনুষ্ঠান ছিল না। কারণ বিতর্কে অনেক সময় সরকারেরসমালোচনা করা হয়। আমি তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব নেয়ার পর টেলিভিশন বিতর্ক প্রতিযোগিতা শুরু করি। কারণ সরকারসব সময় যুক্তিসংগত বিতর্ককে স্বাগত জানায়। এর মাধ্যমে বুদ্ধিবৃত্তির সমাজের সৃষ্টি হয়।
মন্ত্রী বলেন, এখন চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের যুগ। চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার জন্য সরকার ২০০৮ সাল থেকে ডিজিটালবাংলাদেশ বাস্তবায়ন শুরু করে যা এখন বাস্তবায়িত। তারপরও আমাদের চ্যালেঞ্জ নিতে হবে। তিনি শিক্ষার্থীদের চতুর্থ শিল্প বিপ্লবেরচ্যালেঞ্জকে সামনে রেখে নিজেদের তৈরি হওয়ার আহবান জানান।
সভায় বিটিভি চট্টগ্রাম কেন্দ্রে জেনারেল ম্যানেজার নূর আনোয়ার হোসেন রঞ্জুর সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে একুশে পদকপ্রাপ্ত দৈনিকআজাদী সম্পাদক এম.এ মালেক, চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার তোফায়েল ইসলাম, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগেরচেয়ারম্যান সুকান্ত ভট্টাচার্য্য বক্তব্য রাখেন।- ইফতেখার হোসেন