
বিএনপি’র কেন্দ্র ঘোষিত এক দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে স্বদেশ-বিদেশে একযোগে আন্দোলনের অংশ হিসেবে ইউকে জিয়া পরিষদের আলোচনা সভা।
প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ড.হাসনাত মোহাম্মদ হোসেন এমবিই, সাবেক অধ্যাপক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, তিনি বলেন ,দেশের মানুষ আজ পরিবর্তন চায় কারণ, দেশ আজ এক অনিশ্চিত গন্তব্যের দিকে দ্রাবিত হচ্ছে। গুম হত্যা নির্যাতন একটি নিয়মে পরিণত হয়েছে,মানুষের জীবনের নিরাপত্তা নাই,বাক স্বাধীনতা নাই, মানুষ তার মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত। আওয়ামী লীগ দেশের সকল রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান দলীয়করণ করে ,এক লুটপাটের স্বর্গরাজে পরিণত করেছে ,সেই জন্য দেশ আজ দেউলিয়ার দিকে দাবিত হচ্ছে,
তিনি আরো বলেন ,রাজনীতিতে পেশাজীবীদের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। পেশাজীবীদের মাধ্যমে রাজনীতিবীদদের সাথে জনগণের সেতুবন্ধন তৈরি হয়। বাংলাদেশের ৬৫ ভাগ ভোটার তরুণ। এ তরুণদের মধ্যে রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের জন্য ,বিএনপি’র কেন্দ্র ঘোষিত এক দফা এক দাবি,সম্পর্কে সচেতন করতে হবে। দেশ আজ যে গর্তের মধ্যে পড়েছে তা থেকে উত্তোলনের জন্যই রাষ্ট্রকাঠামো মেরামত ও সরকার পরিবর্তন অনিবার্য।
আজ রাষ্ট্রে মানবাধিকার নাই, ভোটাধিকার নাই, কথা বলার স্বাধীনতা নাই,। ক্ষমতা আঁকড়ে রাখার জন্য সংবিধানকে দলীয় দলিলে পরিণত করা হয়েছে। ফ্যাসিস্ট সরকারের বিদায় হওয়ার পর দেশে জনগণের সরকার প্রতিষ্টা হবে।
’১৬ জুলাই রবিবার সন্ধ্যা ৬টায় পূর্ব লন্ডনের একটি রেস্টুরেন্টে,ইউকে জিয়া পরিষদের উদ্যোগে
কেন্দ্রীয় বিএনপি ঘোষিত এক দফা আদায়ের লক্ষ্যে,আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এমন মন্তব্য করেন।
উক্ত আলোচনা সভায় জিয়া পরিষদের সি-যুগ্ন সাধারন সম্পাদক কবি কাওছার মাহমুদ ও আহসান উদ্দিন মানিক হাইয়ের যৌথ সঞ্চালনায় ,আলোচনা সভায় আরো অন্যান্য আলোচকবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।
আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন , প্রফেসর ড. সাইফুল আলম চৌধুরী,
তিনি বলেন, যারা অর্থনীতিকে ধ্বংস করেছে, শিক্ষা, বিচারব্যবস্থাকে ধ্বংস করেছে, তাদের রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্বে দেশের জনগণ আর দেখতে চায়না।
ইউকে জিয়া পরিষদের সিঃ সহ-সভাপতি প্রফেসর ইকবাল খাঁন, বলেন, স্বদেশ বিদেশ একযোগে আন্দোলন শুরু হয়েছে,দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন হতে দেবো না। ১৪-তে বিনা ভোটে এমপি, ১৮-তে আগের রাতেই ভোট ছাড়া। পুরো রাষ্ট্রকে ব্যবহার করে তারা ক্ষমতায় আছে। দেশের ভোটব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দিয়েছে। এ সরকারের অধীনে কখনই সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব না।
প্রধান বক্তা হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, মঞ্জুর হাসান পল্টু সাধারণ সম্পাদক ইউকে জিয়া পরিষদ তিনি বললেন,খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলা দিয়ে আট বছর কারাগারে রাখা হয়েছে। তিনি গণতন্ত্রের জন্য আপসহীন সংগ্রাম করেছেন, তিনি আওয়ামী লীগকে উদ্দেশ্য করে বললেন।ক্ষমতা ছেড়ে দিয়ে পদত্যাগ করে, সংসদ বিলুপ্ত করে, নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন দিন,অন্যথায় দেশ ছেড়ে পালানোর সুযোগ পাবেন না।
বিশেষ বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ,ব্যারিস্টার মাহি আরমান রফিক উপদেষ্টা ইউকে জিয়া পরিষদ
ড. ফেরদৌস বেগম, ব্যারিস্টার সালাউদ্দিন খাঁন মিঠু ,সাবেক কেন্দ্রীয় ছাত্রনেতা ,ইঞ্জিনিয়ার আবুল খায়ের সরকার,প্রফেসর আব্দুল আহাদ ,প্রফেসর কমর উদ্দিন আহমেদ প্রমুখ ,
এছাড়া আরো বক্তব্য রাখেন,ফিরোজ জামান , নূর হোসেন,আহসানুল আম্বিয়া শোভন ,সাংবাদিক মাসুদুজ্জামান, বি এম ফারুক , কাঞ্চন সরকার ,মোল্লা ফিরোজ আলম ,মোস্তাক মুহাম্মদ শাওন,এস এম রায়হান বকস,শফিউল আলম ,আনোয়ার হোসেন সবুজ,অহিদুজ্জামান ,আশরাফুল আলম,মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন,আমির হোসেন ,এমদাদুর রহমান টিপু ,দিনার আহমেদ ,রফিকুল ইসলাম খান ,খবির উদ্দিন, মুজিবুর রহমান ববি, মবিন ভূঁইয়া কাজল,বেলাল আহমেদ চৌধুরী ইরাক , সানি হাসান , কাজী হাসনাত হোসেন,আতাউর রহমান , হামিম ইসলাম ,মকবুল হোসেন মুকুল ,
আরো উপস্থিত ছিলেন জিয়া পরিষদ ও বিএনপির সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার নেতৃবৃন্দ।