আন্তঃ জেলা ডাকাত দলের প্রধান নির্মল দেবনাথ বাহিনী হাতে জিম্মি আশুলিয়া রোড
শাহাদাত হোসেন মানিকঃ রাজধানী উত্তরা আব্দুল্লাহপুর থেকে ছেড়ে যাওয়া নবীনগর বাইপেল গামী বাস গুলো রাতে নিরাপত্তাহীনতায় নিয়ে চলাচল করে।সন্ধার পর থেকে চলে নির্মল বাহিনীর আত্যাচার,সন্ধ্যা রাতে চাঁদাবাজী রাত ১০ টার পর থেকে শুরু করে ডাকাতি।এতে করে সাধারণ যাত্রী ড্রাইভার হেলপারদের মনে আতঙ্ক কাজ করে।নির্মল ও তার বাহিনী নিয়ে আশুলিয়া জামগড়া এলাকায় বাসা ভাড়া নিয়ে অস্থায়ী ভাবে বসবাস করে।নির্মল মূলত আন্তঃজেলা ডাকাত দলের অন্যতম সদস্য।আশুলিয়া সাভার এলাকার কিছু নেতাদের সাথে ছবি তুলে ফেইজবুকে ছেড়ে রাতারাতি ক্ষমতাধর বনে যায়।দিনের আলোতে একটি সু-সংঘটিত চাঁদাবাজি করার জন্য দল তৈরী করেছে এবং যাহারা চাঁদা দিতে অস্বীকার করে তাদের কে সর্বস্বান্ত করতে আন্তঃজেলা ডাকাতদের কাজে লাগায়।
নির্মল বাহিনী যেহেতু আশুলিয়া বিভিন্ন নেতার পরিচয় দিয়ে চলাচল করেন।তাদের চাঁদাবাজী ও ডাকাতির স্টাইল টা অন্য রকম।নির্মল দেবনাথ বাহিনী চলাচলের জন্য ব্যবহার করে থাকেন ৮ থেকে ১০ টি মোটরসাইকেল।রাস্তায় বাস থামিয়ে ডাকাতি করে বাস মালিক ড্রাইভার হেলপার ও যাত্রীগণ করে সর্বশান্ত করাই নির্মল দেবনাথ বাহিনী প্রধান কাজ।নির্মল বাহিনী সুযোগ বুঝে কাজ করেন,রাতে গাড়িতে যাত্রী কম থাকায় অস্ত্রের মুখে বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতার নাম বিক্রি করে নির্মল দেবনাথ বাহিনী তাদের ডাকাতির কাজটা ভালো ভাবে করে নিতে পারেন।আলী নূর পরিবহনের মালিক বাবুল ভান্ডারী,বিল্লাল সহ অন্যানারা অতিষ্টি হয়ে পরেছেন নির্মল বাহিনীর অত্যাচারে।গত ০২-০৫-২৩ ইং আশুলিয়া জামগড়া ৬ষ্ট তলা বাস স্ট্যান্ড ও ৫-৫-২৩ ইং তারিখে কালু মিয়া বাস স্ট্যান্ড থেকে উঠে ইষ্ট ওয়েষ্ট মেডিক্যাল কলেজ পর্যন্ত গাড়িতে উঠে ড্রাইভার ও হেলপার কে মারধর করে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করে,ড্রাইভার ও হেলপারের মোবাইল নিয়ে যায় নির্মল দেবনাথ ও আরও ৪/৫ জন।
নির্মল দেবনাথ বাহিনীর অত্যাচারে অতিষ্ট হয়ে,আলী নূর পরিবহন মালিকের পক্ষে সাইফুল ইসলাম বাবুল তুরাগ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন এবং মো: বিল্লাল হোসেন আশুলিয়া থানায় অভিযোগে করেন।অভিযোগে বলা হয়েছে,নির্মল বাহিনী গত ৩/৪ মাস যাবদ আলী নূর পরিবহনের প্রতি গাড়ি বাবদ ৪ হাজার টাকা দাবী করে।মালিক পক্ষ টাকা দিতে অস্বীকার করায় নির্মল বাহিনী দিনের বেলা চাঁদা আর রাতে ডালাতিতে মেতে উঠেছেন।
নির্মল দেবনাথ বাহিনীর হাতে এ পর্যন্ত নিঃস্ব হয়েছেন অনেক পরিবার,তাদের শন্য অলংকার সহ টাকা পয়সা সহ অনেক কিছু হারিয়েছে।নির্মল দেবনাথ বাহিনী এ পর্যন্ত আশুলিয়া রোডে ডাকাতি করে আলী নূর পরিবহন থেকে ৪/৫ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে।প্রতিবেদকের সাথে কথা বলেন,আশরাফ উদ্দিন,বাবুল ভান্ডারী,বিল্লাল সহ আরও অনেকে,তাদের একটাই দাবী,আমরা পরিবহন মালিক এখন,নির্মল দেবনাথের কাছে জিম্মি জয়ে আছি।বিভিন্ন থানায় অভিযোগ হচ্ছে,পুলিশ নির্মল ও তার বাহিনীর কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না।এত অভিযোগ হওয়ার পরেও নির্মল বাহিনী কিভাবে তার অপরাধ করছে কিছুই বুঝে উঠতে পারছিনা।
দিবা লোকে ঘটনা করেও পার পেয়ে যাচ্ছে নির্মল।নির্মলের নামে পত্রিকায় নিউজ হয়েছে।সেই নিউজ,সেইম লিখা,সেইম হেড লাইন,তার নিউজ এডিট করে আমাদের ছবি দিয়ে স্যোসাল মিডিয়ায় ব্যাইরাল করে আমাদের সম্মান নষ্ট করেছে আমরা প্রশাসনের সু-দূষ্টি কামনা করছি।