
শ্রীপুর (গাজীপুর) প্রতিনিধি:
গাজীপুরের শ্রীপুরে আদালতের চিরস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার আদেশ ভঙ্গকরে ৫ জনকে কোপিয়ে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনা ঘটেছে (২৮ জানুয়ারী) মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ডের ভাংনাহাটি গ্রামে। হামলায় আহতরা হলেন- শ্রীপুর পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডের উত্তরপাড়া গ্রামের মো: রফিকুল ইসলাম (৪৮), মো: আকরাম হোসেন (৫৫), শফিকুল ইসলাম (৫০), মৃদুল হাসান (২৮) ও আমজাদ হোসেন (৬০)। আহতদের উদ্ধার করে শ্রীপুর হাসপাতালে চিকিৎসা করানো হয়। এ ঘটনায় মো: রফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে ১০ ব্যক্তিসহ অজ্ঞাত ১০/১২জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দিয়েছেন। অভিযুক্তরা হলো- ভাংনাহাটি গ্রামে মরজত আলী (৫৫) সোহাগ (২৮), মিজান (৩৫), রফিকুল ইসলাম চুন্নু (৩৮), মো: সেলিম (৫০), শিমুল (৩২), সোলাইমান (৩৫), তাছলিমা (৫০), আছিয়া (৪৮) ও উজিলাব গ্রামের পূর্ব পাড়ার কাজল কর (৫৫)সহ অজ্ঞাত ১০ থেকে ১২জন।
জানা যায়, মো: রফিকুল ইসলাম গংদের সাথে মরজত আলী গং শ্রীপুর-তেলিহাটি আঞ্চলিক সড়ক সংলগ্ন ভাংনাহাটি গ্রামের প্রায় ৪ কোটি টাকা মূল্যের ১১২.২৫ শতাংশ জমি নিয়ে ২০১২ইং সন থেকে বিরোধ সৃষ্টি করে আসছে। উক্ত জমি নিয়ে মরজত গং শ্রীপুর পৌরসভায় ২০১২ সালে পৌরসভার গ্রাম আদালতে ১৬৬/১২ নং বিচার দায়ের করেন। উক্ত বিচারে গ্রাম আদালতের রায়ে উল্লেখ করা হয় নালিশী জমিতে মরজত আলী গং এর কোন মালিকানা নেই। মরজত গং ওই জমিতে ভোগ দখলে বাধা বিঘœ সৃষ্টি করলে রফিকুল ইসলামের বড় ভাই আমজাদ হোসেন বাদী হয়ে গাজীপুরের সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে চিরস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা মামলা নং- ১৪৬/১৪ দায়ের করেন। বিজ্ঞ আদালতের বিচারক সিনিয়র সহকারী জজ মো: জাকির হোসাইন গত ০৪ নভেম্বর ২০২৪ তারিখে ওই মামলার রায় প্রদান করেন। রায়ের আদেশে বাদী পক্ষের ভোগ দখলে যে কোন ভাবে বিঘ্ন সৃষ্টি করা হতে বিবাদীপক্ষের বিরুদ্ধে চিরস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার আদেশ দেন।
রফিকুল ইসলাম জানান, মামলার আদেশে প্রতিপক্ষকে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার পর আমরা বিষয়টি স্থানীয় গন্য মান্যদের জানাই। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে ট্রাক্টর নিয়ে জমি হালচাষ করতে যাই। এসময় অভিযুক্ত কাজল কর ও মরজত আলীর পরমার্শ ও হুকুমে অভিযুক্তরা আদালতের চিরস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার আদেশ ভঙ্গ করে আমাদের জমিতে হাল চাষে বাধা দেয়। প্রতিবাদ করলে অভিযুক্তরা আমাদেরকে এলোপাথারী কোপিয়ে-পিটিয়ে ৫ জনকে আহত করে। আমাদের ডাক চিৎকারে স্থানীয় এগিয়ে এলে অভিযুক্তরা চলে যায়। আমরা স্থানীয়দের সহায়তায় শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা গ্রহন করি।
শ্রীপুর থানার পরিদর্শক (ওসি) মো: জয়নাল আবেদীন জানান, উক্ত ঘটনার বিষয়ে একটি অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
জোনায়েত আকন্দ
শ্রীপুর, গাজীপুর
29/1/25