সোমবার, জানুয়ারি ২০, ২০২৫

আজ লাকসাম মুক্ত দিবস

Logo
Desk Report 2 বুধবার, ১১ ২০২৪, ১২:০১ অপরাহ্ণ

হামিদুল ইসলাম,

লাকসাম (কুমিল্লা) প্রতিনিধি:

আজ ১১ ডিসেম্বর বৃহত্তর লাকসাম মুক্ত দিবস। ১৯৭১ সালের এ দিনে মুক্তিবাহিনী হানাদার পাকিস্তানি সৈন্যদের হটিয়ে লাকসাম-মনোহরগঞ্জকে শত্রুমুক্ত করেন।
বীর মুক্তিযোদ্ধা মনোহর আলী তোতা জানান, স্বাধীনতাকামী লাকসামের সর্বস্তরের জনতা মার্চের প্রথম দিকেই মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে। পাকবাহিনী কুমিল্লা দখল করে সড়ক পথে লাকসামে আসার সময় মুক্তিসেনারা লালমাই, বাগমারা, আলীশ্বরে প্রচন্ড বাঁধার সৃষ্টি করে। এতে বহু মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন। ১৫ই এপ্রিল পাক সেনারা লাকসামকে তাদের দখলে নিয়ে রেলওয়ে জংশনের পাশে থ্রি-এ সিগারেট ফ্যাক্টরীতে ক্যাম্প স্থাপন করে। এ ক্যাম্প থেকে পাক বাহিনী বৃহত্তর লাকসামসহ ফেনী, চাঁদপুর, নোয়াখালী ও কুমিল্লার দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন এলাকায় অত্যাচার, নির্যাতন, খুন, ধর্ষন ও ধ্বংসাত্মক কর্মকান্ড চালাত।

এদিকে, মুক্তিযোদ্ধারা ট্রেনিং নিয়ে আস্তে আস্তে সংগঠিত হয়ে পাক সেনাদের উপর আক্রমন চালাতে থাকে। এতে পাক সেনাদের সাথে লাকসাম সহ আশে পাশের এলাকায় মুখোমুখি যুদ্ধ শুরু হয়। এক পর্যায়ে পাক বাহিনী পরাজিত হয়ে চাঁদপুরের দিকে পালাতে থাকে। সর্বশেষ ১০ই ডিসেম্বর লাকসামের মুদাফরগঞ্জে মুখোমুখি যুদ্ধের পর পাক সেনারা ওইদিন রাতে পালিয়ে যেতে শুরু করে। পালানোর পথে ছনগাঁ গ্রামে অবস্থান নেয় এদের একটি দল। এ খবর পৌঁছে যায় মুক্তিযোদ্ধা ও মিত্রবাহিনীর কাছে। ১০ই ডিসেম্বর রাতে পাকিস্তানি বাহিনীর সৈন্যদের ঘেরাও করে তারা। ১১ ডিসেম্বর সকালে হানাদারেরা বুঝতে পারে, তারা ফাঁদে আটকা পড়ে গেছে। সেখান থেকে বের হওয়ার মরিয়া চেষ্টা চালায় তারা। মুক্তিবাহিনী ও মিত্রবাহিনীকে লক্ষ্য করে তারা গুলি ছুড়তে থাকে।

সেদিনের ওই লড়াইয়ের বর্ণনা দিয়ে লাকসাম উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার আবদুল বারী মজুমদার বলেন, সকালে হানাদার বাহিনীর গুলিতে কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধা ও ভারতীয় সেনা প্রাণ হারান। একপর্যায়ে বুলেট শেষ হয়ে যায় পাকিস্তানি সেনাদের। এরপর শুরু হয় বেয়নেটের লড়াই, চলে দুপুর ১২টা পর্যন্ত। একপর্যায়ে মিত্রবাহিনীর কাছে আত্মসমর্পন করে কমবেশি ৫০ জন পাকিস্তানি সৈন্য। ওই লড়াইয়ে নিহত হয় অনেক পাকিস্তানি সৈন্য। হানাদারের গুলিতে মারা যায় বহু সাধারণ মানুষও।

১১ই ডিসেম্বর লাকসামের মুক্তিযোদ্ধারা ও মুক্তি পাগল জনতা বাংলাদেশের লাল সবুজ জাতীয় পতাকা উড়িয়ে লাকসামকে মুক্ত ঘোষনা করে। পাকিস্তানি সৈন্যদের আত্মসমর্পণের পর লাকসামে শুরু হয় মুক্তিকামী জনতার উল্লাস। তবে এই আনন্দের মাঝেও তাঁদের মধ্যে ছিল সহযোদ্ধাদের হারানোর বেদনা।

লাকসাম উপজেলা প্রশাসন, পৌরসভা, মুক্তিযোদ্ধাসহ বিভিন্ন সংগঠন দিবসটি উপলক্ষে নানা কর্মসূচি হাতে নিয়েছে।

ADVERTISEMENT

লাকসাম উপজেলা নির্বাহী অফিসার কাউছার হামিদ জানান, লাকসাম হানাদার মুক্ত দিবস উপলক্ষে উপজেলা প্রশাসন শহীদ ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের স্মরণে সকাল ১১টায় লাকসাম মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সে দোয়া মোনাজাত ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে।

সাজেদুল হক প্রান্ত , রিপোর্টার: বিএনপির যুগ্ন মহাসচিব ও নরসিংদী জেলা বিএনপির আহব্বায়ক খায়রুল কবির খোকন বলেছেন, জনগণ নয় ভারতের সম্পর্ক ছিল …

সাজেদুল হক প্রান্ত, রিপোর্টার: নিখোঁজের ৫ দিন পর আড়িয়াল খাঁ নদীতে পাওয়া গেল ‘স্কুলছাত্র অয়নের’ লাশ। রোববার বিকেলে বেলাব উপজেলার বিন্নাবাইদ ইউনিয়নের …

সাজেদুল হক প্রান্ত, রিপোর্টার: নরসিংদীর রায়পুরায় ট্রেনের ধাক্কায় একটি ইজিবাইক দুমড়েমুচড়ে গিয়ে চালকসহ দুইজন নিহত হয়েছেন। তাদের পরিচয় পাওয়া যায়নি। আজ রোববার …

সাজেদুল হক প্রান্ত, রিপোর্টার: নরসিংদীতে ভারতীয় বিপুল পরিমাণ পণ্য কাভার্ডভ্যান ভর্তি অবস্হায় জব্দ করেছে র‍্যাব। এসময় কাঞ্চন পাল (২৭) নামে একজনকে আটক …