

আগ্রাবাদে কেন্দ্রীয় চর্ম ও সামাজিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে (আমেরিকান হাসপাতাল) অনিয়মের অভিযোগ পেয়ে সেখানে অভিযান পরিচালনা করা হয়।
রোববার (১৮জুন) জেলা প্রশাসন ও ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর চট্টগ্রাম এই এসময় হাসপাতালের গেটেরসামনে অবস্থিত মা ফার্মেসি, মামেডিকেয়ার এবং স্বাগতা ফার্মেসি থেকে চীন, ভারত সহ বিভিন্ন দেশের প্রায় ৬ লাখ টাকার অনিবন্ধিত ঔষধ জব্দ করা হয় এবং প্রত্যেকফার্মেসিকে ২০ হাজার করে মোট ৬০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
এসময় ফার্মেসী মালিকরা অভিযোগ করেন, সরকারী হাসপাতালের ডাক্তাররাই এসকল অনিবন্ধিত ঔষধ প্রেসক্রিপশন করছেন। এসময় বেশকিছু রোগীর সাথে কথা বলে জানা যায়, ডাক্তাররা এমন ওষুধ লেখেন যা এখানে অবস্থিত ৩/৪ টা ফার্মেসি ব্যাতীত অন্য কোথাও পাওয়া যায় নাএবং রোগীদের প্রেসক্রিপশন চেক করে দেখা যায় সরকারি হাসপাতালের স্লিপে বিভিন্ন অনিবন্ধিত ঔষধ প্রেসক্রিপশন করা হয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ফার্মেসি মালিক জানান, প্রতিটি বিদেশী ক্রীমের দাম এক থেকে তিন হাজার টাকা পর্যন্ত। প্রতি ক্রীমে ডাক্তার ২০০থেকে ৫০০ টাকা পর্যন্ত কমিশন পান। এছাড়া এই হাসপাতালের সকল রোগীদের মেডিলিভ নামক একটি ল্যাবে টেস্ট করানোর জন্য বলে দেয়াহয়। হাসপাতালের সামনেই দালালরা দাড়িয়ে থাকে। সরকারি হাসপাতালের ডাক্তারদের বিরুদ্ধে এ ধরনের অনিয়মের সরাসরি প্রমাণ পেয়েএকটু বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়েন মোবাইল কোর্টের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রতীক দত্ত। তিনি স্বাস্থ্য পরিচালক এর সাথে কথা বলে এসকল অসাধুডাক্তারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানান।
এসময় সেখানে উপস্থিত ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর, চট্টগ্রাম এর সহকারী পরিচালক এস এম সুলতানুল আরেফীন বলেন, ” এ ওষুধ গুলো ড্রাগএডমিনিস্ট্রেশন এর নিবন্ধিত নয়। এগুলো কোন ফার্মেসিতে বিক্রি করা যাবে না এবং কোন ডাক্তার এগুলো প্রেসক্রিপশন করতে পারবে না। কিন্তুএই সরকারি হাসপাতালের ডাক্তাররা কেন এটি প্রেসক্রিপশন করছেন সেটি আমি বলতে পারবো না।“