
আখাউড়ায় আয়জা পার্কে বিনোদনে মেতেছে দর্শনার্থীরা।
সজল আহাম্মদ খান আখাউড়া ( ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি।
ঈদ আনন্দ উপভোগ করতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় আয়জা শিশু পার্কে দর্শনার্থীরা ভিড় বাড়ছে। ঈদের তৃতীয় দিনেও দর্শনার্থীদের উপচেপড়া ভিড়ে মুখর হয়ে উঠে এ শিশু পার্কটি। ঈদুল ফিতর উপলক্ষে এই পার্কটি সাজানো হয়েছে বর্ণিল সাজে। ঈদ উৎসবকে স্মরণীয় করতে উপজেলাসহ আশপাশের বিভিন্ন এলাকা থেকে পরিবার-পরিজন, বন্ধু-বান্ধব, আত্মীয় স্বজনসহ নানা বয়সের লোকজন এ বিনোদন কেন্দ্রে এসে ভিড় করছেন।
দর্শনার্থীরা যেন নির্বিঘ্নে আনন্দ উপভোগ করতে পারেন সেজন্য কর্তৃপক্ষ নিয়েছে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা। পৌর শহরের খালাজুড়া জাহাঙ্গীর প্যালেস সংলগ্ন অত্যন্ত নিরিবিলি পরিবেশে এই আয়জা শিশু পার্কটি করা হয়েছে। স্বল্প পরিসরে গত ৪ দিন আগে এই শিশু পার্কটি আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হয়।
এদিকে দর্শনার্থীদের আকৃষ্ট করতেই বর্ণিল সাজে সেজেছে এই বিনোদন কেন্দ্রটি। আয়জা শিশু পার্কের প্রবেশ মূল্য ২০ টাকা। এছাড়া রাইডপ্রতি ২০ টাকা করে নেয়া হচ্ছে। এসব রাইডে শিশুদের পাশাপাশি বড়রাও চড়ছেন। মনোরম প্রাকৃতিক পরিবেশে বন্ধুবান্ধব ও স্বজনদের সঙ্গে সময় কাটাতে পার্কে আসছেন বিনোদন পিপাসু লোকজনরা।
সোমবার বিকেলে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ঈদুল ফিতরের তৃতীয় দিনে অসংখ্য দর্শনার্থীদের আগমনে মুখরিত হয়ে ওঠে এই শিশু পার্কটি। নাগরদোলা ও নৌকায় চড়ে তারা আনন্দে মেতে উঠেন।
বাবার সঙ্গে ঘুরতে আসা পৌর শহরের তারাগন এলাকার কাজী জান্নাতুল মাওয়া বলেন, আখাউড়ায় তেমন বিনোদনের ভালো কোনো জায়গা নেই। এই পার্কটি হওয়ায় খুবই ভালো হয়েছে। নিরিবিলি পরিবেশ থাকায় পার্কটিতে এসে খুবই ভালো লেগেছে।
বাবা-মায়ের সঙ্গে ঘুরতে আসা দেবগ্রাম এলাকার মো. শিমুল হাসান নামের এক শিশু বলে, বাবা-মায়ের সঙ্গে এই পার্কে ঘুরতে এসে তার খুব ভালো লাগছে। ঈদের দিন অন্য জায়গাতে গেলে ও আজকে এখানে আসায় আরো বেশি মজা হয়।
কলেজ পাড়া এলাকার মো. আশরাফ হোসেন বলেন, আসলে আখাউড়ায় বিনোদনের তেমন কোনো জায়গা নেই। এখন এই পার্কটি হয়েছে। তাই ঈদের আনন্দ উপভোগ করতে স্ত্রী ও ছেলেকে নিয়ে এখানে আসা। তার ছেলে রাইডে চড়েছে। সবাই মিলে ছবি উঠালাম এবং খাবার খেলাম, সব মিলিয়ে খুবই আনন্দ পেয়েছি।
গৃহিণী মিম ইসলাম বলেন, আখাউড়ায় বিনোদনের তেমন কোনো স্থান নেই। নতুন এই পার্কটি হওয়াতে আমাদের জন্য খুবই ভালো হয়েছে। তাই ছেলে মেয়েকে নিয়ে এখানে আসছি আনন্দ করার জন্য।
পৌর শহরের রাধানগর এলাকার বাসিন্দা ও আয়জা শিশু পার্কের মালিক মো. আব্দুল আজিজ বলেন, আখাউড়ায় শিশুদের কোনো বিনোদন কেন্দ্র নেই। তাই অনেকদিন ধরে চেষ্টা চালিয়ে আসছি একটি শিশু পার্ক করার জন্য। প্রায় ২৬ শতক জমির ওপর দৃষ্টিনন্দন এই পার্কটি করা হয়েছে। প্রথমে দুটি নাগরদোলা ও একটি নৌকা রাইড দিয়ে যাত্রা শুরু করা হয়। আছে গাছপালা হরিণ আর বাঘ। তবে অল্প কিছুদিনের মধ্যেই আরো কয়েকটি নতুন রাইড পার্কে যুক্ত করা হবে। যাত্রার শুরুতেই ভালো সাড়া পাচ্ছেন। একটি পার্ক করতে তার দীর্ঘদিনের স্বপ্ন ছিল। তার এই স্বপ্ন বাস্তবায়নে যারা সহযোগিতা করেছেন তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন তিনি।