

চট্টগ্রাম ব্যুরো-চট্টগ্রামে নতুন রূপে সাজানো হয়েছে ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবু চত্বর’। চট্টগ্রাম-১৩ আসনের সংসদ সদস্য ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ এই স্মৃতিস্তম্ভ উদ্বোধন করেছেন ।
শনিবার (২৪ জুন) রাত সাড়ে ৮টার দিকে কর্ণফুলী উপজেলার মইজ্জ্যারটেক মোড়ে ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকের সৌজন্যে নির্মিত এই স্মৃতিস্তম্ভের ফলক উন্মোচন করা হয়।
কর্ণফুলী উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি নজরুল ইসলাম টুকু বলেন, দক্ষিণ চট্টগ্রামের যোগাযোগ ব্যবস্থার একমাত্র মাধ্যম কর্ণফুলী তৃতীয় সেতু। এই সেতু নির্মাণ করার পিছনে মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ইউসিবি ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা আওয়ামী লীগের প্রয়াত প্রেসিডিয়াম সদস্য আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবু’র অবদান অস্বীকার্য। তিনি এই এলাকার মানুষের জন্য কাঠামোগত উন্নয়ন ও ব্যবসা-বাণিজ্যসহ বিভিন্ন স্তরে কাজ করেছেন। তিনি আজ আমাদের মাঝে নেই। কিন্তু তাঁর স্মৃতি আমরা বহন করি প্রতিনিয়ত। তাঁর অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ মইজ্জ্যারটেকে এলাকাবাসীর দাবির প্রেক্ষিতে চত্বরটি নির্মাণের পর তাঁর নামে নামকরণ করা হয়। অতীতে স্থানটি ঝোপ-জঙ্গলে পরিণত ছিল। এখন বদলে গেছে, সৌন্দর্য বৃদ্ধি পেয়েছে।
ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক কর্ণফুলী উপজেলা শাখার ব্যবস্থাপক জসিম উদ্দীন আমজাদী বলেন, এই স্মৃতিস্তম্ভটি নির্মাণে ইউসিবি ব্যাংকের হেড অফিস অর্থায়ন করেছে। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইনস্টিটিউট ও স্থাপত্য বিদ্যার শিক্ষার্থীরা এটি নির্মাণে সময় ব্যয় করেছেন।
উদ্বোধনের সময় চন্দনাইশ ও সাতকানিয়া (আংশিক) আসনের সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম চৌধুরী, আনোয়ারা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান তৌহিদুল হক চৌধুরী, কর্ণফুলী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফারুক চৌধুরী, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. সোলায়মান তালুকদার, দক্ষিণ জেলা যুবলীগের সভাপতি দিদারুল ইসলাম চৌধুরী, কর্ণফুলী উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আমির আহমদ, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ডা. ফারহানা মমতাজ, কর্ণফুলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মামুনুর রশীদ, উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) পিযুষ কুমার চৌধুরী, ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক পিএলসি কর্ণফুলী শাখার ম্যনেজার জসিম উদ্দীন আমজাদী, আনোয়ারা হাইলধর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কলিম উদ্দিন, বারশত ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এমএ কাইয়ুম শাহ এবং কর্ণফুলী উপজেলা আ.লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ এবং বিভিন্ন ইউনিয়নের সর্বস্তরের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।