মোঃ ইসারুল, নিজস্ব প্রতিবেদক:
আওয়ামী লীগ ১৬ বছর ধরে ক্ষমতা থাকাকালীন নিরীহ মানুষের উপর জুলুম নির্যাতন মিথ্যা মামলা দিয়ে শত শত মানুষের উপর ক্ষমতার অপব্যবহার চালিয়ে আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ এই ধাইনাগর এলাকার তিন শীর্ষ ক্যাডার মূলহোতারা থাকতো মুখোশের আড়ালে,তাদের স্বৈরাচার সরকারের পতন হলেও ক্ষমতার দাপট কমেনি, বরং মাত্রা-সীমাহীন। চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার ২নং গোবরাতলা ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের কুখ্যাত ক্যাডার ও ভূমিধস্যু নামে এরা সবার মূখে মূখে পরিচিত।
এরা মফিজুল,আরিকুল,কবিরুল,তাদের দাপট এতটাই শক্তিশালী হয়ে দাড়িয়েছে গোবরাতলা ধাইনাগর পুরো এলাকাটুকু নিয়ন্ত্রণে আছে তাদের হাতে। কেউ ভুলবশত প্রতিবাদ করলেই, রাত ও দিন দুপুরে জোরপূর্বক উঠিয়ে নিয়ে গিয়ে বেধড়ক মারধর, এছাড়াও বড় অংকের মুক্তিপণ দাবি নিয়ে চলতো তাদের মহা সিন্ডিকেট। এদের নিয়ন্ত্রণে অন্যতম মূলহো থাকতো ধরাছোঁয়ার বাইরে তবে এদের অন্যতম মূলহতো, সদর থানার আওয়ামী লীগের সভাপতি আমিনুর ইসলাম।
এদের দ্বারায় সক্রিয় ভূমিকায় নির্যাতিত ছিলো বহু মানুষ। জমি জবরদখল সহজ সরল অসহায় মানুষের ভুয়াদলিল করে দখলে নিয়ে আসা। সে সাথে থানার দালালী, কন্টাকে বাড়িঘর ভাঙচুর, লুটপাট রাতের আধারে ছিনতাই, মাদক ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে মাসিক ও সাপ্তাহিক চাঁদা উত্তোলনসহ একাধিক অভিযোগ উঠে এসেছে তাদের বিরুদ্ধে। তবে ধাইনাগর এলাকার বহু ভুক্তভোগী মানববন্ধনের কাতারে দাঁড়া প্রায় শতাধিক মানুষের ভিডিও বক্তব্যে স্লোগান দেয়। গত বুধবার সকাল ১১ টার দিকে গ্রামবাসী একত্রে হয়ে মানববন্ধনে কাতারে দাঁড়া হাজারো অভিযোগ ছিলো তাদের। সকলের মুখে একই স্লোগান আওয়ামী লীগের তিন ক্যাডার হাত থেকে রক্ষা ও গ্রেফতারের দাবিতে গ্রামবাসীর জোরদাবি।
বিশেষ করে ধাইনাগর এলাকাবাসি এই তিন ক্যাডারের হাতে জিম্মি ছিলো। তাদের ভয়ে ১৬ বছর যাবত নির্যাতিত হয়ে মুখ খুলতে পারেননি কেউ-ই। ঘড়ির কাটা ঠিক ১২ টা, হঠাৎ ট্রলি ভর্তি সবার হাতে ছিল দেশী অস্ত্র এ যেন সিনেমার স্টাইলে পাঁচ মিনিটের মধ্যেই এক অসহায় দম্পতির বাড়ি নিমিষেই গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। মুহুর্তে করে নেওয়া হয় লুটপাট, অ্যালোপাথারি মারধর রক্তাক্ত জখম বাড়িঘর ভাঙতে বাধা দিতে গেলে এক অসহায় নারি নারগিস খাতুনকে মাথা ফাঁটিয়ে গুরুতর যখন করে। পরে চিকিৎসার জন্য তাকে দ্রুত সদর হাসপাতালে নেওয়া হয় বর্তমান চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছে বলে জানা যায়। এখানেই এলাকাবাসীর কন্ঠ উন্মোচন হয়। শতশত নির্যাতিত মানুষ রাস্তায় একযোগে তাদের তিন ক্যাডারের মূলহতাদের নাম তুলে ধরে আওয়ামী লীগের ক্ষমতা অপব্যবহারকারী, শত অন্যায়ের কথা তুলে ধরে,মানববন্ধনে।
বুধবার (৮) আগস্ট) চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর মডেল থানা’র একটি অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গোবরাতলা ইউনিয়নের দিয়াড় ধাইনাগর এলাকার মৃত সুলতানের ছেলে মফিজুল ইসলাম, মৃত আয়েশ আলীর ছেলে আরিকুল, ও একই ইউনিয়নের গুনির মোড় এলাকায় রবু আলীর ছেলে কবিরুল ইসলাম সহ ১৫/২০ ক্যাডার বাহিনী সঙ্গে নিয়ে তৌফিক আলীর বাড়িতে লোহার সাবল রড কাতাসহ, বিভিন্ন অস্ত্র নিয়ে ট্রলিতে যায় তার বাড়ি, এসময় তাদের ক্যাডার বাহিনীসহ তারাও শুরু করে ভাংচুর বাঁধা দিতে গেলে তৌফিক আলীর ছেলের বৌউ নারগিসকে সাবল দিতে মাথায় আঘাত করলে, রক্তাক্ত অবস্থায় লুটিয়ে পরে মাটিতে এ মহিলার চিৎকারে এলাকার লোকজন এগিয়ে আসলে তারা পালিয়ে যায় ক্যাডার বাহিনী নিয়ে।
এখানেই শেষ নয়, অভিযোগ সূত্রে উঠে আসা অভিযোগকারী তৌফিক আলীর বৃদ্ধা বাবাকে তার ছেলের বৌউকে জেলা হাসপাতাল থেকে দেখে আসার সময়, উপজেলার গুনির মোড় এলাকায় আসলে অটো রিক্সা থেকে নামিয়ে হাত-পা বেঁধে আটকে রেখে দাবি করে তাদের ফেলে আসা ট্রলি। পরে থানা পুলিশ ও এলাকার মেম্বারদের সহযোগিতায় উদ্ধার করা হয় বৃদ্ধা তোসলিম উদ্দিনকে।
বুধবার সরজমিনে গিয়ে যানা যায়, অনুসন্ধান বলছে জমি সংক্রান্ত পূর্ব শত্রুতার জের ধরে তাদের বাড়িতে হামলা চালায়। এছাড়াও ওই একালার শতাধিক পরিবার এর প্রতিবাদ জানায়। একাধিক ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে তারা প্রতিকার ও মুক্তি পেতে এই ক্যাডার বাহিনীদের অবিলম্বে গ্রেফতারের দাবি জানান ওই ইউনিয়নের মানুষ।