
সরকারের পদত্যাগের একদফা দাবিতে বিএনপি-জামায়াতসহ সমমনা দলগুলোর দ্বিতীয় দফায় ডাকা ৪৮ ঘন্টা অবরোধের দ্বতীয় দিনের কর্মসূচি সমর্থনে মিছিল করেছে গণঅধিকার পরিষদ। সোমবার (৬ নভেম্বর) সকাল ১১ টায় পল্টনে আল রাজী কমপ্লেক্সের সামনে থেকে মিছিল শুরু করে পল্টন, নাইটিংগেল মোড় ঘুরে আবার আল রাজী কমপ্লেক্সের সামনে এসে শেষ হয়।
সমাবেশ শেষে দলের সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ রাশেদ খান বলেন, ২৮ অক্টোবর থেকে গণঅধিকার পরিষদ রাজপথে লাগাতার আন্দোলন করে যাচ্ছে। শান্তিপূর্ণ আন্দোলনকে বানচাল করতে আওয়ামী লীগ মোড়ে মোড়ে পাহারা বসিয়েছে, ভিন্নমতের মিছিলে হামলা করছে। গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে আওয়ামী লীগের এই কাউন্টার প্রোগ্রাম স্বৈরতন্ত্রের বহিঃপ্রকাশ। প্রতিদিন রাতে বিএনপি, গণঅধিকার পরিষদসহ যুগপৎ আন্দোলনকারী রাজনৈতিক দলের নেতাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
তিনি সরেজমিনকে আরো বলেন, এই হৃদয়হীন অমানবিক সরকার যুক্তিতর্কে না পেরে বিরোধীদলকে গালাগাল করছে, হিংসাত্মক কথা বলছে। সরকারের পতন না হলে জিনিসপত্রের দাম আরও বাড়বে, এমনকি দেশে দুর্ভিক্ষ দেখা দিতে পারে। তাই জনগণকে আহ্বান জানাব আপনারা রাস্তায় নামুন, রাস্তার নেমে সরকারের পতন ঘটান। এই আন্দোলন দেশের অস্তিত্ব রক্ষার আন্দোলন। এই আন্দোলন মানুষের ভোট-ভাত ও খেয়ে পড়ে বেঁচে থাকার আন্দোলন।
বিক্ষোভ মিছিলে উপস্থিত ছিলেন, গণঅধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদের সদস্য আবু হানিফ, শাকিল উজ্জামান, শহিদুল ইসলাম ফাহিম, ফাতেমা তাসনিম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাসান আল মামুন, রবিউল ইসলাম, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও সামাজিক নিরাপত্তাসহ সম্পাদক হেলেনা আক্তার, মহানগর উত্তরের সভাপতি মিজানুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহিম, দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক নুরুল করিম শাকিল, যুব অধিকার পরিষদের সভাপতি মনজুর মোর্শেদ মামুন, সাধারণ সম্পাদক নাদিম হাসান, ছাত্র অধিকার পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি তারিকুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম আদীব, সহ সভাপতি সাব্বির হোসেন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হাসান, শ্রমিক নেতা রবিন, শিপনসহ দলের নেতাকর্মীরা।